সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনাস্থার কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজাওয়ানা হাসান। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি বিভিন্ন সতর্কতামূলক বার্তা দিতেই পারে। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদের কেউ বর্তমান দায়িত্বে থেকেই রাজনৈতিক দল গঠন করছেন, এমন কিছু আমার জানা নেই। আর শিক্ষার্থী উপদেষ্টা যারা আছেন তারা বলেছেন, যদি রাজনৈতিক দল গঠন করেন তবে সরকারের উপদেষ্টা পদ ছেড়ে দিয়েই তা করা হবে। কাজেই এখানে সন্দেহের বা আশঙ্কার কোন জায়গা নেই।
আজ রাজধানীর পানি ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন পার্টনারশিপ কার্যকরে উদ্বোধনী কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজাওয়ানা হাসান বলেন, বিএনপির দেওয়া সতর্কতামূলক বার্তার মতো অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের অবস্থান থেকে এ ধরনের কথা বলতে পারে। সেটাও অন্তর্বর্তী সরকার বিবেচনায় রেখেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের অনাস্থা তৈরি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় দল বিএনপি বলেছে, এখনো অনাস্থার কোন পরিবেশ তৈরি হয়নি। কাজেই অনাস্থা তৈরির মতো কোনো পরিবেশ আমি দেখতে পাচ্ছি না।
নির্বাচন সংক্রান্ত পরিকল্পনা জানতে চাইলে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি সে কথা জাতীয় পর্যায়ে ভাষণ দিয়ে জনগণসহ সবাইকে জানিয়েছেন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গিয়েও একই কথা বলেছেন। এর থেকে ভিন্ন কোনো কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলার আর কোনো সুযোগ নেই। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে সময়সীমা জানিয়েছেন, সেই সময়সীমার মধ্যেই এখনো আমরা স্থির রয়েছি।
এই সময়ের মধ্যে সংস্কার এবং বিচার সম্ভব কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়গুলো প্রক্রিয়াকেন্দ্রিক। এগুলো কখন শুরু হবে আর কখন শেষ হবে সেটি আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না। ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রধানেরা তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দেবেন। তারপর এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে সরকার কেমন করে কাজ করবে বা কেমন করে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলবে অথবা কতদিনের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ হবে সেই সময় আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। তাছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কোনো ম্যান্ডেট নেই যে, আজকেই সরকার গঠন করে কালকেই সব সংস্কার শেষ করে পরশুদিন নির্বাচন করব। এভাবে সম্ভব না। তাছাড়া সংস্কার প্রক্রিয়াটি যেন স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হচ্ছে। তবে আমরা যে সময়সীমার কথা বলছি, সেই সময়ের মধ্যেই কিছু বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চায় সেটি সম্ভব কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমরা বলেছি, কোন দল নির্বাচন করবে বা কেমন করে রাজনীতির মাঠে ফিরবে সেটি সেই দলের ওপর নির্ভর করে। এটার প্রক্রিয়া সরকার বলে দেবে না।