বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মো. আশরাফুল। তার অফিস মতিঝিলে। সকল ৯টায় মিরপুরের বাসা থেকে মোটরসাইকেলে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা করেন তিনি। অফিসে পৌঁছাতে বেজে যায় সাড়ে ১০টা। সচরাচর বাসা থেকে অফিসে যেতে তার সময় লাগে এক ঘণ্টারও কম। তবে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) মিরপুর থেকে মতিঝিলের রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি। মোড়ে মোড়ে তাকে যানজটে পড়তে হয়েছে। এজন্য অফিসে পৌঁছাতেও দেরি হয়।
শুধু আশরাফুল নয়, মিরপুর থেকে মতিঝিল, পল্টন, শাহবাগ অঞ্চলে যাতায়াত করা অধিকাংশ মানুষকে আজ সকালে যানজটে পড়তে হয়েছে। তবে মালিবাগ, কাকরাইল, রামপুরা অঞ্চলে তুলনামূলক যানজট কম দেখা গেছে। আর বাড্ডা, নতুনবাজার এলাকায় চিরচারিত যানজট ঠেলে কর্মব্যস্ত মানুষদেরকে গন্তব্যে যেতে হয়েছে।
এদিকে, সকালে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় যেমন যানজট হয়েছে, বিকেলে তার থেকে বেশি যানজট হতে পারে বলে ধারণা করছেন পরিবহনের চালক ও সহকারীরা।
তারা বলছেন, সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় অনেকে অফিস করে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। ফলে রাস্তায় মানুষের চাপ বাড়বে। এতে যানজট সৃষ্টি হতে পারে।
মিরপুর, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, তেজগাঁও অঞ্চল ঘুরে জাগো নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মুরাদ হুসাইন জানান, মিরপুরের, আগারগাঁও, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, তেজগাঁও অঞ্চলের সব রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা গেছে। এসব অঞ্চলে সকাল থেকেই গাড়ির চাপ রয়েছে।
মতিঝল, কমলাপুর, খিলগাঁও, মানিকনগর ঘুরে তুলনামূলক কম যানজট দেখা গেছে। তুরাগ পরিবহনের সহকারী ফিরোজ বলেন, ‘আমাদের গাড়ি যে রুটে চলাচল করে, এ রুটে প্রতিদিন যানজট থাকে। ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় বৃহস্পতিবার যানজট তুলনামূলক বেশি থাকে। তবে আজ যানজট তুলনামূলক কম মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সকালে যানজট কম হলেও বিকেলে এ রুটে অনেক যানজট হবে বলে আমরা ধারণা করছি। কারণ অফিস ছুটির পর রাস্তায় মানুষের চাপ বেড়ে যাবে। ঢাকার আশেপাশে যাদের গ্রামের বাড়ি, তারা অনেকেই ঢাকা ছাড়বেন।
গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট মোড় থেকে আকাশ পরিবহনের চালক খায়রুল হোসেন বলেন, ‘নতুন বাজার, শাহজাদপুর, উত্তর বাড্ডা, মধ্যবাড্ডা এবং রামপুরায় যানজটে পড়তে হয়েছে। তবে আবুল হোটেল পার হওয়ার পর তেমন যানজট পায়নি।
সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম