উত্তম চক্রবর্তী,মণিরামপুর অফিস।। যশোরের রাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার ঝোপ-ঝাড়ে, জঙ্গলে এমনকি রাস্তার ধারেও নিজের সৌন্দর্যের রূপ ছড়াতে ফুটেছে ভাটি ফুল। বসন্ত ঋতুতে মাঠে প্রান্তরে যে ফুলগুলো সহজেই মানুষের নজর কাড়ে তার মধ্যে অন্যতম হলো ভাটি ফুল।
জানাগেছে- সনাতন ধর্মালম্বীরা ভাটি পূজায় এই ফুল ব্যবহার করে থাকে। ভাটি ফুল বাংলাদেশের মানুষের একেবারে চোখের সামনে থাকা একটি ফুল। মূলত এটি বুনো ফুল। একে বলা হয় হিল গেন্টারী বোয়ার। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘ক্লোরোডেনড্রাম ভিসকোসাম’ ভারবেনাসেই গণের এই ফুল ল্যামিয়া সেই পরিবারভুক্ত। এটি ইনফেরচুনাটাম প্রজাতির এবং বাংলাদেশের আদি ফুল। বাংলাদেশের মাটিতে এই ফুলের গাছ অত্যন্ত অনাদরে জন্মে এবং বেড়ে ওঠে। ছোট আকৃতির ও বেশ ঝোপঝাড় প্রকৃতির হয়ে থাকে। সবুজ বহুপত্রী ভাটি গাছের ফুল ধবধবে সাদা। ফুল ফোটে থোকায় থোকায়। দেশের সবখানেই কম-বেশী এই ফুল দেখা যায়। ভাটি ফুলের পাপড়ি পাঁচটি ও পাপড়ির গোড়ার দিকটা হালকা বেগুনি রঙের। প্রতিটি ফুলে ৪ টি করে পুংকেশর সামনের দিকে বেরিয়ে আসে। পুংকেশরের অগ্রভাগ হয় স্ফীত ও কালো। রাতে বেশ গন্ধ ছড়ায় এই ফুল।
আগের যুগের মায়েরা ভাটি ফুলের রস বানাতো ও বাচ্চাদের সেই রস খাওয়াতো রসগুলো দেখতে অবিকল দুধের ন্যায় হতো, কিন্তু স্বাদে তিতো হতো বলে বাচ্চারা সেই রস খেয়ে মায়ের বুকের দুধ খাওয়া ছাড়তো বলে প্রবাদ আছে। এই ভাটি ফুল গাছ একেক এলাকায় একেক নামে পরিচিত। যেমন- ঘেটু ফুল, ভাত ফুল, ঘণ্টাকর্ণ নামে।
Facebook Comments Box