যে দেশে পোকামাকড়, সাপ কিছুই নেই

ছবি সংগৃহীত

 

আমাদের চারপাশে সাপ, বিচ্ছুসহ আরও নানান ধরনের পোকামাকড় রয়েছে। যার মধ্যে আছে কিছু বিষাক্ত পোকা। যার এক কামড়ে মৃত্যু হতে পারে। মশাই তার মধ্যে একটি। ছোট্ট এই পোকার কামড়ে আক্রান্ত হতে পারেন জীবন কেড়ে নেওয়া ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ায়।

 

বর্ষায় এসব মশাবাহিত রোগে বেশি আক্রান্ত হন মানুষ। বছরে অসংখ্য মানুষ মারা যান মশাবাহিত এসব রোগে। তবে জানেন কি, পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আছে যেখানে কোনো মশা নেই। এমনকি সেখানে পোকামাকড়, সাপ কিছুই নেই। দেশটির নাম হলো আইসল্যান্ড।

 

দেশটির প্রতিবেশী দেশ নরওয়ে, ডেনমার্ক, স্কটল্যান্ড এমনকি গ্রীনল্যান্ডেও যথেষ্ট মশার উৎপাত আছে। নেই শুধু আইসল্যান্ডে। আইসল্যান্ডের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না মশারা। এখানকার হ্রদে মশারা বংশ বিস্তারের আসলে সুযোগই পায় না। কারণ বছরে তিনবার হ্রদগুলো পুরোপুরি বরফে পরিণত হয়।

 

আরও মজার বিষয় হলো আইসল্যান্ডিক ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে মশার দেহাবশেষ সংরক্ষিত আছে। দ্য টেলিগ্রাফের মতে, অ্যান্টার্কটিকা এবং আইসল্যান্ড পৃথিবীর এমন দুটি অবস্থান যেখানে বিরক্তিকর কীটপতঙ্গ কখনো আবাস গড়তে পারেনি।

মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে বেশিরভাগ বাড়িতেই ইলেকট্রিক লিকুইড ভেপোরাইজার মেশিন ব্যবহার করা হয়। অনেকেই অল আউট বা গুড নাইটের মতো মশা তাড়ানোর মেশিন ব্যবহার করেন। তবে গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোতে মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে প্রতি নিয়ত মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু আইসল্যান্ডে এসবের কোনো কিছুই প্রয়োজন হয় না।

এছাড়া এই দেশে কোনো সাপও নেই। জল ও স্থলভাগ অতিমাত্রায় শীতল-এমন দেশে সাপ বসবাস করতে পারে না। এ কারণে আইসল্যান্ডে সাপের কোনো অস্তিত্ব নেই। আইসল্যান্ড যেহেতু শীতপ্রধান দেশ তাই সাপ এখানে টিকতে পারে না। বিজ্ঞানীরা প্রায়ই এসব দেশে সাপ ছেড়ে দেয় পরীক্ষার জন্য। এখনো তারা গবেষণা করছেন–বরফে আচ্ছাদিত এসব দেশে সাপ নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে কি না। তবে সেই গবেষণা ফেল হয়েছে কিছু দিনের মধ্যেই। সূত্র: কার্লে টেলস, সিএনএন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» এবার আর দিনের ভোট রাতে হবে না : ফারুক

» যারা নির্বাচনে আসতে চায় না তারা হাসিনার সুরেই কথা বলছে : আমীর খসরু

» ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই, নির্বাচন হবেই : দুদু

» ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রকৃত অপরাধীদের বিচার শেখ হাসিনা চাননি: আসামিপক্ষ

» হাসিনা যদি গণভবনে মারা যেতেন, আ.লীগ বেঁচে যেত: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

» এই সরকারের ব্যর্থতার ফলে আ. লীগের প্রত্যাবর্তন হতেও পারে: রুমিন ফারহানা

» স্ত্রীসহ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

» নুরের অবস্থা ভালো না, নাক থেকে এখনো রক্ত বের হচ্ছে: রাশেদ খাঁন

» বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১০৮৩ জন আসামি গ্রেফতার

» নির্বাচনে কোনো অন্যায় প্রশ্রয় দেবো না: ইসি রহমানেল মাসুদ

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

যে দেশে পোকামাকড়, সাপ কিছুই নেই

ছবি সংগৃহীত

 

আমাদের চারপাশে সাপ, বিচ্ছুসহ আরও নানান ধরনের পোকামাকড় রয়েছে। যার মধ্যে আছে কিছু বিষাক্ত পোকা। যার এক কামড়ে মৃত্যু হতে পারে। মশাই তার মধ্যে একটি। ছোট্ট এই পোকার কামড়ে আক্রান্ত হতে পারেন জীবন কেড়ে নেওয়া ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ায়।

 

বর্ষায় এসব মশাবাহিত রোগে বেশি আক্রান্ত হন মানুষ। বছরে অসংখ্য মানুষ মারা যান মশাবাহিত এসব রোগে। তবে জানেন কি, পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আছে যেখানে কোনো মশা নেই। এমনকি সেখানে পোকামাকড়, সাপ কিছুই নেই। দেশটির নাম হলো আইসল্যান্ড।

 

দেশটির প্রতিবেশী দেশ নরওয়ে, ডেনমার্ক, স্কটল্যান্ড এমনকি গ্রীনল্যান্ডেও যথেষ্ট মশার উৎপাত আছে। নেই শুধু আইসল্যান্ডে। আইসল্যান্ডের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না মশারা। এখানকার হ্রদে মশারা বংশ বিস্তারের আসলে সুযোগই পায় না। কারণ বছরে তিনবার হ্রদগুলো পুরোপুরি বরফে পরিণত হয়।

 

আরও মজার বিষয় হলো আইসল্যান্ডিক ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে মশার দেহাবশেষ সংরক্ষিত আছে। দ্য টেলিগ্রাফের মতে, অ্যান্টার্কটিকা এবং আইসল্যান্ড পৃথিবীর এমন দুটি অবস্থান যেখানে বিরক্তিকর কীটপতঙ্গ কখনো আবাস গড়তে পারেনি।

মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে বেশিরভাগ বাড়িতেই ইলেকট্রিক লিকুইড ভেপোরাইজার মেশিন ব্যবহার করা হয়। অনেকেই অল আউট বা গুড নাইটের মতো মশা তাড়ানোর মেশিন ব্যবহার করেন। তবে গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোতে মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে প্রতি নিয়ত মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু আইসল্যান্ডে এসবের কোনো কিছুই প্রয়োজন হয় না।

এছাড়া এই দেশে কোনো সাপও নেই। জল ও স্থলভাগ অতিমাত্রায় শীতল-এমন দেশে সাপ বসবাস করতে পারে না। এ কারণে আইসল্যান্ডে সাপের কোনো অস্তিত্ব নেই। আইসল্যান্ড যেহেতু শীতপ্রধান দেশ তাই সাপ এখানে টিকতে পারে না। বিজ্ঞানীরা প্রায়ই এসব দেশে সাপ ছেড়ে দেয় পরীক্ষার জন্য। এখনো তারা গবেষণা করছেন–বরফে আচ্ছাদিত এসব দেশে সাপ নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে কি না। তবে সেই গবেষণা ফেল হয়েছে কিছু দিনের মধ্যেই। সূত্র: কার্লে টেলস, সিএনএন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com