ফুটবল মানেই উত্তেজনা। বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতি দর্শক-সমর্থকদের বরাবরই আলাদা একটা টান থাকে। আগ্রহ থাকে বিশ্বকাপের প্রতিটা বিষয়ের প্রতিও। বিশ্বকাপে অফিশিয়াল থিম সং নিয়েও কম উন্মোদনা থাকে না। থিম সং দিয়ে বিশ্বকাপের আবেগের বহি:প্রকাশ হয়। আয়োজক দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যও তুলে ধরা হয় অনেক সময়।
১৯৩০ সালে উরগুয়ে বিশ্বকাপের মাধ্যমে ফুটবল বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৬২ সাল থেকে বিশ্বকাপ থিম সং প্রকাশ শুরু করে ফিফা। এরপর থেকে থিম সং ছাড়া আর বিশ্বকাপ ভাবাই যায় না।
মন মাতানো সুর আর সঙ্গীতে ভেসে উঠে বিশ্বকাপ আসর। এরই মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে কাতার বিশ্বকাপের অফিশিয়াল থিম সং। এবার ফুটবলপ্রেমীরা মাতবে নাইজেরিয়ার তারকা সংগীতশিল্পী ডাভিদোর কণ্ঠে। তার সঙ্গে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিনিদাদ কারদোনা এবং কাতারের তারকা আয়শার গানে।
একনজরে বিশ্বকাপের সকল থিম সং:
১৯৬২ চিলি বিশ্বকাপ: ‘এল রক ডেল মুন্ডিয়াল’ (ওয়ার্ল্ড কাপ রক)
১৯৬২ সালে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় লাতিন আমেরিকার দেশ চিলিতে। বিশ্বকাপের ৭ম আসরে ইতিহাসের প্রথম অফিসিয়াল থিম সং প্রকাশ করে ফিফা। ফুটবল ও ফুটবল বিশ্বকাপের জয়গান করে স্প্যানিশ ভাষায় রচিত এল রক ডেল মুন্ডিয়াল’ গানটি গেয়েছিল বিখ্যাত ব্যান্ড দল ‘লস র্যাম্বলার্স’।
জনপ্রিয়তার দিক থেকে গানটি এগিয়ে না থাকলেও বিশ্বকাপের প্রথম থিম গান হওয়াতে গানটি বিশ্বকাপ ফুটবল ইতিহাসের এক অংশ হয়ে আছে। গানটির অডিও প্রকাশ করা হয়েছিলো সে সময়।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=84jZDpJHP3Q
১৯৬৬ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ: ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি
বিশ্বকাপের প্রথম মাসকট উইলি। উইলি মূলত একটি সিংহ শাবক। এই সিংহ শাবকটিকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছিল বিশ্বকাপ ফুটবলের ২য় থিম সং। লাল, সাদা, ধূসর বর্ণের এই সিংহ শাবকটির পরনে ছিল তৎকালীন ইংল্যান্ডের পতাকা ইউনিয়ন জ্যাক।
কিং অব স্কিফল খ্যাত শিল্পী লনি ডোনেগানের গাওয়া এই গানটি ছিল ‘হি ইজ ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি, উই অল লাভ হিম’। সেবার প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। ফুটবল ভক্ত ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে গাওয়া গানটি বেশ নরম রিদমের ছিল।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=Vn1ocjcD-ZE
১৯৭০ মেক্সিকো বিশ্বকাপ: ফুটবল মেক্সিকো ‘৭০’
১৯৭০ বিশ্বকাপ থেকে প্রথমবারের মতো নিজের প্রিয় দলকে রঙিন জার্সিতে দেখার সুযোগ পায় ভক্তরা। কিংবদন্তি পেলের সেটিই ছিল শেষ বিশ্বকাপ। স্পেনের শিল্পী লস হারমানস জাভালার স্প্যানিশ ভাষায় গাওয়া ‘ফুটবল মেক্সিকো ‘৭০’ গানটি মেক্সিকো বিশ্বকাপের থিম সং। ফুটবল মেক্সিকো নামের সেই গানটির রচয়িতা ছিলেন রবার্তো দো নাসামিন্তো।
১৯৭০ বিশ্বকাপে ৩য় বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। ৩ বার বিশ্বকাপ জেতার ফলে বিশ্বকাপ ফুটবলের তৎকালীন ট্রফি জুলে রিমে ট্রফি রাখার অনুমতি পায় ব্রাজিল। সে সময় বিশ্বকাপে লাইভ পারফরমেন্স ও মিউজিক ভিডিওর চল না থাকায় অডিও প্রকাশ পায়।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=PqWQ78FjZms
১৯৭৪ জার্মানি বিশ্বকাপ: ফুটবল
১৯৭৪ সালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অনু্ষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপের ১০ম আসর। ‘ফুটবল’ নামের গানটি পোলান্ডের শিল্পী মেরিলা রোডোইজের গাওয়া গানটি ছিল এই বিশ্বকাপের থিম সং। এই গানটি ছিল স্প্যানিশ, রুশ, ইংরেজী, পোলিশ, জার্মানসহ মোট ৫টি ভাষায়।
এ যাবৎ এই গানটিই সর্বাধিক ভাষায় রচিত কোনো থিম সং। গানটি লিখেছিলেন পোল্যান্ডের বিখ্যাত কবি এবং গীতিকার জোনাস কোফতার। সেই বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো সরাসরি থিম সং পরিবেশন করেন মারিলা।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=oY-N1607m4I
১৯৭৮ আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ: এল মুন্ডিয়াল
১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে কোনো থিম সং প্রকাশ করেনি ফিফা। ‘এল মুন্ডিয়াল’ শিরোনামের এই সাউন্ডট্র্যাকটি ছিল মূলত একটি টিউন।
ইতালির বিখ্যাত সুরকার এনিও মরিকোনের সুর করা এই টিউনটি ভায়োলিনের সাহায্যে সম্পন্ন করেছিল আর্জেন্টিনার বিখ্যাত অর্কেস্ট্রা কোম্পানি বুয়েন্স আয়ার্স মিউনিসিপল সিম্ফনি। সেই আসরে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=hCQdUFhc1P8
১৯৮২ স্পেন বিশ্বকাপ: মুন্ডিয়াল ‘৮২’
১৯৮২ বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ ছিল স্পেন। এ বিশ্বকাপের থিম সংটি বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। স্প্যানিশ ভাষায় রচিত গানটি বিশ্বকাপের জনপ্রিয় থিম গানগুলোর মধ্যে একটি। গানটি গেয়েছিলেন জনপ্রিয় স্প্যানিশ গায়ক প্ল্যাসিডো ডমিংগো।
এই গানটির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের কোনো থিম গানকে তার স্বাগতিক দেশের নিজস্ব সুর এবং সেই দেশের ঐতিহ্যের মাধ্যমে প্রকাশ করে।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=vwT1Xb4vMpQ
১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপ: অ্যা স্পেশাল কাইন্ড অব হিরো
১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল মেক্সিকো। আসর দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা দিয়েগো ম্যারাডোনার সেই ‘হ্যান্ড অব গড গোলটি’ এখনো সমালোচিত। এ বিশ্বকাপের হিরো ছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ম্যারাডোনা।
‘এ স্পেশাল কাইন্ড অব হিরো’ অফিশিয়াল থিম সংটি ফাইনালে পরিবেশন করেন ব্রিটিশ সংগীত শিল্পী এবং মঞ্চ অভিনেত্রী স্টেফানী লরেন্স। বিশ্বকাপ শেষে পুরো বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার পারফর্মেন্স নিয়ে হিরো নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করে ফিফা।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=lgig3IbLz-4
১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপ: ইউএন’স্টেট ইতালিয়ানা (এন ইতালিয়ান সামার)
১৯৯০ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের এ থিম সংটি সহজেই সবার মনে ধরে। গানটি বিশ্বকাপের জনপ্রিয় থিম সংগুলোর মধ্যে একটি। উৎসাহ প্রদান করা গানটি পরিবেশন করেন ইতালির জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অ্যাডোআর্ডোন বেন্নাতো ও ন্যান্নিনি জিয়ান্না।
ইংরেজি ও ইতালিয়ান ভাষায় গাওয়া হয়। সে সময় ইতালিতে সর্বাধিক বিক্রিত গানের সিডির মধ্যে ‘উনিএস্টেট ইতালিয়ানা’ গানটির সিডি ছিল অন্যতম।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=C532kGa7j1A
১৯৯৪ আমেরিকা বিশ্বকাপ: গ্লোরিল্যান্ড
১৯৯৪ সাল যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত হয় বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপের থিম সংটি অন্যসব গান থেকে আলাদা। থিম সংটি পপ এবং রক এই ২ মিউজিককেই প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গীত শিল্প ড্যারিল হলের গাওয়া গানটিতে কোনো একক বা যৌথ শিল্পী ছিলেন না। গানটিতে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দেশগুলো বৈচিত্র্য তুলে ধরা হয়।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=9lyNR0UMVic
১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপ: লে কোপা ডে ভিডা (দ্যা কাপ অব লাইফ)
দ্য কাপ অব লাইফ, যার স্প্যানিশ অর্থ ছিল ‘লা কোপা ডে লা ভিদা’। মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী রিকি মার্টিনের গাওয়া ‘দ্যা কাপ অব লাইফ’ গানের ‘গোল, গোল, গোল, আলে আলে আলে’ লাইনটি এখনও মানুষকে নাড়া দেয়।
ইংরেজি এবং স্প্যানিশ ভাষার এই গানটি রিকি মার্টিনের ক্যারিয়ার এর মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে সমাদৃত ছিল গানটি। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিল এবং ফ্রান্সের মধ্যকার ফাইনালের আগে গানটি পরিবেশন করেন রিকি মার্টিন।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে নতুন ধারার প্রথম অফিসিয়াল থিম সং হল এটি। ২০১০ সালের শাকিরার ওয়াকা ওয়াকা গানের আগে এই গানটি সবচেয়ে জনপ্রিয় বিশ্বকাপ থিম সং।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=SB7di2SPwWk
২০০২ দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপ: বুম
২০০২ সালের বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করে এশিয়ার ২ দেশ জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া। মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী অ্যানাস্তাশিয়া গাওয়া ২০০২ সালের থিম সংটি অনুপ্রেরণাদায়ক ছিলো।
হারজিত ভুলে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ও গাওয়া গানটি দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। গানটির মিউজিক ভিডিও তৈরি করেন মার্কোস সিয়েগা, মিউজিক ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছ লন্ডনে।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=pcbGxT7nG60
২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপ: দ্য টাইম অব আওয়ার লিভস
দ্বিতীয়বারের মতো ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করে জার্মানি। সুইডিশ-জার্মান গীতিকবি জর্জেন এলোফসনের লেখা গানটির প্রযোজনা করেন স্টিভ ম্যাক।
গানটি গেয়েছিল পপ মিউজিক ব্র্যান্ড ডিভো এবং আমেরিকান শিল্পী টনি ব্র্যাক্সটন। গানটির মিউজিক ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল একটি ফুটবল মাঠে, যার পরিচালনায় ছিলেন নাইজেল ডিক।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=4aOxDHqWyK0
২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ: ওয়াকা ওয়াকা
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত হয় ফিফা বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দর্শকনন্দিত অফিশিযাল সং ‘ওয়াকা ওয়াকা’ এ আসরেই প্রকাশ পায়। কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরার গাওয়া এই গানটি বিশ্বকাপের জনপ্রিয় থিম সংয়ের মধ্যে একটি। ব্যবসাসফলের দিক থেকে শীর্ষ এই গানটি শাকিরার ক্যারিয়ারে দিয়েছে নতুন মাত্রা।
গানটির মাধ্যমে খেলোয়াড়দের তুলনা করা হয়েছে সৈনিকদের সাথে এবং গোল করার যুদ্ধে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের জন্যে উৎসাহ দেওয়া হয়। সে বছর কোকাকোলা ওয়েভিন ফ্ল্যাগ নামে প্রচারমূলক গান তৈরি করে। অনেকের মতে, ওয়াকা ওয়াকার চেয়ে ওয়েভিন ফ্ল্যাগ গানটা বেশি সমাদৃত। তবে ফিফার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃত গান ছিল ওয়াকা ওয়াকাই।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=pRpeEdMmmQ0
২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ: ওলে ওলা (উই আর ওয়ান)
“ইটস ইয়োর ওয়ার্ল্ড, মাই ওয়ার্ল্ড, আওয়ার ওয়ার্ল্ড টুডে অ্যান্ড উই ইনভাইট দ্য হোল ওয়ার্ল্ড, হোল ওয়ার্ল্ড টু প্লে” গানটির মাধ্যমে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল স্বাগতম জানায় বিশ্বকাপের ২০ তম আসরকে। তিনজন জনপ্রিয় তারকা গেছেন ব্রাজিল বিশ্বকাপের এ থিম সং।
স্প্যানিশ, পর্তুগিজ এবং ইংরেজি ভাষায় রচিত গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কিউবান-আমেরিকান র্যাহপ সংগীতশিল্পী পিটবুল, মার্কিন অভিনেত্রী-সংগীতশিল্পী জেনিফার লোপেজ এবং ব্রাজিলের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ক্লদিয়া।
গত ব্রাজিল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরাসরি গানটি গেয়েছিলেন এই ৩ শিল্পী। এ গানের মাধ্যমে ব্রাজিলের ফুটবল প্যাশন তুলে ধরা হয়েছিলে।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=TGtWWb9emYI
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ: লিভ ইট আপ
২০১৮ সালের ২৫ ই মে প্রকাশ পায় রাশিয়া বিশ্বকাপের থিম গান। সনি মিউজিক এর প্রযোজনায় ইংরেজি, স্প্যানিশ এবং রুশ ভাষা মিশ্রিত এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মার্কিন গায়ক নিকি জ্যাম, র্যাপার অভিনেতা উইল স্মিথ এবং কসোভোর নাগরিক ইরা ইজত্রেফাই।
এ প্রসঙ্গে নিকি জ্যাম জানান, বিশ্বকাপের মতো একটি আসরে নিজেকে যুক্ত করতে পারাটা আমার ক্যারিয়ারের অনেক বড় অর্জন। গানটির মিউজিক ভিডিও প্রকাশ পায় ৪ঠা জুন। মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায় ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনহোকে। এছাড়াও আগের বিশ্বকাপের বিভিন্ন মুহুর্ত প্রকাশ পেয়েছে মিউজিক ভিডিওটিতে।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=kFMZUxX6K6o
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ: হায়া হায়া (একসঙ্গে ভালো)
চলতি বছর ২১ নভেম্বর থেকে কাতারে মহা সমারোহে শুরু হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। ফাইনাল হবে ১৮ ডিসেম্বর। এর আগে ১ এপ্রিল কাতার বিশ্বকাপের থিম সংটির নাম প্রকাশ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
বিশ্বকাপের থিম সংয়ের শিল্পী হলেন নাইজেরিয়ার তারকা সংগীতশিল্পী ডাভিদো। তার সঙ্গে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিনিদাদ কারদোনা এবং কাতারের তারকা আয়শা।
এই প্ৰথমবার ফিফা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল থিম সং একাধিক গানকে মিলিয়ে মিশিয়ে বানানো হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা একাধিক জ্যরের মিউজিককে এক সূত্রে গেঁথে সিঙ্গলস বানিয়েছেন। ফুটবল এবং সুরকে একই ব্র্যাকেটে রেখে শিল্পী, খেলার দুনিয়া, মিউজিক উৎসাহী সকলকে একসঙ্গে ধরে রাখতে উদ্যোগী হয়েছে ফিফা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিনিদাদ কর্ডোনা, আফ্রো বিটস আইকন দাবিদো, এবং কাতারের প্রখ্যাত মিউজিশিয়ান আইশা একসঙ্গে ভিডিওতে ধরা দিয়েছেন।
আমেরিকা, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রখ্যাত সুরকার এবং গায়কদের এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে বোঝানো হয়েছে ফুটবল এবং মিউজিক গোটা বিশ্বকে একসূত্রে বাঁধতে পারে।
গানটির ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=vyDjFVZgJoo
সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ