প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের পদ দুই দিন ধরে শূন্য রয়েছে। থেমে নেই দাফতরিক কাজকর্ম। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দেওয়া ছাড়া সব কাজই চলছে। সেই সঙ্গে নূরুল হুদা কমিশন বিদায় নেওয়ার দিন থেকেই হচ্ছে কর্মকর্তাদের রদবদল। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা বিদায়ের আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট সংক্রান্ত সব ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের বরণ করতে প্রস্তুতি চলছে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে।
সিইসি ও কমিশনারদের কক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। ইসির নিয়োগ পাওয়ার পর তাদের পছন্দমতো কেনা হবে নতুন ফার্নিচার। তবে ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এখন একটাই আলোচনা, কারা হচ্ছেন নির্বাচন কমিশনার। আবার নতুন নির্বাচন কমিশনারদের দফতরে কারা কাজ করছেন তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে সিইসি ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের একান্ত সচিব কারা হচ্ছেন? তা নিয়ে লবিং তদবির চলছে। গতকাল দিনভর ইসিতে আলোচনায় ছিল সিইসি ও দুই নির্বাচন কমিশনারের একান্ত সচিবের বদলির বিষয়টি। তবে ইসির দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। এদিকে সার্চ কমিটি নতুন কমিশন গঠনে কাজ করছে। সার্চ কমিটি ইসি নিয়োগের জন্য ১০ জনের নাম প্রস্তাব করলে, সেই তালিকা থেকে পাঁচজনকে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। তাই সবার চোখ এখন রাষ্ট্রপতি ও সার্চ কমিটির দিকে। ইসি নিয়োগে ১০ জনের নাম তালিকা চূড়ান্ত করতে সার্চ কমিটির হাতে সময় রয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তাই নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে দেশবাসীকে। নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার গণমাধ্যমকে বলেছেন, কমিশনারদের পদ শূন্য থাকলেও সাচিবিক কাজে কোনো সমস্যা হবে না। নতুন কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের কোনো তফসিল ঘোষণা হবে না। গতকাল নির্বাচন ভবনে গিয়ে দেখা যায়, নির্বাচন কমিশনারদের কক্ষের সামনে নাম লেখা থাকার প্লেটটি তুলে ফেলা হয়েছে। কক্ষগুলো ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে। পুরনো সবকিছু সরিয়ে কক্ষগুলো সাজানো হচ্ছে নতুনভাবে। প্রায় প্রস্তুত হয়েছে নতুন কমিশনারদের কক্ষগুলো। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মেয়াদের পাঁচ বছর পূর্ণ করে বিদায় নিয়েছে কে এম নূরুল হুদা কমিশন। ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তারা নিয়োগ পেয়েছিলেন। দেশে এখন পর্যন্ত ১২ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং ২৭ জন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জানা গেছে, গত দুই-তিন দিনে চারটি পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপনে বরিশাল-সিলেট বিভাগের দুই অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, দুই জেলার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ৭ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও দুই জেলার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া পৃথক আদেশে সদ্য বিদায়ী নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ও কবিতা খানমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার দফতর বদল করা হয়েছে।সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন