একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোণার খলিলুর রহমানকে (পলাতক) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৮ জুলাই শুনানি শেষে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
আসামি খলিলুরের বিরুদ্ধে শুনানিতে প্রসিকিউটর ছিলেন রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমইএচ তামিম।
২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
পাঁচ আসামি হলেন- রমজান আলী, মো. খলিলুর রহমান, তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, আশক আলী ও মো. শাহনেওয়াজ। এর মধ্যে চার আসামি রমজান আলী, আজিজুর রহমান, আশক আলী ও মো. শাহনেওয়াজ মৃত্যুবরণ করেন।
মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দুজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪-১৫টি বাড়িতে লুটপাট ও সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন।