যারা নির্বাচনে ভয় পায়, তারাই পিআর পদ্ধতি চায়: শামসুজ্জামান দুদু

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  পিআর পদ্ধতি নিয়ে যারা গোঁ ধরছেন, তারা সাধারণত নির্বাচন দেখে ভয় পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান  বলেছেন, তাদের (যারা পিআর পদ্ধতি চায়) নির্বাচনে ভয় পাওয়ার বাস্তব কারণও আছে। অনেক ইসলামী দল আছে, যাদের প্রার্থীরা কখনও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেননি। এর মধ্যে অন্যতম ইসলামী আন্দোলন। আওয়ামী লীগের কাছে এই দলটি যেভাবে নাস্তানাবুদ হয়েছে, বিশেষ করে বরিশালের সবশেষ নির্বাচনে তাদের পীর রক্তাক্ত হওয়ার পর এখন তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের সময় যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলোতেই তারা অংশগ্রহণ করেছে, আওয়ামী লীগকে তারা পেয়ারের সংগঠন মানতো।”

আজ সকালে চুয়াডাঙ্গার নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, যারা পিআর পদ্ধতি চায়, তারা যদি মনে করে এটি খুবই জনপ্রিয় বিষয়, তাহলে বিষয়টি তাদের কর্মসূচিতে নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে তারপর সিদ্ধান্ত নিক। কেননা এই পদ্ধতি চালুর জন্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগবে। পৃথিবীর যেসব দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে, সেসব দেশে তিন বছরের মধ্যে অন্তত ১০ বার সরকার পতন হয়েছে। নেপালই যার বড় দৃষ্টান্ত। একটি দেশের সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা বাধাহীনভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সরকারের স্থিতিশীলতা খুব জরুরি। সেটির নিশ্চয়তা পিআর পদ্ধতিতে থাকে না।

 

ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অন্যান্য দলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন দেশে সরকারি দল নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ও যদি কোনও রাজনৈতিক দল স্ব উদ্যোগে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, তাহলে এটি হবে তাদের জন্য ব্যর্থতা। হ্যাঁ, বিভিন্ন দলের বিভিন্ন দাবি থাকবে। দাবিগুলো নির্বাচনের কর্মসূচিতে উল্লেখ করে জণগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমই নির্বাচন। যদি সেসব দাবি জনপ্রিয় হয়, তাহলে তারা নির্বাচিত হবে। কিন্তু নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া ঠিক হবে না।

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে মাদারীপুরে মানববন্ধন

» রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ৩৫৫৯ মামলা

» আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করে শান্তির রাজনীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান মঈন খানের

» বড় কিছু নিয়ে ফিরছেন শাকিব খান, দিলেন বার্তা

» ৭১-এর পক্ষে-বিপক্ষের রাজনীতি নতুন প্রজন্ম গ্রহণ করতে রাজি নয়: নাহিদ

» ক্রীড়া বিকেন্দ্রীকরণে যথাযথ অবকাঠামো প্রয়োজন : আসিফ মাহমুদ

» নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব

» আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না: সালাহউদ্দিন

» ‘৫ আগস্টের পর নিরপেক্ষ মানুষও বিএনপির কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করে’: তারেক রহমান

» সেনায় গণতন্ত্রে উত্তরণ অপেক্ষায় নির্বাচন

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

যারা নির্বাচনে ভয় পায়, তারাই পিআর পদ্ধতি চায়: শামসুজ্জামান দুদু

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  পিআর পদ্ধতি নিয়ে যারা গোঁ ধরছেন, তারা সাধারণত নির্বাচন দেখে ভয় পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান  বলেছেন, তাদের (যারা পিআর পদ্ধতি চায়) নির্বাচনে ভয় পাওয়ার বাস্তব কারণও আছে। অনেক ইসলামী দল আছে, যাদের প্রার্থীরা কখনও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেননি। এর মধ্যে অন্যতম ইসলামী আন্দোলন। আওয়ামী লীগের কাছে এই দলটি যেভাবে নাস্তানাবুদ হয়েছে, বিশেষ করে বরিশালের সবশেষ নির্বাচনে তাদের পীর রক্তাক্ত হওয়ার পর এখন তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের সময় যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলোতেই তারা অংশগ্রহণ করেছে, আওয়ামী লীগকে তারা পেয়ারের সংগঠন মানতো।”

আজ সকালে চুয়াডাঙ্গার নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, যারা পিআর পদ্ধতি চায়, তারা যদি মনে করে এটি খুবই জনপ্রিয় বিষয়, তাহলে বিষয়টি তাদের কর্মসূচিতে নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে তারপর সিদ্ধান্ত নিক। কেননা এই পদ্ধতি চালুর জন্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগবে। পৃথিবীর যেসব দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে, সেসব দেশে তিন বছরের মধ্যে অন্তত ১০ বার সরকার পতন হয়েছে। নেপালই যার বড় দৃষ্টান্ত। একটি দেশের সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা বাধাহীনভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সরকারের স্থিতিশীলতা খুব জরুরি। সেটির নিশ্চয়তা পিআর পদ্ধতিতে থাকে না।

 

ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অন্যান্য দলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন দেশে সরকারি দল নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ও যদি কোনও রাজনৈতিক দল স্ব উদ্যোগে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, তাহলে এটি হবে তাদের জন্য ব্যর্থতা। হ্যাঁ, বিভিন্ন দলের বিভিন্ন দাবি থাকবে। দাবিগুলো নির্বাচনের কর্মসূচিতে উল্লেখ করে জণগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমই নির্বাচন। যদি সেসব দাবি জনপ্রিয় হয়, তাহলে তারা নির্বাচিত হবে। কিন্তু নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া ঠিক হবে না।

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com