যারা গালির স্লোগান দিচ্ছে তারাই জেনজিদের প্রতিনিধিরা, এরকম গালি শুনব তা কল্পনাও করতে পারিনি: নিলোফার চৌধুরী

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  রাজনীতির ময়দানে গালি দেওয়া স্লোগান নিয়ে নিন্দা জানিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি নিলোফার চৌধুরী মনি। জেনজি প্রজন্ম ও তাদের আচরণ দেখে রীতিমতো বিস্মিত এ বিএনপি নেত্রী। সম্প্রতি তিনি একটি টক শোতে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন।

 

গালির স্লোগান প্রসঙ্গে নিলোফার মনি বলেন, ‘চব্বিশে আমি ছিলাম। চব্বিশে অবশ্যই আপনাদের সঙ্গেই ছিলাম। আন্দোলনে তো ওরা সামনের কাতারে ছিল। ওরা আমাদের সন্তান। আমরা কিন্তু হারিয়ে যাইনি।

 

আমরাও ছিলাম। আমি ৯০-এর শেষেও ছিলাম। ৯০ আমার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। আমি শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছর অত্যাচার নিজে উপস্থিত থেকে দেখেছি। আমরা অনেক রকম টর্চারের মুখোমুখি হয়েছি। টর্চারগুলো দেখেছি। গুম, গুমের শিকার হওয়া সন্তানরা, এই গালি যদি দিতে হয় যে সন্তানটা তার বাবাকে কখনো দেখেনি, তারই কিন্তু দেওয়ার কথা বা শেখার কথা। জেনজি কী, আমি সংজ্ঞা জানতে চেয়েছিলাম। অনেকবার অনেকজনকে জিজ্ঞাসা করেছি।

 

এটা যদি জেনজি হয়, এখন স্লোগান দিচ্ছে তাদেরই প্রতিনিধিরা। এই দেখুন, ৫২ ও ৭১ বৈষম্যের চরম পর্যায়ে কিন্তু একটা দেশ বিভাগ হয়ে গেল, যুদ্ধ হয়ে গেল। লক্ষ লক্ষ মানুষ শহীদ হলো। মা বোনের সম্ভ্রম হারালো। কত যুদ্ধ শিশুরা এই দেশে বড় হলো যে কিনা নিজের কাছে নিজে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়। সেই মানুষগুলো কিন্তু গালি দেওয়ার কথা। এই হিপ্পিরা গালি দিত। আমি বইতে যা পড়েছিলাম বেদিন গালি দিত। আমি কখনো এরকম গালি শুনব তা কল্পনাও করতে পারিনি।

 

পুরান ঢাকায় বিএনপির ভেতরে দুই গ্রুপের মধ্যে হতে পারে অর্থ নিয়ে ঝগড়া হয়েছে বা ব্যবসা নিয়ে ঝগড়া হয়েছে, সেটাকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে গালিগুলো উদগীরণ হলো যেটা, কে প্রথম বের করল? বুয়েট থেকে মধ্যরাতে মিছিল বের হলো। বুয়েট বাংলাদেশের যদিও বিশ্বে ৬০০-৭০০ নাম্বার সিরিয়াল কিন্তু বাংলাদেশে বুয়েট এক নাম্বার হিসেবেই তাদের জানা হয়। যে ছাত্ররা সারাদিন পড়ালেখা করবে, তারা এই ধরনের ‘এক দুই তিন চার’ কিংবা ‘টিনের চাল গাছের ডাল’- এই ধরনের বক্তব্যের স্লোগান আমায় জীবনকালে আমি এই ধরনের স্লোগান শুনি নাই।

 

সন্তান মারা গেল আমার। ভাই মারা গেল আমার। আমরা আভ্যন্তরীণ সুরাহা করব এটার। দেখেন, এখানে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে, সিরিয়াস রহস্য সিরিয়াস ষড়যন্ত্র। যে কথাটা আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান সাহেব বারবারই বলেন যে দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এই যে জঘন্যতর স্লোগান এটা নিশ্চয়ই কোনো না কোনো দল এটাকে শুরু করেছে।

 

তারেক রহমানকে গালি দেওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে নিলোফার মনি বলেন, ‘তারেক রহমান সাহেব বাংলাদেশের বাইরে। সে ওইখান থেকে কি করছে যে তাকে নিয়ে গালি দিতে হবে? কোনো একটা দলের বিশেষ দলের বিশেষ সমস্যার কারণে এই জিনিসগুলো কিন্তু তারা করিয়েছে। এটা আমরা যে জানি না বা বুঝতে পারছি না, তা কিন্তু না।’

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নির্বাচন কমিশন অপেশাদার আচরণ করছে: সাদিক কায়েম

» ক্যাসিনো কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে আটক করেছে পুলিশ

» নির্বাচন ব্যবস্থা হাসিনা ভাঙেনি, ভেঙেছে তার বাপ প্রথম ভোট চোর ও ব্যাংক ডাকাত শেখ মুজিব: দুদু

» জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুরের সঙ্গে গণঅধিকার জড়িত নয়: রাশেদ খান

» যারা গালির স্লোগান দিচ্ছে তারাই জেনজিদের প্রতিনিধিরা, এরকম গালি শুনব তা কল্পনাও করতে পারিনি: নিলোফার চৌধুরী

» নির্বাচন নয়, আ. লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে: উপদেষ্টা আসিফ

» অস্ত্র ও গুলিসহ ৪ বনদস্যু আটক

» বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

» একাদশে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু রোববার

» বাকখালী নদী অবশ্যই অবৈধ দখল মুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

যারা গালির স্লোগান দিচ্ছে তারাই জেনজিদের প্রতিনিধিরা, এরকম গালি শুনব তা কল্পনাও করতে পারিনি: নিলোফার চৌধুরী

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  রাজনীতির ময়দানে গালি দেওয়া স্লোগান নিয়ে নিন্দা জানিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি নিলোফার চৌধুরী মনি। জেনজি প্রজন্ম ও তাদের আচরণ দেখে রীতিমতো বিস্মিত এ বিএনপি নেত্রী। সম্প্রতি তিনি একটি টক শোতে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন।

 

গালির স্লোগান প্রসঙ্গে নিলোফার মনি বলেন, ‘চব্বিশে আমি ছিলাম। চব্বিশে অবশ্যই আপনাদের সঙ্গেই ছিলাম। আন্দোলনে তো ওরা সামনের কাতারে ছিল। ওরা আমাদের সন্তান। আমরা কিন্তু হারিয়ে যাইনি।

 

আমরাও ছিলাম। আমি ৯০-এর শেষেও ছিলাম। ৯০ আমার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। আমি শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছর অত্যাচার নিজে উপস্থিত থেকে দেখেছি। আমরা অনেক রকম টর্চারের মুখোমুখি হয়েছি। টর্চারগুলো দেখেছি। গুম, গুমের শিকার হওয়া সন্তানরা, এই গালি যদি দিতে হয় যে সন্তানটা তার বাবাকে কখনো দেখেনি, তারই কিন্তু দেওয়ার কথা বা শেখার কথা। জেনজি কী, আমি সংজ্ঞা জানতে চেয়েছিলাম। অনেকবার অনেকজনকে জিজ্ঞাসা করেছি।

 

এটা যদি জেনজি হয়, এখন স্লোগান দিচ্ছে তাদেরই প্রতিনিধিরা। এই দেখুন, ৫২ ও ৭১ বৈষম্যের চরম পর্যায়ে কিন্তু একটা দেশ বিভাগ হয়ে গেল, যুদ্ধ হয়ে গেল। লক্ষ লক্ষ মানুষ শহীদ হলো। মা বোনের সম্ভ্রম হারালো। কত যুদ্ধ শিশুরা এই দেশে বড় হলো যে কিনা নিজের কাছে নিজে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়। সেই মানুষগুলো কিন্তু গালি দেওয়ার কথা। এই হিপ্পিরা গালি দিত। আমি বইতে যা পড়েছিলাম বেদিন গালি দিত। আমি কখনো এরকম গালি শুনব তা কল্পনাও করতে পারিনি।

 

পুরান ঢাকায় বিএনপির ভেতরে দুই গ্রুপের মধ্যে হতে পারে অর্থ নিয়ে ঝগড়া হয়েছে বা ব্যবসা নিয়ে ঝগড়া হয়েছে, সেটাকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে গালিগুলো উদগীরণ হলো যেটা, কে প্রথম বের করল? বুয়েট থেকে মধ্যরাতে মিছিল বের হলো। বুয়েট বাংলাদেশের যদিও বিশ্বে ৬০০-৭০০ নাম্বার সিরিয়াল কিন্তু বাংলাদেশে বুয়েট এক নাম্বার হিসেবেই তাদের জানা হয়। যে ছাত্ররা সারাদিন পড়ালেখা করবে, তারা এই ধরনের ‘এক দুই তিন চার’ কিংবা ‘টিনের চাল গাছের ডাল’- এই ধরনের বক্তব্যের স্লোগান আমায় জীবনকালে আমি এই ধরনের স্লোগান শুনি নাই।

 

সন্তান মারা গেল আমার। ভাই মারা গেল আমার। আমরা আভ্যন্তরীণ সুরাহা করব এটার। দেখেন, এখানে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে, সিরিয়াস রহস্য সিরিয়াস ষড়যন্ত্র। যে কথাটা আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান সাহেব বারবারই বলেন যে দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এই যে জঘন্যতর স্লোগান এটা নিশ্চয়ই কোনো না কোনো দল এটাকে শুরু করেছে।

 

তারেক রহমানকে গালি দেওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে নিলোফার মনি বলেন, ‘তারেক রহমান সাহেব বাংলাদেশের বাইরে। সে ওইখান থেকে কি করছে যে তাকে নিয়ে গালি দিতে হবে? কোনো একটা দলের বিশেষ দলের বিশেষ সমস্যার কারণে এই জিনিসগুলো কিন্তু তারা করিয়েছে। এটা আমরা যে জানি না বা বুঝতে পারছি না, তা কিন্তু না।’

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com