ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : বিতর্ক এড়াতে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর।
বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, ‘সংস্কারের জন্য এই সরকার অনেকগুলো কমিশন গঠন করেছে। তাদের প্রতি আমাদের এবং জনগণের আস্থা আছে। কিন্তু আমরা চাইবো সেটা দ্রুত সম্পাদন করে নির্বাচন কেন্দ্রিক যে সংস্কার ব্যবস্থা সেটির মাধ্যমে আমরা আলোর দিকে এগিয়ে যাবো। যত দেরি হবে তত বিতর্ক সৃষ্টি হবে। ততই এ বাংলাদেশের শত্রুরা সংগঠিত হবে। শেখ হাসিনা শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করবে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন, রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই অনেক বিতর্কের অবসান হয়ে যাবে এবং আস্থার সৃষ্টি হবে।
আজ রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আয়োজনে মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকেই বলছেন বিরোধী দল শুধু নির্বাচন নির্বাচন করছে, কিন্তু আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকেই নির্বাচনের কথা বলছি। একটা সুষ্ঠু নির্বাচিত সরকারই পারে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যেদিন কেয়ারটেকার সরকারকে আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত করে দিল সেদিন বেগম খালেদা জিয়া প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলেন- “আজ থেকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা, অনিশ্চয়তা ও সহিংসতা সৃষ্টি হলো”। হয়েছিলও তা-ই। আমরা দেখেছি ১৫ বছর ধরে একটা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা, গুম, হত্যা, ভয়াবহতার মধ্য দিয়ে একনায়কতন্ত্র ব্যবস্থার দিকে চলে যাচ্ছিল এই দেশ। গিয়েছিল প্রায়। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশা, যত দ্রুত সম্ভব এই জঞ্জাল পরিষ্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবেন এবং নতুন বাংলাদেশের যে স্বপ্ন সেটা বাস্তবায়নে এক ধাপ এগিয়ে যাবেন।
মওলানা ভাসানীকে নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মওলানা ভাসানী একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের জন্য আমৃত্যু লড়াই করে গেছেন। তিনি একমাত্র নেতা যিনি সংগ্রামে জয়ী হয়েও কখনো ক্ষমতায় যাননি। এই লোকটিকে এই দেশ, এই জাতি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারেনি। তাই আমরা যারা তার অনুসারী আছি তারা আসুন।