সংগৃহীত ছবি
রাজধানীর মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকায় কোনো গডফাদার-সন্ত্রাসীর জায়গা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন র্যাব-২ এর সিও অতিরিক্ত ডিআইজি খালিদুল হক তালুকদার।
মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজধানীর অন্যতম অপরাধ প্রবণ এলাকা হয়ে ওঠে মোহাম্মদপুর। একের পর এক ছিনতাই-ডাকাতিতে নাভিশ্বাস ওঠে এলাকাবাসীর। এ অবস্থায় সেখানে বিশেষ অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক অপরাধীকে। এই এলাকাকে অপরাধমুক্ত করতে চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন র্যাব-২ এর সিও।
অতিরিক্ত ডিআইজি খালিদুল হক জানান, মোহাম্মদপুর এলাকায় গত ৫ আগস্টের পর যৌথবাহিনী সেনাবাহিনী পুলিশ র্যাব মিলে প্রায় ৫০০ শতাধিক কিশোর গ্যাং, চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি বলেন, আমরা যাদেরকে ধরছি তারা প্রত্যেকে সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীর কোনো রাজনৈতিক পরিচয় হয় না। যেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করবে আমরা তাদেরকে আইনের আওতায় আনব।
কেন হঠাৎ করে এমন অরাজকতা বাড়লো— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যখন সামাজিক অস্থিরতা শুরু হয়, আপনারা জানেন ৫ আগস্টের পর একটি রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়। এই পরিবর্তনের জের ধরে সন্ত্রাসীরা তৎপর হয়ে ওঠে। ৫ আগস্টের পর মোহাম্মদপুরে যে পরিমাণ অপরাধ বেড়েছিল যৌথভাবে অভিযান করে জেনেভা ক্যাম্পসহ মোহাম্মদপুরের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। মোহাম্মদপুর ও আদাবর কেন্দ্রিক কোনো সন্ত্রাসী ও গডফাদারের স্থান হবে না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা, নবীনগর ও চাঁদ উদ্যান এলাকার মানুষের আতঙ্ক কব্জি কাটা আনোয়ারের মদদদাতাদের বিষয় জানতে চাইলে র্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, আনোয়ারের পেছনে দীর্ঘদিন লেগেছিলাম। আমাদের কাছে তথ্য আছে মোহাম্মদপুরের এক্সেল বাবু নামে এক ব্যক্তি তাকে মদদ দিচ্ছে। সে আড়ালে থেকে আনোয়ারকে ছত্রছায়া দেয়। সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম