মোরেলগঞ্জে ইট সোলিং সড়ক মরণফাঁদে পরিণত , ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি  : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলেরবাগেরহাটে মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের  খাউলিয়া বাজার সংলগ্ন কাঠের পুল থেকে চালিতাবুনিয়া ওলামাগঞ্জ মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় ২কিঃ মিঃ ইটের সোলিং রাস্তাটি  এখন মরণ ফাঁদ বর্তমানে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।দীর্ঘদিন যাবৎ জনবহুল এই রাস্তাটি মেরামত বা সংস্কার না করায় তা ভেঙ্গেচুরে এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অতিদ্রুত ইটের সলিং এই রাস্তাটি মেরামত বা সংস্কার করার জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি ।  বিস্তির্ণ অঞ্চলের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ইট উঠে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। চলাচলের সুবিধার্থে স্থানীয়রা কোথাও কোথাও ইট বিছিয়ে উপযোগী করলেও দীর্ঘদিন সংষ্কারের অভাবে সম্প্রসারিত গর্তগুলি পরিণত হয়েছে একেকটি মরণ ফাঁদে। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে ঘিরে নানা আশংকা জেঁকে বসেছে জনপদের সাধারণ মানুষের মধ্যে।

সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, এ রাস্তা দিয়ে  ১০ গ্রামের প্রায়  লাখো মানুষ
চলাচল করেওপর নির্ভরশীল আশপাশের সন্যাসী এসপি রাশিদিয়া , ৪টিসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সন্যাসী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এয়ারখান ডিগ্রি কলেজ, পশ্চিম খাউলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব খাউলিয়া, ওলামাগঞ্জ মাদ্রাসা, চালিতাবুনিয়া, নিশানবাড়িয়া, হিন্দুপাড়া, চিপা বারইখালীসহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। এছাড়া খাউলিয়া বাজার জামে মসজিদেও এই পুল ব্যবহার করেই যাতায়াত করতে হয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের।। তবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে বিস্তির্ণ অঞ্চলের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে থাকে। সর্বশেষ গত বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে থাকায় রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ছাড়া কোনো যানবাহন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। তা-ও আবার অনেক যায়গায় নেমে ঠেলে পার হতে হয়।

ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আবু সালেহ জানান, দীর্ঘদিন সংষ্কারের অভাবে এবং গেল বছর বর্ষাকালে দীর্ঘ দিন পানিতে ডুবে থাকায় রাস্তাটির করুণ পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

ছেলে-মেয়েদের হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় পড়ে বই খাতা ভেঁজার ঘটনা নিত্য-নৈমিত্তিক। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই রাস্তাটির আশু সংস্কারের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

১৬ নম্বর খাউলিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান  জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথম ওই রাস্তার কাগজপত্র তৈরি করে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠিয়েছেন। আরো আগেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জানিয়ে, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। পরবর্তী বরাদ্দ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» রায়পুর স্টিল ব্রিজ ও খাশের হাট রোডের বেহাল দশা, দুর্ভোগে জনসাধারণ

» বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১৮০৯ আসামি গ্রেফতার

» আ.লীগ শতশত কোটি টাকা লুটপাট করে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে : মঈন খান

» ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন পরিকল্পনার নিন্দা তারেক রহমানের

» দলকানা প্রশাসন দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় চলতে দেওয়া হবে না: শিবির সভাপতি

» অমানবিক পরিশ্রম হচ্ছে: জাবি উপাচার্য

» নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে ক্যাম্পাস থেকে প্রতিহত করা হবে: শিবিরের জিএস প্রার্থী

» ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই : চরমোনাই পীর

» সুন্দরবনে কুখ্যাত ডাকাত রাঙ্গা বাহিনীর দুই সহযোগীকে অস্ত্রসহ আটক, জিম্মি জেলেরা উদ্ধার

» মোরেলগঞ্জে ইট সোলিং সড়ক মরণফাঁদে পরিণত , ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মোরেলগঞ্জে ইট সোলিং সড়ক মরণফাঁদে পরিণত , ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি  : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলেরবাগেরহাটে মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের  খাউলিয়া বাজার সংলগ্ন কাঠের পুল থেকে চালিতাবুনিয়া ওলামাগঞ্জ মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় ২কিঃ মিঃ ইটের সোলিং রাস্তাটি  এখন মরণ ফাঁদ বর্তমানে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।দীর্ঘদিন যাবৎ জনবহুল এই রাস্তাটি মেরামত বা সংস্কার না করায় তা ভেঙ্গেচুরে এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অতিদ্রুত ইটের সলিং এই রাস্তাটি মেরামত বা সংস্কার করার জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি ।  বিস্তির্ণ অঞ্চলের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ইট উঠে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। চলাচলের সুবিধার্থে স্থানীয়রা কোথাও কোথাও ইট বিছিয়ে উপযোগী করলেও দীর্ঘদিন সংষ্কারের অভাবে সম্প্রসারিত গর্তগুলি পরিণত হয়েছে একেকটি মরণ ফাঁদে। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে ঘিরে নানা আশংকা জেঁকে বসেছে জনপদের সাধারণ মানুষের মধ্যে।

সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, এ রাস্তা দিয়ে  ১০ গ্রামের প্রায়  লাখো মানুষ
চলাচল করেওপর নির্ভরশীল আশপাশের সন্যাসী এসপি রাশিদিয়া , ৪টিসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সন্যাসী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এয়ারখান ডিগ্রি কলেজ, পশ্চিম খাউলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব খাউলিয়া, ওলামাগঞ্জ মাদ্রাসা, চালিতাবুনিয়া, নিশানবাড়িয়া, হিন্দুপাড়া, চিপা বারইখালীসহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। এছাড়া খাউলিয়া বাজার জামে মসজিদেও এই পুল ব্যবহার করেই যাতায়াত করতে হয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের।। তবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে বিস্তির্ণ অঞ্চলের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে থাকে। সর্বশেষ গত বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে থাকায় রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ছাড়া কোনো যানবাহন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। তা-ও আবার অনেক যায়গায় নেমে ঠেলে পার হতে হয়।

ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আবু সালেহ জানান, দীর্ঘদিন সংষ্কারের অভাবে এবং গেল বছর বর্ষাকালে দীর্ঘ দিন পানিতে ডুবে থাকায় রাস্তাটির করুণ পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

ছেলে-মেয়েদের হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় পড়ে বই খাতা ভেঁজার ঘটনা নিত্য-নৈমিত্তিক। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই রাস্তাটির আশু সংস্কারের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

১৬ নম্বর খাউলিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান  জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথম ওই রাস্তার কাগজপত্র তৈরি করে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠিয়েছেন। আরো আগেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জানিয়ে, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। পরবর্তী বরাদ্দ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com