মেয়াদ পূর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র ভাঙাবেন যেভাবে

সংগৃহীত ছবি

 

বিনিয়োগের সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। ব্যাংকে স্থায়ী আমানত এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের তুলনায় এবং নিশ্চিত ও সর্বোচ্চ মুনাফার দিক থেকেও সঞ্চয়পত্র সবচেয়ে আকর্ষণীয়।

 

চাইলে ১ বছর থেকে ৫ কিংবা ১০ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের পেনশনার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। পরিবার সঞ্চয়পত্র রয়েছে ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের।

আবার চাইলে মেয়াদ পূর্তির আগে আপনার যখন দরকার তখন সঞ্চয়পত্র ভেঙে আসল টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যত বছর পর সঞ্চয়পত্র ভাঙাচ্ছেন তত বছরের জন্য নির্ধারিত হার অনুযায়ী মুনাফা প্রদান করা হবে। তবে এর আগে অতিরিক্ত হারে যে মুনাফা পেয়েছেন তা আসল টাকা থেকে কর্তন করা হবে।

মেয়াদ পূর্তির পর সঞ্চয়পত্রের টাকা উত্তোলন করতে চাইলে তেমন কোনো কিছু করতে হবে না। মেয়াদ উত্তীর্ন হয়ে গেলে সঞ্চয়পত্রের মুল টাকার পরিমাণ আপনার দেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হয়ে যাবে। কিন্তু মেয়াদ পূর্তির আগে সঞ্চয়পত্রের টাকা উত্তোলন করতে চাইলে কী করতে হবে জেনে রাখা জরুরি।

 

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যালয়, সব তফসিলি ব্যাংক ও সব ডাকঘর থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। একই জায়গা থেকে ভাঙানোও যায়। ভাঙানোর দিন গ্রাহককে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদন করার নিয়ম রয়েছে।

 

মেয়াদ পূর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর জন্য যে ব্যাংক, ডাকঘর বা সঞ্চয় অধিদপ্তর অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেছেন সেখানে সাদা কাগজে বা প্রিন্ট করা লিখিত আবেদন করতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, সঞ্চয়পত্রের রেজিস্ট্রেশন কপি ও সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের অনলাইন প্রিন্ট কপি জমা দিন।

 

যে ব্যাংক থেকে আপনি সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেছেন তারা সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে কয়েকদিনের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করবে।

ডাকঘর থেকে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করলে, সঞ্চয়পত্র নিবন্ধন কপি এবং চেক বই নিয়ে সহকারী পোস্ট মাস্টার এর নিকট সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর আবেদন করুন (লিখিত)। মেয়াদ উর্ত্তীণের ক্ষেত্রে আবেদন করতে হবে না। তার অনুমোদন স্বাক্ষর নিয়ে ক্যাশ অফিসারের নিকট জমা দিতে হবে। এরপর তিনি পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।  সূএ :জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ভোট জালিয়াতি করে ২৯৩ আসন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শেখ মুজিব: তুষার

» পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন জাতি মেনে নেবে না: গোলাম পাওয়ার

» বিএনপির মধ্যে লুকিয়ে থাকা মোনাফেকদের চিহ্নিত করে রাখুন: আলতাফ হোসেন

» শেখ মুজিবের শাসন হাসিনার চেয়েও ভয়ংকর ছিল: রাশেদ খান

» শেখ হাসিনা না পালালে আমাদের কবর রচনা হতো: হান্নান মাসউদ

» সাঈদীকে সর্বপ্রথম ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল: আব্দুল হালিম

» শেখ মুজিব জাতির জনক নন, তবে তার ত্যাগ স্বীকার করি: নাহিদ ইসলাম

» জন্মাষ্টমী উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

» ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, কোনো শক্তি নেই বিলম্বিত করবে : প্রেস সচিব

» খালেদা জিয়ার জন্মদিনে ফুল পাঠালেন প্রধান উপদেষ্টা

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মেয়াদ পূর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র ভাঙাবেন যেভাবে

সংগৃহীত ছবি

 

বিনিয়োগের সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। ব্যাংকে স্থায়ী আমানত এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের তুলনায় এবং নিশ্চিত ও সর্বোচ্চ মুনাফার দিক থেকেও সঞ্চয়পত্র সবচেয়ে আকর্ষণীয়।

 

চাইলে ১ বছর থেকে ৫ কিংবা ১০ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের পেনশনার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। পরিবার সঞ্চয়পত্র রয়েছে ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের।

আবার চাইলে মেয়াদ পূর্তির আগে আপনার যখন দরকার তখন সঞ্চয়পত্র ভেঙে আসল টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যত বছর পর সঞ্চয়পত্র ভাঙাচ্ছেন তত বছরের জন্য নির্ধারিত হার অনুযায়ী মুনাফা প্রদান করা হবে। তবে এর আগে অতিরিক্ত হারে যে মুনাফা পেয়েছেন তা আসল টাকা থেকে কর্তন করা হবে।

মেয়াদ পূর্তির পর সঞ্চয়পত্রের টাকা উত্তোলন করতে চাইলে তেমন কোনো কিছু করতে হবে না। মেয়াদ উত্তীর্ন হয়ে গেলে সঞ্চয়পত্রের মুল টাকার পরিমাণ আপনার দেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হয়ে যাবে। কিন্তু মেয়াদ পূর্তির আগে সঞ্চয়পত্রের টাকা উত্তোলন করতে চাইলে কী করতে হবে জেনে রাখা জরুরি।

 

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যালয়, সব তফসিলি ব্যাংক ও সব ডাকঘর থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। একই জায়গা থেকে ভাঙানোও যায়। ভাঙানোর দিন গ্রাহককে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদন করার নিয়ম রয়েছে।

 

মেয়াদ পূর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর জন্য যে ব্যাংক, ডাকঘর বা সঞ্চয় অধিদপ্তর অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেছেন সেখানে সাদা কাগজে বা প্রিন্ট করা লিখিত আবেদন করতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, সঞ্চয়পত্রের রেজিস্ট্রেশন কপি ও সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের অনলাইন প্রিন্ট কপি জমা দিন।

 

যে ব্যাংক থেকে আপনি সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেছেন তারা সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে কয়েকদিনের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করবে।

ডাকঘর থেকে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করলে, সঞ্চয়পত্র নিবন্ধন কপি এবং চেক বই নিয়ে সহকারী পোস্ট মাস্টার এর নিকট সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর আবেদন করুন (লিখিত)। মেয়াদ উর্ত্তীণের ক্ষেত্রে আবেদন করতে হবে না। তার অনুমোদন স্বাক্ষর নিয়ে ক্যাশ অফিসারের নিকট জমা দিতে হবে। এরপর তিনি পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।  সূএ :জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com