মৃত্যুভয়

অনুবাদঃ মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ :একটা উজ্জ্বল সংবর্ধনা কক্ষের মধ্যে দাঁড়িয়েছিলাম আমি। আমার হাতে ছিল একটি সোনার থালা। সেটি ভর্তি ছিল মনোরম আনন্দ দিয়ে।

 

আমাকে জানানো হয়েছিল যে, বিকেলে আমার কিছু মৃত বন্ধুরা আমার সাথে দেখা করতে আসবে। এরা সবাই জীবিত অবস্থায় আমার খুব কাছের বন্ধু ছিল।

আমি তাদেরকে এগিয়ে আসতে দেখলাম। তাদের হাসির ধ্বনি আমি শুনতে পেলাম। আগমনের পর আমরা পরস্পর অভিবাদন বিনিময় করলাম। আমার হাতের থালার ভেতরটা দেখে তারা প্রশংসা শুরু করল।

 

কিন্তু তারপরেও হঠা‍ৎ করে আমার মন খারাপ হয়ে গেল। যখন আমি বললাম যে, তাদের আনন্দে শরীক হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, ডাক্তাররা আমাকে সুনির্দিষ্টভাবে ধূমপান করতে নিষেধ করে দিয়েছেন।

 

গভীর আতিশয্যের সাথে আমাকে পর্যবেক্ষণ করল তারা। তারপর তাদের চোখে-মুখে বিস্ময়ের রেখা ফুটে উঠল। সবাই চরম অবিশ্বাসে একসাথে বলে উঠল, ‘তুমি কি এখনও মৃত্যুর ভয় করো?’  সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম

 

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সহোদর দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা

» অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বিএনপিকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে: ফখরুল

» পূজার ছুটিতে পূর্বাঞ্চলে চলবে ৪ জোড়া স্পেশাল ট্রেন

» কিমা পুরি তৈরির রেসিপি

» এই সরকার অবশ্যই বৈধ তবে ১০৬ অনুচ্ছেদের কারণে নয় : শিশির মনির

» দেশের অশুভ শক্তিরা নির্বাচন ভন্ডুল করতে চায় : আযম খান

» কোস্ট গার্ডের অভিযানে কোটি টাকার ওষুধ জব্দ

» আ.লীগ থেকে যারা বিএনপিতে আসতে চান, তাদের না করব না : হুম্মাম কাদের

» সিএমএইচে ভর্তি হয়েছেন কর্নেল অলি আহমদ

» কানাডার ক্যালগেরিতে সংগীত সন্ধ্যায় দর্শক মাতালেন হাসান

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মৃত্যুভয়

অনুবাদঃ মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ :একটা উজ্জ্বল সংবর্ধনা কক্ষের মধ্যে দাঁড়িয়েছিলাম আমি। আমার হাতে ছিল একটি সোনার থালা। সেটি ভর্তি ছিল মনোরম আনন্দ দিয়ে।

 

আমাকে জানানো হয়েছিল যে, বিকেলে আমার কিছু মৃত বন্ধুরা আমার সাথে দেখা করতে আসবে। এরা সবাই জীবিত অবস্থায় আমার খুব কাছের বন্ধু ছিল।

আমি তাদেরকে এগিয়ে আসতে দেখলাম। তাদের হাসির ধ্বনি আমি শুনতে পেলাম। আগমনের পর আমরা পরস্পর অভিবাদন বিনিময় করলাম। আমার হাতের থালার ভেতরটা দেখে তারা প্রশংসা শুরু করল।

 

কিন্তু তারপরেও হঠা‍ৎ করে আমার মন খারাপ হয়ে গেল। যখন আমি বললাম যে, তাদের আনন্দে শরীক হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, ডাক্তাররা আমাকে সুনির্দিষ্টভাবে ধূমপান করতে নিষেধ করে দিয়েছেন।

 

গভীর আতিশয্যের সাথে আমাকে পর্যবেক্ষণ করল তারা। তারপর তাদের চোখে-মুখে বিস্ময়ের রেখা ফুটে উঠল। সবাই চরম অবিশ্বাসে একসাথে বলে উঠল, ‘তুমি কি এখনও মৃত্যুর ভয় করো?’  সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম

 

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com