রাশিয়ার সাইবেরিয়া রাজ্যসহ অন্যান্য জায়গায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। যা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে অনেকটা ভেতরে। রাশিয়ার বিমান ধ্বংসের এমন দুঃসাহসী অভিযান কীভাবে চালানো হয়েছে সেটির বিস্তারিত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার (এসবিইউ) তথ্য অনুযায়ী, ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’ নামের এ অভিযানটি চালাতে দেড় বছর ধরে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজে তত্ত্বাবধান করেছেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা প্রথমে ‘এফপিভি ড্রোন’ রাশিয়ায় পাচার করে। এরপর দেশটিতে নিয়ে যায় কাঠের মোবাইল কেবিন।
ড্রোন ও কাঠের কেবিনগুলো রাশিয়ায় পৌঁছার পর ড্রোনগুলো ওই কেবিনের ছাদের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। আর ওই কেবিনগুলো রাখা হয় ট্রাকে। হামলার সময় ওই কেবিনগুলোর ছাদটি রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে খোলা হয়। এরপর ড্রোনগুলো রিমোট কন্ট্রোলে কেবিন থেকে বের করে রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে থাকা বিমানের ওপর হামলা চালাতে থাকে ইউক্রেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ট্রাকের ওপর থেকে ড্রোন বের হচ্ছে। ইউক্রেনের ধারণা আজকের হামলায় রাশিয়ার অন্তত ২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
ইউক্রেন যেসব বিমানে হামলা চালিয়েছে তারমধ্যে রয়েছে টিইউ-৯৫এস স্ট্রেটেজিক বোম্বার, টিইউ-২২এম৩এস সুপারসনিক দূরপাল্লার বোম্বার এবং এ-৫০ সংকেত ও নিয়ন্ত্রণ বিমান। সূত্র: বিবিসি