মুখের যে লক্ষণ ফ্যাটি লিভারের ইঙ্গিত দেয়

ছবি সংগৃহীত

 

ফ্যাটি লিভার একটি গুরুতর ব্যাধি। এই রোগ গুরুতর আকার ধারণ করলে এর থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস। তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার এই রোগ নিয়ে সতর্ক করেন।

 

ফ্যাটি লিভার দুই ধরনের হয়- অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ও নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের কারণ হলো মদ্যপান। অপরদিকে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের পেছনে থাকে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস।

এই অসুখের লক্ষণ প্রথমেই চিনে নিতে পারলে চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার বদলের মাধ্যমে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই এই কয়েকটি উপসর্গ দেখলে সাবধান হন-

ফ্যাটি লিভারে মুখে যে কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে-

১. মুখ ফুলে যাওয়া
২. ঘাড়ের নীচের দিকের অংশ কালচে হওয়া
৩. মুখের ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে
৪. মুখে ফুসকুড়ি বের হওয়া
৫. মুখের ত্বকে চুলকানি
৬. ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

ফ্যাটি লিভারের অন্যান্য লক্ষণ কী কী?

১. পেটে ব্যথা
২. বমি বমি ভাব
৩. বমি হওয়া
৪. ক্ষুধা না লাগা
৫. ওজন দ্রুত কমা
৬. পা ও শরীরের অন্যান্য অংশে পানি জমা
৭. প্রচণ্ড দুর্বলতা
৮. বিভ্রান্তি ইত্যাদি।

 

কীভাবে রোগ নির্ণয়?

এই অসুখ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে প্রথমে দেওয়া হয় লিভার এনজাইম টেস্ট। এই টেস্টেই খুব সহজে রোগটি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা যায়। এছাড়া চিকিৎসক আলট্রা সাউন্ড করে দেখতে পারেন।

পাশাপাশি লিভার বায়োপসি ও ফাইব্রোস্ক্যান করা যেতে পারে। এই দুটি টেস্টের মাধ্যমেই অনায়াসে রোগের পর্যায় সম্পর্কে জানা যায়। তাই দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বললেই চলে।

রোগের চিকিৎসা কী?

এই অসুখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কয়েকটি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। সেই ওষুধগুলো দারুণ কাজ করে। তবে এর পাশাপাশি ডায়েট ও জীবনযাত্রায় কিছু বদল আনতে হয়। তাই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা সবচেয়ে জরুরি-

১. মদ্যপান না করা।
২. ওজন কমানো।
৩. ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডস নিয়ন্ত্রণে রাখা।
৪. শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে।
৫. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» পবিত্র আশুরা ৬ জুলাই

» তোষামোদি করতে কিছু নেতা তারেক রহমানকে মাস্টারমাইন্ড বলছেন: সারজিস

» নতুন বাংলাদেশের জন্ম ৫ আগস্ট, ৮ নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ

» গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই: প্রেসসচিব

» গণতন্ত্র ধ্বংসকারী তিন সিইসির বিচার হওয়া উচিত : রিজভী

» ইরান কখনও আত্মসমর্পণ করবে না: খামেনি

» আগস্টে মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

» প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ

» যেকোনও সময় ভোটার তালিকাভুক্তির ক্ষমতা চায় ইসি

» আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস লক্ষ্মীপুরে বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা  

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মুখের যে লক্ষণ ফ্যাটি লিভারের ইঙ্গিত দেয়

ছবি সংগৃহীত

 

ফ্যাটি লিভার একটি গুরুতর ব্যাধি। এই রোগ গুরুতর আকার ধারণ করলে এর থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস। তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার এই রোগ নিয়ে সতর্ক করেন।

 

ফ্যাটি লিভার দুই ধরনের হয়- অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ও নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের কারণ হলো মদ্যপান। অপরদিকে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের পেছনে থাকে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস।

এই অসুখের লক্ষণ প্রথমেই চিনে নিতে পারলে চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার বদলের মাধ্যমে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই এই কয়েকটি উপসর্গ দেখলে সাবধান হন-

ফ্যাটি লিভারে মুখে যে কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে-

১. মুখ ফুলে যাওয়া
২. ঘাড়ের নীচের দিকের অংশ কালচে হওয়া
৩. মুখের ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে
৪. মুখে ফুসকুড়ি বের হওয়া
৫. মুখের ত্বকে চুলকানি
৬. ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

ফ্যাটি লিভারের অন্যান্য লক্ষণ কী কী?

১. পেটে ব্যথা
২. বমি বমি ভাব
৩. বমি হওয়া
৪. ক্ষুধা না লাগা
৫. ওজন দ্রুত কমা
৬. পা ও শরীরের অন্যান্য অংশে পানি জমা
৭. প্রচণ্ড দুর্বলতা
৮. বিভ্রান্তি ইত্যাদি।

 

কীভাবে রোগ নির্ণয়?

এই অসুখ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে প্রথমে দেওয়া হয় লিভার এনজাইম টেস্ট। এই টেস্টেই খুব সহজে রোগটি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা যায়। এছাড়া চিকিৎসক আলট্রা সাউন্ড করে দেখতে পারেন।

পাশাপাশি লিভার বায়োপসি ও ফাইব্রোস্ক্যান করা যেতে পারে। এই দুটি টেস্টের মাধ্যমেই অনায়াসে রোগের পর্যায় সম্পর্কে জানা যায়। তাই দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বললেই চলে।

রোগের চিকিৎসা কী?

এই অসুখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কয়েকটি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। সেই ওষুধগুলো দারুণ কাজ করে। তবে এর পাশাপাশি ডায়েট ও জীবনযাত্রায় কিছু বদল আনতে হয়। তাই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা সবচেয়ে জরুরি-

১. মদ্যপান না করা।
২. ওজন কমানো।
৩. ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডস নিয়ন্ত্রণে রাখা।
৪. শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে।
৫. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com