মির্জা ফখরু‌লের বক্তব্য আদালত অবমাননার সামি‌ল: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ফটো

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি মামলায় বিএনপির দুই নেতাকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রেখে দেশের উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন, সে সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিবের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেশবাসীকে হতাশ করেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে ‘ফরমায়েশি রায়’ বলে মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আইন ও আদালত অবমাননার শামিল।

 

আজ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এই দুই নেতার আজকের পরিণতি তাদের ধারাবাহিক অপরাজনীতির ফসল। বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে হাওয়া ভবন খুলে তারা দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসবে মেতে উঠেছিল, যার পরিণতিতে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই সময় হাওয়া ভবনের কর্ণধার তারেক রহমানের দুর্নীতির খতিয়ান বিশ্বগণমাধ্যম ও উইকিলিকস-এ বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে।

 

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে এবং তাদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পর নিম্ন আদালত শাস্তিমূলক রায় দেন। প্রায় ১৬ বছরের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত তাদের সাজা দিয়েছেন। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো যোগসূত্র নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিচার ব্যবস্থাকে স্বাধীন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিএনপিই বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করার মধ্য দিয়ে সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছেন। মূলত জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি চালু করেন। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিচারহীনতার সংস্কৃতির পরিবর্তে দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।

 

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে দলীয় গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে এবং চিহ্নিত শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষা দিয়েছে। অনুরূপ তারা আদালতের রায়কে ‘ফরমায়েশি রায়’ বলে দেশের উচ্চ আদালত এবং সংবিধানকে অবমাননা করেছে। মার্কিন নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপি তাদের বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে করুণা প্রাপ্তির আশায় সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। উচ্চ আদালতের রায়কে ‘ফরমায়েশি রায়’ বলা তাদের সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। এ ধরনের অপরাধের জন্য দেশের জনগণের কাছে তাদের অচিরেই জবাবদিহি করতে হবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ওয়ানশুটার গান ও দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজন আটক

» রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ

» নিজের আকিকা করা যাবে?

» যুবককে কুপিয়ে হত্যা

» হাতিয়ায় ইলিশসহ দুই ট্রলারের ৩০ জেলেকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

» সুস্থ খালেদা জিয়াকে কাছে পেয়ে উৎফুল্ল স্বজনরা

» প্রেম বিয়ে সংসার নিয়ে মুখ খুললেন জয়া আহসান!

» অনলাইনেও নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগ, বন্ধ হবে সব পেজ

» নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে অনেক সময় লাগবে : আইন উপদেষ্টা

» যারা মানুষ মা’রে, তাদের অনলাইনেও থাকার অধিকার নেই: রাফি

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মির্জা ফখরু‌লের বক্তব্য আদালত অবমাননার সামি‌ল: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ফটো

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি মামলায় বিএনপির দুই নেতাকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রেখে দেশের উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন, সে সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিবের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেশবাসীকে হতাশ করেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে ‘ফরমায়েশি রায়’ বলে মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আইন ও আদালত অবমাননার শামিল।

 

আজ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এই দুই নেতার আজকের পরিণতি তাদের ধারাবাহিক অপরাজনীতির ফসল। বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে হাওয়া ভবন খুলে তারা দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসবে মেতে উঠেছিল, যার পরিণতিতে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই সময় হাওয়া ভবনের কর্ণধার তারেক রহমানের দুর্নীতির খতিয়ান বিশ্বগণমাধ্যম ও উইকিলিকস-এ বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে।

 

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে এবং তাদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পর নিম্ন আদালত শাস্তিমূলক রায় দেন। প্রায় ১৬ বছরের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত তাদের সাজা দিয়েছেন। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো যোগসূত্র নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিচার ব্যবস্থাকে স্বাধীন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিএনপিই বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করার মধ্য দিয়ে সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছেন। মূলত জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি চালু করেন। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিচারহীনতার সংস্কৃতির পরিবর্তে দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।

 

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে দলীয় গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে এবং চিহ্নিত শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষা দিয়েছে। অনুরূপ তারা আদালতের রায়কে ‘ফরমায়েশি রায়’ বলে দেশের উচ্চ আদালত এবং সংবিধানকে অবমাননা করেছে। মার্কিন নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপি তাদের বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে করুণা প্রাপ্তির আশায় সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। উচ্চ আদালতের রায়কে ‘ফরমায়েশি রায়’ বলা তাদের সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। এ ধরনের অপরাধের জন্য দেশের জনগণের কাছে তাদের অচিরেই জবাবদিহি করতে হবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com