ছবি সংগৃহীত
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করলে বাংলাদেশ বসে থাকবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমার যদি সত্যিই আক্রমণে আসে, তখন কি আমরা বসে থাকব, আমরা বসে বসে আঙুল চুষব?
আজ সচিবালয়ে সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চান আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াই। তাদের উস্কানির ফাঁদে আমরা পড়তে পারি না। আমরা সরকারে আছি, আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য আছে। সার্বভৌমত্ব চলে গেলে আমাদেরই ব্যথা লাগবে বেশি। কারণ এ জাতির মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকার লড়াইয়ে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, যদি সত্যিই আক্রমণে আসে, তখন কি আমরা বসে থাকব, আমরা বসে বসে আঙুল চুষব?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল তখন (মুক্তিযুদ্ধের সময়) কী করেছেন, কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, তা জানি না। এসব কথা বলে লাভ নেই। সার্বভৌমত্ব ঠিক আছে।
সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ নিয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের একটা ভাষা আছে– সরকারি দলের সিদ্ধান্তকে তারা নতজানু আখ্যায়িত করে। কিন্তু কীভাবে নতজানু, সেটা একটু ব্যাখ্যা করে দিক না। সেন্টমার্টিনে যে গুলিটা এসেছে, সেটা মিয়ানমার সরকার করেনি। এটা আরাকান আর্মি নামের যে বিদ্রোহীরা আছে, তাদের গুলি।
যেকোনো উস্কানির মুখে বাংলাদেশ যুদ্ধে না জড়িয়ে আলাপ-আলোচনায় সমাধানে বিশ্বাসী বলেও মত দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেন, সেখানে যে জাহাজের কথা বলা হয়েছে সে জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সবশেষ যখন রোহিঙ্গারা স্রোতের মতো বাংলাদেশে ঢুকেছিল, তখনও অনেকে উস্কানি দিয়েছিল। আমাদের আকাশসীমা কখনো কখনো অতিক্রম করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন ওয়াশিংটনে। তখন বাহিনী প্রধানদের তিনি ফোন করে নির্দেশ দেন, যেকোনো অবস্থাতেই আমরা যেন যুদ্ধে না যাই। মিয়ানমার উস্কানি দিলে আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করব। একটা সমাধান বের করব, যুদ্ধে জড়াব না।
সরকারপ্রধান বলেন, সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হলে, আলাপ-আলোচনার সময় পেরিয়ে যদি যায়, যদি সত্যিই তারা আক্রমণে আসে, তখন কী আমরা বসে থাকব, আমরা বসে বসে আঙুল চুষব? আমাদেরও পাল্টা জবাব দিতে হবে।