সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক :মাসিক বা পিরিয়ড নারীদের জন্য বেশ যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। প্রতি মাসে ৩-৭ দিন এটি চলমান থাকে। অনেকের পিরিয়ডের প্রথম দুই দিন মারাত্মক পেট ব্যথা হয়। আবার অনেকের একদমই কষ্ট হয় না।
মাসিকের সময় যাদের তলপেটে যন্ত্রণা হয় তারাই জানে এর কষ্ট। এই যন্ত্রণা কমাতে কেউ ওষুধের সাহায্য নেন। কেউবা গরম সেঁক দেন। আজকাল বাজারেও এই ব্যথা কমানোর হিটিং প্যাড এসেছে।
সাধারণ পর্যাপ্ত পানি পান করলে আর হালকা শরীরচর্চা করলে শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণা কমে। অনেকসময় ভেষজ চাও স্বস্তি মেলায়। এছাড়াও কিছু ফল রয়েছে যা পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। চলুন ফলগুলো সম্পর্কে জেনে নিই-
কলা
কলায় আছে পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬। এসব পুষ্টি জরায়ুর পেশিকে শিথিল করে, পেট ফাঁপার সমস্যা কমায় এবং মেজাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। পিরিয়ডের সময় ব্লোটিং হোক কিংবা মুড সুইং, কলা খেলেই থাকবেন সুস্থ।
আনারস
এই ফলে আছে ব্রোমেলিন নামক উপাদান। এই এনজাইম শারীরিক প্রদাহ কমায়, পেশিকে শিথিল করে এবং ব্যথা-যন্ত্রণা কমায়। রোজ এক কাপ আনারস খেলে পিরিয়ডের সময় কষ্ট কম হবে।
কমলালেবু
পিরিয়ডের সমস্যা এড়াতে খেতে পারেন কমলালেবু। এই ফলে আছে ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম, যা পেশির ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে এবং মুড সুইং কমাতে সাহায্য করে।
পাকা পেঁপে
ওজন কমানো থেকে শুরু করে পিসিওডি-এর (পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম) উপসর্গকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে পাকা পেঁপে। এই ফলে আছে পাপাইন নামের যৌগ যা পেশির সংকোচন কমাতে এবং হরমোনের ভারসাম্যকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই রোজকার ডায়েটে পেঁপে রাখুন। বিশেষ করে পিরিয়ডের সময়।
তরমুজ
মাসিকের সময় হওয়া পেটব্যথা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে গ্রীষ্মকালীন এই ফলটি। এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম। পিরিয়ডের সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে তরমুজ। এই ফল খেলে ব্লোটিংয়ের সমস্যা এবং পিরিয়ড ক্র্যাম্প কমবে।