সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : মাহেশ থেকে প্রায় সাত-আটশো কিলোমিটার দূরে এলাহাবাদে— মহাকুম্ভের মেলায় দেখা মিলল এক মালা বিক্রেতার। যাকে নিয়ে এখন গোটা ভারত উত্তাল। নাম মোনালিসা। ইন্দোরের এই ষোড়শীর চোখের মায়ায় বুঁদ গোটা ভারত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন শুধুই তিনি!
এই খ্যাতির বিড়ম্বনায় নাকি মালা বিক্রিই হচ্ছিল না। তাই মেলা ছেড়ে চলে গিয়েছেন মোনালিসা। তবে যা হয়, সবটা নাকি ভালোর জন্য হয়!
এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, মোনালিসা নাকি দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়া থেকে ডাক পেয়েছেন। ‘পুষ্পা ৩’-এ তাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিতে বলেছেন স্বয়ং আল্লু আর্জুন।
সত্যিই যদি এমনটা হয় তবে তো ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেল! যে মেয়ে স্কুলের গণ্ডি ছোঁয়নি কোনওদিন। বাড়িতে মা-বাবা, তিনি একমাত্র উপার্জনকারী। পাথরের মালা বিক্রিই পেশা। সে কিনা ভাইরাল হওয়ার পর সরাসরি এবার পা রাখছেন সিনেমায়।
যদিও ভাইরাল হওয়ার পর বিরক্ত হয়েই মোনালিসা বলেছিলেন, “লোকে আমার তৈরি মালার থেকেও আমার প্রতি বেশি আগ্রহী। বিক্রি নেই। যেখানে যাচ্ছি পেছনে লোক দৌড়োচ্ছে। এবছরের মেলা আমার সর্বনাশ করে দিল।”
বাড়িতে মা-বাবা, তুতো ভাই-বোন মিলিয়ে বড় পরিবার। এক বর্ণ লেখাপড়া জানেন না। তাই নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। সাদামাঠা যুক্তি, “আমি বিদেশে পড়তে গেলে মা-বাবাকে দেখবে, খাওয়াবে কে?” এই কারণেই তিনি প্রতি বছর কুম্ভমেলায় আসেন। নানা রকম পাথর দিয়ে তৈরি রকমারি মালা বিক্রি করেন। ভালোই বিক্রি হত তার।
তবে বাদ সেধেছে ২০২৫। এক যুবক তার ভাসা ভাসা বিড়ালাক্ষীর ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। ব্যস, চোখ দিয়েই চোখের মণি প্রত্যেকের।
মোনালিসার গল্প এখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু হচ্ছে না। সাফল্য তার জীবনকে ছুঁয়েছে। যার ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করেছে ষোড়শীর জীবন। নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন। সেখানে লাখো লোকের আনাগোনা, এক ঝলক তাকে দেখবে বলে!
সদ্য রূপটান করে নতুন সাজে হাজির তিনি। মোনালিসার নয়া ‘লুক’ মন কেড়েছে অনুরাগীদের। শোনা যাচ্ছে, পারিবারিক পেশা ছেড়ে শিগগিরই রুপালি পর্দায় নিজেকে মেলে ধরবেন। হতে পারে ছোট পর্দার কোনও হিন্দি অনুষ্ঠানে বা আল্লু অর্জুনের পুষ্পা সিনেমায়। সূত্র: আনন্দবাজার