মাদক আইনের মামলায় ঢাকাই সিনেমার আলোচিত ও সমালোচিত নায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার মামলার বাদী র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান এ মামলায় প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
পরীমনির অনুপস্থিতিতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
তবে মামলার অপর দুই আসামি পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমনির খালু মো. কবীর হাওলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার দশ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম এ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আগামী ২৯ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য্য করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল হাসান সাক্ষ্য গ্রহণের সহায়তা করেন।
গত ধার্য তারিখেই পরীমনির অসুস্থতার জন্য তারপক্ষে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরার আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। ফলে এদিন পরীমনির পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী হাজিরা প্রদান করেন।
আদালত বাদী মজিবর রহমানের জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামি দিপুর পক্ষে আইনজীবী আক্তারুজ্জামান হিমেল জেরা করেন।
আর আসামি কবিরের পক্ষে আইনজীবী মাজেদুর রহমান মামুন জেরা করে পরীমনির পক্ষে জেরার জন্য সময় প্রার্থণা করেন। কিন্তু আদালত সে আবেদন না মঞ্জুর করে জেরা না করলে পরীমনির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করবেন জানালে আংশিক জেরা করে পরবর্তী দিন ঠিক করেন।
জেরায় আইনজীবীরা দাবি করেন, পরীমনির বাসা থেকে কোনো প্রকার মাদক উদ্ধার হয়নি। আর আসামি দিপু ও কবীর ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের ছিলেন না।
গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলায় পরীমনিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গত বছর ৪ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।
গত বছর ৪ আগষ্ট বিকেল ৪ টার পর পর বনানীর ১২ নম্ব রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। ওই সময় বাসা থেকে ১৯টি বোতলে ১৮.৫ লিটার বিদেশি মদ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি নামক মাদক জব্দ করা হয়।
চার্জশিটে বলা হয়, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ হওয়া মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। তদন্তকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর লিখিতভাবে জানিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামীয় মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়। যা ২০২০ সালের ৩০ জুন মেয়াদ শেষ হয়েছে।
অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহের বিষয়ে বলা হয়, পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দকৃত মাদকদ্রব্য মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।