ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক : মাদক আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট এবং তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ এ আদেশ দেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মামলাটি আজ চার্জ শুনানির জন্য ছিল। আসামিদের পক্ষে চার্জ শুনানি পেছাতে সময় আবেদন করা হয়। আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন আদালত। তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
সম্রাট ও আরমান ‘অসুস্থ রয়েছেন’ জানিয়ে সময় আবেদন করেছিলেন তাদের আইনজীবীরা।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কার্যালয়ের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়।
একই বছরের ৭ অক্টোবর বিকেলে র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই আ. হালিম। এরপর ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল জামিন পান তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি সম্রাটের অস্ত্র আইনের মামলায় চার্জ গঠন হয়েছে। ওই মামলাতেও তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।