ছবি সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়কে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা হচ্ছে মোটরসাইকেলের, এরপর অটোরিকশা। জনপ্রতিনিধি ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচলের অনুমতি দিচ্ছেন।
আজ সচিবালয়ে ঈদুল আজহার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, ইদানিং বেপরোয়া ড্রাইভিং, মোটরবাইক ও ইজিবাইকের কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও দায় আছে। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে তারা ইজিবাইকগুলোকে মহাসড়কে চলতে দিচ্ছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে একটি মোটরসাইকেলে দুজন এবং হেলমেট পরার বাধ্যবাধকতা থাকায় দুর্ঘটনা অনেক কমেছে। এটা শুধু শহর নয়, মফস্বল ও গ্রামেও মানছে। ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যকর করায় এটা সম্ভব হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের অনেক জেলায় রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। এসব রাস্তা মেরামত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কগুলো শিগগিরই সংস্কার ও মেরামত করা হবে। এ ছাড়া এসব কাজের নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পুরো বিশ্বই এখন অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েছে। সবাই ব্যয় সংকোচন করছে। সারা বিশ্বই এখন রণক্ষেত্র। বড় বড় দেশগুলো বিশ্বযুদ্ধের মহড়া দিচ্ছে। আমরাও এর শিকার হচ্ছি। এ কারণে বড় বড় প্রকল্পগুলো অনেকটা স্লো হয়ে গেছে। বিশ্বের অনেক দেশ অর্থ সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে। সারা বিশ্বে অর্থ সংকট কবে শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পুরো বিশ্বই এখন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সব দেশের রাজনীতি এখন কঠিন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় বিদেশি ফান্ডিং কমে এসেছে।