বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম : ছেলেবেলায় মার খেয়ে কাঁদতাম। কান্নাই ছিল আমার জীবন। নিজে কেঁদেই কূল পেতাম না, অন্যকে আর কী কাঁদতে দেখি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি আমার দাদু আলাউদ্দিন সিদ্দিকী মারা যান। তাতে আমাদের সংসারে নেমে আসে মহাবিপর্যয়। খাওয়া -পরার তেমন কষ্ট না থাকলেও হঠাৎ করে বাবা না থাকলে যা হয় আমাদের সংসারে তা-ই হয়েছিল, হাল ভাঙা পাল ছেঁড়া নৌকার মতো। সেখান থেকে কত পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। মা অনেক কষ্টে আমাদের বড় করেছেন। বাবার কষ্ট এক রকম, মায়ের কষ্ট অন্য রকম। আমার বাবা জেদি-মেজাজি মানুষ। তাঁর মধ্যে ভালোবাসাও ছিল অফুরন্ত। আমাদের ভালোবাসায় ততটা গভীরতা নেই, যতটা তাঁর ভালোবাসায় ছিল। যে যতই গর্ব করি বাবার মতো সাহসী, বাবার মতো নৈতিকতায় অটল হতে পারিনি আমরা কেউ, পারবও না। মাকে ছেলেবেলায় কখন কোথায় কাঁদতে দেখেছি মনে করতে পারি না, খুব একটা খেয়াল নেই। বড় হয়েও মায়ের চোখের পানির কথা খুব একটা মনে পড়ে না। মায়ের চোখের পানি যা এখনো আমার চোখে জ্বলজ্বল করে ভাসে সেটা ২৩ আগস্ট, ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে আমি যখন ধানমন্ডির ১৯ নম্বরের আর এ গনির বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলাম। তখন মা আমাকে বুকে চেপে বলেছিলেন, ‘বজ্র, তুই আর ঘরে থাকিস না। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা তোকে পেলে মেরে ফেলবে। তুই রাস্তায় গিয়ে প্রতিবাদ কর। প্রতিবাদ করতে গিয়ে মারা গেলে আমি বুকভরে কাঁদতে পারব। ঘর থেকে ধরে নিয়ে তোকে মেরে ফেললে আমি কাঁদতেও পারব না। আমার কাঁদার অধিকার তুই কেড়ে নিস না। বেরিয়ে পড় দেখবি খোদার ঘরে আলো আছে, আঁধার নেই (খোদা কা ঘরমে দের হ্যায়, আন্ধের নেহি)।’ মায়ের থেকে কম করে আমি এক ফুট উঁচা। তাই মায়ের চোখের পানিতে আমার বুক ভেসেছিল। আর আমার চোখের পানিতে মা ভেসেছিলেন। তারপর কত সংগ্রাম কত ঝড়-তুফান। মায়ের মৃত্যুর সাত-আট দিন আগে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ১ নম্বর আইসিইউর ১০ নম্বর বেডে মাকে ভর্তি করা হয়েছিল। কয়েক বছর আগে টাঙ্গাইলে পুলিশের আঘাতে আমিও ১০ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলাম। সেখানে অনেকেই এসেছিলেন। তাঁর মধ্যে পরম শ্রদ্ধেয় ড. কামাল হোসেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ আরও অনেকে। মা সেখানে দু-তিন দিন ছিলেন। এক বিকালে মায়ের হাত ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলাম। তখন মা বলেছিলেন, ‘বাবা বজ্র, তোরা কি আমাকে শান্তিতে মরতেও দিবি না?’ সেই দুই চোখ ভরা মায়ের চোখের পানি দেখেছিলাম। মায়ের মন ভার হলে আসমান ভেঙে পড়ত আমার ওপর, পুরো পরিবারের ওপর। আমরা কেমন যেন হয়ে যেতাম। মায়ের তেমন মন ভার হতো না। শত কষ্টেও চোখে পানি দেখতাম না। হৃদরোগ ইনস্টিটিউটেই মায়ের চোখের শেষ পানি দেখেছিলাম।
আমার স্ত্রী একেবারেই সাদামাটা একজন মহিলা। নিজের বুঝ পাগলেও বোঝে, তা-ও তিনি বোঝেন না। মন খারাপ খুব একটা করেন না। সবকিছুতেই হাসেন। বড় ভালো লাগে তাঁর হাসি। কবে কখন কোথায় কেঁদেছেন খুব একটা মনে পড়ে না। শুনেছিলাম, বিয়ের পর বর্ধমানে এক রিকশাওয়ালার মিশকালো ছেলে কোলে নিয়ে বসেছিলেম। তার নাকের হলুদ পেটা একবার বেরোচ্ছিল আবার ভিতরে যাচ্ছিল। তাই দেখে নাকি বউ আমার কেঁদেছিলেন। তাঁর কান্না আমি দেখিনি, পরে শুনেছি। মনে হয় বউয়ের কান্না প্রথম দেখেছিলাম ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি যশোর জেলে। খুব আকুল হয়ে কেঁদেছিলেন। কারণ ওঁরা সাদামাটা নির্বিবাদী পরিবারের সন্তান। জেল-জুলুম কখনো দেখেননি। স্বামীকে জেলে দেখে নিশ্চয়ই খারাপ লেগেছে তাই কেঁদেছেন। ওই একবারই। তারপর খুব একটা কান্নাকাটি চোখে পড়েনি। কত ঝড়বৃষ্টি, কত বিপদ-আপদ সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করেছেন। এ কদিন বউয়ের চোখে পানি দেখছি। হঠাৎই এক বিকালে একটু জ্বর, তারপর একেবারে বিছানায়। তিন দিনে বিছানার সঙ্গে মিশে যাওয়ার মতো অবস্থা। তুলে বসিয়ে মাথায় হাত দিলেই অঝোরে শ্রাবণের ধারা। মনে হয় চোখের পাতা ছিঁড়ে গেছে, পানি বাঁধ মানছে না। কাঁদছ কেন? খারাপ লাগছে? কোনো কিছু মনে হচ্ছে? ভয় লাগছে? কিছুই বলে না। শুধু আকুল করা কান্না চোখের তপ্ত পানি। স্বামীর কাছে স্ত্রীর চোখের পানি সে যে কতটা কষ্টের কতটা বেদনার এর আগে কখনো উপলব্ধি করিনি। জীবনে কত জ্বালা সহ্য করেছি, হাত ভেঙেছে, পা ভেঙেছে, গুলি লেগেছে, কলেরা-বসন্ত কত কিছুতে আক্রান্ত হয়েছি। কিন্তু অনুভবে স্ত্রীর চোখের পানির বেদনা কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। যার উপলব্ধি যেমন তার ব্যথা-বেদনা-কষ্ট-জ্বালা-যন্ত্রণা তেমন।
আমাদের সবার প্রিয় অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ। তিনি বাইরে ছিলেন। সেখান থেকে বাবা দিবসে এক অসাধারণ লেখা লিখেছেন। আমি অমন প্রাঞ্জল হৃদয়গ্রাহী লেখা খুব কম পড়েছি। প্রত্যেক সন্তানের লেখাটি পড়া উচিত। অসুস্থ আবদুল্লাহ ভাইকে বারবার বিরক্ত করে পরামর্শ নিয়েছি। শেষ পর্যন্ত শনিবার তাঁকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সব সময়ই আমাদের। অধ্যাপক প্রাণ গোপাল ছিলেন আত্মার আত্মীয়। তারপর যাঁরা এসেছেন তাঁরাও দূরের কেউ নন। কিন্তু অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এক অমায়িক মানুষ। হুজুর মওলানা ভাসানীর মেয়ে মনোয়ারা কয়েক মাস হলো নানান জটিল রোগে ভুগছেন। তাঁকে চিকিৎসা দিতে বললে সানন্দে সব ব্যবস্থা করেছেন। গতকাল মনোয়ারার চোখের অপারেশন হয়েছে। যে হুজুরের আমি পা টিপেছি, আমার রাজনৈতিক পিতা বঙ্গবন্ধু টিপেছেন, সেই হুজুর মওলানা ভাসানীর মেয়ের জন্য সামান্য কিছু করতে পারলে সে তো আমাদের পরম সৌভাগ্যের। যাঁদের কাছে সাহায্য চেয়েছি তাঁরা অনেকেই করেছেন। তাই এখন ঘরের চাইতে বাইরে হাসপাতালে কদিন বেশি দৌড়াদৌড়ি করছি। প্রিয় পাঠক! দোয়া করবেন হুজুর মওলানা ভাসানীর মেয়ে মনোয়ারাসহ আমার স্ত্রী যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন।
দেশব্যাপী শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে গ্রাম-গ্রামান্তরে একেবারে গরিবের কুটির পর্যন্ত পদ্মা সেতু আলোড়ন তুলেছে। কিন্তু বুঝতে পারছি না এখনো কিছু মানুষের নাক উঁচু ভাব কেন! অন্যদিকে সরকারি লোকজনেরও কেমন যেন পা মাটিতে পড়ছে না। বিশ্বজয়ের মহানন্দে তাঁরা বিভোর। দিনের পর দিন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূসকে নিয়ে অহেতুক নানা কথা খুব একটা শোভন হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। পদ্মা সেতু আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন হলে অধ্যাপক ইউনূসও আমাদের একটি ছোটখাটো সম্পদ। কী লাভ তাঁর পেছনে ওভাবে ছুটে? তাঁকে ছোট করার চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশকে ছোট করায়। বড় বড় কাজ করতে বড় বড় বাধা অতিক্রম করে সফল হলে অন্তর প্রসারিত করতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তা সফলভাবে করেছেন। সেদিন অনুষ্ঠানস্থলে হঠাৎই পুতুলকে দেখেছিলাম। কেন যে একবারও উঠলাম না, এগিয়ে গিয়ে মেয়েটার মাথায় হাত রেখে দোয়া করলাম না বুঝতে পারিনি। পরে খেয়াল হয়েছে। পান্ডারা রোডে গেলে, ‘মামা মামা Are you coming or going?’ শুনে কত ভালো লাগত। দিল্লি থেকে ফেরার পথে একবার জেড এয়ারে রেহানার ছেলে ববি এসে ‘মামা, মা পাঠিয়ে দিল। বলল, যা দেখ মামা ভাইগ্না চেনে কি না। মা আসছে তোমার সঙ্গে কথা বলতে।’ কত যে ভালো লেগেছিল তা লিখে বোঝাতে পারব না। পদ্মার অনুষ্ঠানে রেহানা থাকলে ভালো হতো। অনেকেই রেহানার অভাববোধ করেছেন। পদ্মা সেতু নিয়ে এখন সবার স্বাভাবিক আচরণ করা উচিত। ইউটিউব তেমন বুঝি না। কিন্তু মাঝেমধ্যে এমনিতেই যা সব চোখে পড়ে কিছু কিছু তো খুবই অরুচিকর। নিশ্চয়ই মানুষ মানুষের কাজের সমালোচনা করবে। কিন্তু তার ভাষা মার্জিত হওয়া উচিত। নেতানেত্রীদের নামে যেসব শব্দ ব্যবহার করে, একেবারে অকল্পনীয়। সেদিন কে একজন বলছিল, পদ্মা সেতু উদ্বোধনে ৫ হাজার লোক হয়েছে। আচ্ছা, ৫ হাজার আর ৫ লাখে যিনি ইউটিউব করছেন তার কী আসে যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিথিদের যেখানে সম্বোধন করেছেন, মূল বক্তব্য রেখেছেন সেখানেই তো ৫-৬ হাজার অতিথি ছিলেন আর প্যান্ডেলের বাইরে এদিক-ওদিক ৩-৪ হাজার গাড়ি, ১০-১৫ হাজার মানুষ। এটা সত্য, জাজিরার পাড়ে ১০ লাখ লোক হয়তো হয়নি। তাই বলে ৫ হাজার হতে যাবে কেন! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মোনাজাত করে সরে গেলে মুহূর্তে সেতুতে যে সাধারণ মানুষ উঠেছিল সেতুর ওপর সেটাই তো হাজার হাজার, লাখের মতো হবে। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে বাধা কোথায়? পদ্মা সেতু আমাদের জন্য যেমন গৌরবের তেমনি যাঁরা নির্মাণ করেছেন তাঁদের জন্যও নতুন কিছু শেখার। কে একজন হাত দিয়ে নাট খুলে ব্যঙ্গ করলেন, ‘এই আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচের পদ্মা সেতু!’ কাজটা ভালো করেননি। তিনি টারজান হলেও পদ্মা সেতুর নাট হাতে খুলতে পারতেন না। আর এ নাট কেউ একজন লাগাননি। একজন লাগিয়েছেন, আরেকজনে সেটা টাইট বা শক্ত করেছেন, পেছন থেকে আরেকজন এসে পরীক্ষা করেছেন। এটা একটা ভাঙা বেইলি ব্রিজ হলেও অমনটা করা হতো। তাই রেঞ্জ দিয়ে খুলে পরে ক্যামেরায় হাতের আঙুলের প্যাঁচে খোলার দৃশ্য দেখিয়ে বাহবা পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু বাঙালকে হাই কোর্ট দেখানো যাবে না। এতটুকু জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেচনা বাঙালির আছে। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ ঢালাওভাবে বলে চলেছেন, পদ্মা সেতুর মালামাল এটাওটা চুরি-চামারি হচ্ছে। মনে রাখবেন, বাঙালি চোরের জাতি না, বীরের জাতি। পদ্মা আপনাদের নয়, পদ্মা বাংলাদেশের, বাংলাদেশের মানুষের। কোনো কিছু হেফাজত করতে না পারলে এখানে সেখানে এটাওটা পড়ে থাকলে তা যদি কেউ উঠিয়ে নিয়ে বাড়িতে রাখে সেটাকে চুরি ভাববেন না। আপনারা সামলাতে পারেননি, সাধারণ মানুষ নিজের মনে করে নিয়ে গেছে। সেতু হয়ে গেছে, সেতুর ছিটেফোঁটা টুকরো-টাকরি পড়ে থাকা জিনিসের জন্য জাতিকে চোর বলে আখ্যা দেবেন না। কথাটা বড়ই অপমানজনক। আর পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল বন্ধ করা কোনোমতেই যুক্তিযুক্ত হয়নি। ব্যাপারটা সামাল দিতে হবে এবং ধৈর্য ধরে সামাল দিতে হবে। ধৈর্যই সফলতা, অধৈর্য ব্যর্থতা। পদ্মা সেতু হয়েছে, দুর্ঘটনাও ঘটবে, নষ্টও হবে। সব ঝড়-তুফান পাড়ি দিয়ে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারলেই সফলতা। বিখ্যাত সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ লিখেছিলেন। অসাধারণ সে কীর্তি। পদ্মা নদীর মাঝির চরিত্রের সবাই ছিলেন নাগরপুর পাড়ের ধলেশ্বরীর বাসিন্দা। সেই ঐতিহাসিক পদ্মা যেটা দেশকে বিভক্ত করে রেখেছিল। পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে দ্বিখন্ডিত ভূখন্ড একত্রিত হয়েছে, মহামিলনের ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে বহুমুখী পদ্মা সেতুর কল্যাণে। তাই একে জাতীয় মর্যাদায় জাতীয় ভাবধারায় জাতীয় চেতনায় আগলে রাখা দরকার, রক্ষণাবেক্ষণ করা দরকার। কর্তৃপক্ষকে সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। কাউকে কান ধরে উঠবস, যখন তখন নতুন নতুন বিধিনিষেধ পরিহার করুন। দরদি মন নিয়ে সম্মানজনক মনোভাব নিয়ে পদ্মা সেতুতে রাতদিন চোখ রাখতে হবে। সবাই এর ধ্বংস চায়, সবাই পদ্মা সেতুর ক্ষতি চায় এমন নয়। মা সন্তানকে যেমনি আগলে রাখে, ছুঁয়ে দেখে পদ্মা সেতুকে বহু মানুষ ওইভাবে আলিঙ্গন করতে চায় স্পর্শ করতে চায়। যারা ভাবাবেগে পদ্মা সেতুর সুনামে কালিমা মেখেছে তাদের সঠিক বোধোদয় হবে- এটাই আমাদের সবার প্রত্যাশা।
বন্যা পরিস্থিতি এখনো ভালো না। সিলেট-সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জ-নেত্রকোনা-কিশোরগঞ্জ হাওরের মানুষের দুর্দশা অবর্ণনীয়। অন্যদিকে শেরপুর-জামালপুর-টাঙ্গাইলের নদী ভাঙন মানুষকে দিশাহারা করে ফেলেছে। গাইবান্ধা-কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মানুষের দুর্দশার শেষ নেই। অনেক মানুষ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে বন্যা মোকাবিলায় যারপরনাই ভূমিকা পালন করছে। সরকারি প্রচেষ্টাও একেবারে ফেলনা নয়। কিন্তু সরকারকে আরও উৎসাহ নিয়ে আরও দায়িত্ব নিয়ে বন্যা মোকাবিলা করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়কে এখনই বীজতলার ব্যবস্থা নিতে হবে। না হয় পরে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
লেখক : রাজনীতিক।
www.ksjleague.com সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন