সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউন্নাহ (অব.) বলেছেন, জন্মনিবন্ধন জটিলতার কারণে যেন ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। কোনো কারণে কেউ যেন ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়ে। ভোটার হওয়ার জন্য নারীদের উৎসাহিত করতে হবে। বর্তমানে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা ৩০ লাখ কম। বিশেষ করে ছবি তোলার কারণে অনেক নারী ভোটার হতে চায় না। এ ব্যাপারে সামাজিক বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে আমাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা নিতে হবে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ভোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপারভাইজার ও তথ্য সংগ্রহকারীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
কোনো বিদেশি যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে সতর্ক করে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, বিশেষ করে রোহিঙ্গারা যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে, এ ক্ষেত্রে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
পরিদর্শনকালে দিনাজপুর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আফতাবুউজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলে এলাহী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপঙ্কর বর্মন, বীরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল গফুর, সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার পবিত্র চন্দ্র রায়, ভোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাজিউর রহমান রাজু প্রমুখ।
পরে মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সদর উপজেলা ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম উপলক্ষে তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার ও রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময সভায় নিবার্চন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, নিবার্চন শুধু নিবার্চন কমিশনের দায়িত্ব নয়। নির্বাচন কমিশন দিক-নির্দেশনা দিতে পারে, পরিকল্পনা দিতে পারে, রুপরেখা দিতে পারে। বাস্তবায়নের দায়িত্ব মাঠ পর্যায়ে সবার।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, এখন একজন স্কুলের ছাত্র বোঝে গণতন্ত্রহীনতা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে কীভাবে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। ভোটবিহীন নির্বাচন এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সামনের নির্বাচন শুধুই নির্বাচন, এই নির্বাচন হবে সামনে নতুন পথচলার নির্বাচন। সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্ব শর্ত হলো একটি সুন্দর, স্বচ্ছ এবং বিতর্কহীন ভোটার তালিকা। নির্বাচন কমিশন সেই কাজটি করার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। অতীতের নির্বাচন ব্যবস্থাকে একটা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচন হবে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের নির্বাচন। যে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী হাসিমুখে বিজয়ী প্রার্থীকে আলিঙ্গন করবে, অভিনন্দন জানাবে।
তিনি আরও বলেন, রং বিহীন, চেহেরা বিহীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন।
দিনাজপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয় আয়োজিত মতবিনিময সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন মাসুদ আর মামুন, সিনিয়র নির্বাচন কর্মকতা কামরুল ইসলাম।