ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : তুরস্কে ভেজাল মদ্যপানে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫২ জন মারা গেছে।
বুধবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত শুক্রবার তুরস্কের সংবাদমাধ্যমে ভেজাল মদ্যপানে মৃত্যুর হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই সময় জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভেজাল মদ্যপানের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৩ জন। তাদের মধ্যে ৭০ জন ইস্তাম্বুলের এবং ৬৩ জন আঙ্কারার। বিষাক্ত মদ্যপানে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি ছিলেন ৩৬ জন।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তুরস্কে মদ নিষিদ্ধ নয়; তবে বিপুল পরিমাণের কর বসানোর কারণে গত কয়েক বছর ধরেই মদের দাম বাড়ছে দেশটিতে। মদ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর ওপর ব্যাপক মাত্রায় কর আরোপ ও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ২০২৫ সালে সর্বশেষ মদ এবং তামাকজাত পণ্যের ওপর নতুন কর বসিয়েছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন সরকার।
ভেজাল মদ্যপানের ফলে তুরস্কে প্রাণহানির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তবে চলতি বছরে অল্প সময়ের ব্যবধানে মৃত্যুর সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু মদ প্রস্তুতকারক অপেক্ষাকৃত অনেক কম দামে ‘ঘরে তৈরি’ মদ বিক্রি করছে। প্রথমদিকে তারা তাদের পণ্য শুধু মদ্যপায়ী গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করত; বর্তমানে বিভিন্ন দোকান এবং রেস্তোরাঁতেও পাওয়া যাচ্ছে এই মদ।
নেশার মাত্রা বাড়াতে ‘ঘরে তৈরি’ এসব মদে প্রায়েই মিথানল, ইথানল (স্পিরিট) এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান অতিমাত্রায় মেশায় কারিগররা। আর এসব ভেজাল মদপানের ফলে অসুস্থতা ও মৃত্যুর শিকার হন লোকজন।
মদে অতিরিক্ত পরিমাণ বিষাক্ত মিথানল ব্যবহারের কারণে মদ্যপায়ীদের অনেকে অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন। এমনকি অনেকের লিভারের ক্ষতি ও মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠছে এই ভেজাল মদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিথানল মেশানো কেবল এক গ্লাস মদ প্রাণনাশী হয়ে উঠতে পারে। এর প্রভাব মদ্যপানের মাত্র ছয় ঘণ্টা পর দেখা যায়। সূত্র: টার্কি টুডে, স্ট্রেইটস টাইমস, আনাদোলু এজেন্সি