ঢাকা, ফেব্রæয়ারি ২২, ২০২৫: দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ও আধুনিক ডিজাইনের নতুন স্মার্টফোন ভিভো ওয়াই২৯ এর প্রি-অর্ডার শুরু হয়েছে। গত ২০ ফেব্রæয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রি-অর্ডার চলবে আগামী ২৪ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে প্রি-অর্ডার করে থাকলে গিফট হিসেবে থাকছে রিরো বি১০ নেকবেনড, যার মূল্য ৯৯৯ টাকা। ভিভোর অফিসিয়াল ই-স্টোর অথবা যে কোনো অথরাইজড শপে স্মার্টফোনটির প্রি-অর্ডার করতে পারবেন ক্রেতারা।
৬৫০০ এমএএইচ বøু-ভোল্ট ব্যাটারি এর সাহায্যে ওয়াই২৯ দিচ্ছে এক ব্যতিক্রমী ব্যাটারি লাইফ, যা ব্যবহারকারীদের দিনভর নির্বিঘেœ গেমিং, স্ট্রিমিং ও মাল্টিটাস্কিং করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ৫ বছরের ব্যাটারি হেলথ নিশ্চিত করার জন্য এতে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তি, যা দীর্ঘ সময় ব্যাটারির কার্যক্ষমতা অটুট রাখবে।
একটানা ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ফোন ব্যবহারের এবং ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ভিডিও প্লেব্যাক করার ক্ষমতা ভিভো ওয়াই২৯ ফোনের ব্যাটারিকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলে। এছাড়া ৪৪ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জ প্রযুক্তির সাহায্যে ফোনটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে সময় লাগে মাত্র ৯২ মিনিট। আর এক চার্জেই এর ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম ২ দিন পর্যন্ত। এদিকে স্মার্টফোনটির বøু-ভোল্ট প্রযুক্তি শুধু দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফই নয়, বরং উন্নত কুলিং সিস্টেমের মাধ্যমে ফোনকে অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকেও রক্ষা করে।
পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ভিভো ওয়াই২৯ ডিজাইনেও নিয়ে এসেছে নতুনত্ব। অ্যান্টি-ড্রপ আর্মর ডিজাইন এবং স্কট শিল্ড গøাস থাকায় ফোনটি দৈনন্দিন ব্যবহারে আরও টেকসই এবং দুর্ঘটনাজনিত ধাক্কা বা পড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এসজিএস ফাইভ-স্টার ড্রপ রেজিস্ট্যান্স সার্টিফিকেশন ও মিলিটারি-গ্রেড সার্টিফিকেশন থাকায় এটি যেকোনো প্রতিক‚ল অবস্থাতেও টিকে থাকতে পারে। এছাড়া, স্টাইলিশ “এলিগেন্ট হোয়াইট” ও “নোবেল ব্রাউন” রঙের অপশন গ্রাহককে দিবে এক প্রিমিয়াম লুক ও অনুভ‚তি। এই স্মার্টফোনটি ব্যবহারকারীদের দেবে একটি সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা।
ভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ^মানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ^জুড়ে ৫০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।