ঢাকা, ফেব্রæয়ারি ২, ২০২৫: অত্যাধুনিক এআই ফিচারের মাধ্যমে স্মার্টফোন প্রযুক্তিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন ভিভো এক্স২০০। এক্স২০০-এর ফানটাচ ওএস ১৫ এর অন্তর্ভুক্ত এআই ফিচারগুলো ফটোগ্রাফি, ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও নোট-টেকিংয়ের মতো কাজগুলোকে আরও সহজ, দ্রæত এবং কার্যকর করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে আসা ভিভো এক্স২০০-তে থাকা এআই ফটো এনহ্যান্স ফিচার ব্যবহারকারীদের তোলা ছবিগুলোর ডিটেইল ও রঙ আরও প্রাণবন্ত করে তুলছে। এআই প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি বিশ্লেষণ করে এবং ক্ল্যারিটি বাড়িয়ে তোলে, ফলে দীর্ঘ সময় ধরে ম্যানুয়াল এডিটিংয়ের প্রয়োজন হয় না। ফলে মাত্র এক ক্লিকেই পাওয়া যাচ্ছে পেশাদার মানের ছবি।
স্মার্টফোনটির এআই ইরেজ ফিচার ছবি থেকে অন্য কোনো মানুষ, ব্যাকগ্রাউন্ড অথবা অবাঞ্ছিত কোনো বস্তু সরিয়ে নিখুঁত ছবি তৈরি করতে সাহায্য করে। ছবিতে থাকা ক্ষুদ্রতম অনাকাঙ্খিত উপাদানটিতে ট্যাপ করে মাত্র এক ক্লিকেই নিখুঁত ছবি পাওয়া সম্ভব।
ভিভো এক্স২০০-এর জেমিনি সহকারী কথোপকথনভিত্তিক এআই সহায়তা প্রদান করে, যা ইমেইল খসড়া তৈরি করা এবং ইভেন্ট পরিকল্পনার মতো কাজে সহায়তা করে। সেইসাথে দ্রুত নোট নেওয়া আরও সহজ করেছে ভিভো এক্স২০০। এআই নোট অ্যাসিস্ট ফিচারটির মাধ্যমে নোটের লেআউট স্মার্টভাবে সাজানো, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো সংক্ষিপ্ত করা এবং টু-ডু তালিকা তৈরি করা যাচ্ছে।
এর মাধ্যমে সার্কেল টু সার্চ ফিচারের মাধ্যমে সরাসরি স্ক্রিনে থাকা যে কোনো ছবি, টেক্সট বা ভিডিও একটি বৃত্ত এঁকে সহজেই সার্চ করা যাচ্ছে। সার্কেল, হাইলাইট বা ট্যাপ করলেই প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এটি কাজের গতি বাড়িয়ে ম্যানুয়াল স্ক্রিনশট নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দূর করছে।
স্মার্টফোনটির সুপার ডকুমেন্টস ফিচারের মাধ্যমে ডকুমেন্ট স্ক্যান করা এখন আরও সহজ। এই ফিচারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছায়া সরিয়ে ও ছবিকে সংশোধন করে ডকুমেন্টকে স্পষ্ট ও পড়ার উপযোগী করে তোলে।
ফোনের এআই ইমেজ ল্যাব ফটোগ্রাফি অভিজ্ঞতাকে দিচ্ছে সম্পূর্ণ নতুন মাত্রা। শ্যাডো রিম্যুভাল ফিচারটি ডকুমেন্ট থেকে ছায়া সরিয়ে সেটিকে স্পষ্ট করে তোলে। মেমোরিজ ফিচারের মাধ্যমে ছবি ও ভিডিওকে মিউজিক, এফেক্ট এবং স্টাইলে রূপান্তরিত করে ছোট ছোট সিনেমায় পরিণত করা যায়।
ভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ^মানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ^জুড়ে ৫০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।
//
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ: আহমেদ আল আমীন, ইনফো পাওয়ার, ০১৮৮৯৯৮২৯৭