শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘ভাষা আন্দোলন আমাদের সব অনুপ্রেরণার উৎস। ভাষা আন্দোলনই আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয়, কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আগুন ঢেলে দিতে হয়।’
শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। ‘ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ সভা হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো মশিউর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া আলোচক হিসেবে ছিলেন শিক্ষাবিদ ও গবেষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। স্বাগত বক্তা ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ। ‘ভাষা আন্দোলনের অভ্যুদয়’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুড়িগ্রাম ল কলেজের অধ্যক্ষ এস এম আব্রাহাম লিঙ্কন।
ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা দেখেছি একটা সময় ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ব্যাপকভাবে বিকৃত করা হয়েছে। একুশকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু একুশের আগেও যে ভাষা আন্দোলন হয়েছে, সংগ্রাম হয়েছে- সেটিকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে লুকিয়ে রাখতেই এটি করা হয়েছে
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানিরা বাংলাকে গভীরভাবে অপছন্দ করতো। তারা তাদের হীনমন্যতার কারণেই এটি করতো। কারণ ভাষা হচ্ছে সংস্কৃতির আধার। এটিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারলেই সংস্কৃতি বাধাগ্রস্ত হবে। সেই চিন্তা থেকেই তারা এটি করেছে।
সর্বস্তরে বাংলা ভাষা নিশ্চিতের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষা যে কতমুখি তার শেষ নেই। ভাষা শেখার গোড়াতেই গলদ। আমরা এখন ভাষাটাকে রপ্ত করতে চেষ্টা করছি। একমুখী শিক্ষা চালুর চেষ্টা করছি নতুন কারিকুলামে। যে যে মাধ্যমে পড়ুক সবাই যেন একটি জায়গা পর্যন্ত একই ধারার শিক্ষা লাভ করতে পারি সে চেষ্টা করছি।
ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘পাকিস্তান-ভারত সৃষ্টির সঙ্গে বাংলাদেশ সৃষ্টির রাজনৈতিক ইতিহাস ভিন্ন। বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে সাংস্কৃতিক আলোড়ন, লড়াই সংগ্রামের মধ্যদিয়ে। বঙ্গবন্ধুর সেই সাংস্কৃতিক জাগরণ, রাজনৈতিক লড়াই- অতঃপর সমাজ গঠনের জায়গায় দ্বিতীয় বিপ্লব ঘোষণা করেছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সরকারি সংগীত কলেজের শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।