সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড সম্প্রতি তাদের ইন্টারেস্ট রেট ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪.৭৫ শতাংশ করেছে। দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুব বেশি ভালো না হওয়ায় সামনের দিনে নতুন করে আরও ইন্টারেস্ট রেট কমানোর সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া মর্টগেজ রেটও আশানুরূপ কমেনি।
ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের অর্ধেক মর্টিগেজধারীর পেমেন্ট আগামী তিন বছরে বৃদ্ধি পাবে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৭ সালের মধ্যে প্রায় ৪.৪ মিলিয়ন মর্টগেজ পেমেন্ট বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে প্রায় চার লাখ ২০ হাজার পরিবারের জন্য প্রতি মাসে পেমেন্ট ৫০০ পাউন্ড বৃদ্ধি পাবে। এদিকে, প্রায় ২৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতার পেমেন্ট কমে যাবে। মর্টগেজের আওতায় থাকা পরিবারগুলো এই বছরের শুরুর চাইতে আরও ভালোভাবে মর্টগেজ লোন পরিশোধের সাথে খাপ খাওয়াতে পারবে।
সতর্ক করে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ঝুঁকি বাড়ছে। এ ছাড়া যুদ্ধ, বাণিজ্য উত্তেজনা, সাইবার এটাক এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃহত্তর আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে।
সর্বশেষ আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতিবেদনে ব্যাংক বলেছে, সাধারণ একটি পরিবারের ফাইন্যান্সিয়াল কন্ডিশন মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে এখনো অনেক ব্রিটিশ পরিবার অতিরিক্ত ভাড়া প্রদানসহ কস্ট অফ লিভিংয়ের বর্ধিত ব্যয় এবং উচ্চ সুদজনিত চাপের সম্মুখীন হচ্ছে। এ ছাড়া মর্টগেজ পরিশোধের ক্ষেত্রে বকেয়ায় থাকা পরিবারের সংখ্যা আগের চেয়ে কমে গেছে।
আগামী ২০২৭ সালের শেষের দিকে প্রায় ২.৭ মিলিয়ন বাড়ির মালিক প্রথমবারের মতো ৩ শতাংশের বেশি রেটে মর্টগেজ ডিল ঠিক করবে। এ ছাড়া আগামী দুই বছরে ফিক্সড রেটের মর্টগেজের পরিমাণ মাসিক ১৪৬ পাউন্ড বাড়বে। এ ছাড়াও প্রায় অর্ধেক মর্টগেজধারীর পেমেন্ট ২০২৭ সালের মধ্যে বাড়বে, ২৩ শতাংশের পেমেন্টে কোনো পরিবর্তন হবে না এবং ২৭ শতাংশের পেমেন্ট কমে যাবে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে জানিয়েছে, অর্থনৈতিক ঝুঁকির পরিবেশ খারাপ হলেও ব্রিটিশ ঋণদাতারা পরিবার ও ব্যবসাকে সাপোর্ট করার জন্য একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ অব্যাহত থাকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের কারণে জিও-পলিটিক্যাল ঝুঁকি অনেক বেশি। তবে নবগঠিত লেবার পার্টির সরকারের অধীনে ফাইন্যান্সিয়াল কিছু পলিসি পরিবর্তন হতে পারে। সূএ : বাংলাদেশ প্রতিদিন