সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উপর আক্রমনকারী ইশতিয়াক হুসাইনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৬ মে) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে তার সঙ্গে ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা।
আন্দোলন শেষে তাকে বাসায় আসার দাওয়াত দেন তথ্য উপদেষ্টা। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তখন জানান, আটক ব্যক্তি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আটক করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে ডিএমপি জানায় বোতল নিক্ষেপকারীকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে, শুক্রবার দুপুরে বোতল কাণ্ডে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ডিবি অফিসে নিয়ে তদন্ত ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নিলে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অফিস ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেয় আন্দোলনকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, ‘আমার ভাইয়ের কিছু হলে, ডিবি অফিস ঘেরাও হবে’; ‘বিপ্লবে বলিয়ান, নির্ভীক জবিয়ান’, ‘এক দুই তিন চার, হল আমার অধিকার’। জবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আরিফিন বলেন, বোতল কাণ্ডে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট ভাই ইসতিয়াককে ডিবি জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে আটক করে নিয়ে গেছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, আমার ভাইয়ের কিছু হলে ডিবি অফিস ঘেরাও হবে। অবশ্যই এ বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত হতে হবে।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী অনিন্দ্য রায় বলেন, ওই শিক্ষার্থীর কোন ক্ষতি করা হলে আমরা জবিয়ানরা সর্বোচ্চ প্রতিবাদ জানাবো। রাষ্ট্র যদি একটি বোতলের বিপরীতে টিয়ারশেল, গুলি ও রক্তকে দাঁড় করায় তাহলে তা পুরোপুরি অন্যায় হবে।
প্রসঙ্গত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে ১৪ মে থেকে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বুধবার রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। রাত ১০টার দিকে তিনি সেখানে পুলিশি ব্যারিকেটের সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎই তাকে লক্ষ্য করে একটি পানির বোতল নিক্ষেপ করা হয়। বোতলটি গিয়ে উপদেষ্টার মাথায় লাগে।