বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে লুটপাট, চাঁদাবাজি নিয়ে কড়া সমালোচনা ইশরাকের

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী সংগঠিত হচ্ছে চাঁদাবাজি, দখলদারি ও লুটপাটের নানা অভিযোগ—এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, “এই সংগঠনটি গঠিত হয়েছিল খুনি, স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে, তার চূড়ান্ত পতনের প্রেক্ষিতে। কিন্তু আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেই উদ্দেশ্য বিকৃত হয়ে গেছে।

 

তিনি দাবি করেন, প্রায় ২৭টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনটি প্রথম গঠিত হয় জুলাই-আগস্ট মাসে, হাসিনাবিরোধী গণআন্দোলনের জোয়ার সৃষ্টি করতে। কিন্তু বর্তমানে সংগঠনটির ব্যানার ব্যবহার করে বিভিন্ন থানা, মার্কেট এবং টার্মিনালভিত্তিক কমিটি গঠন করে চলছে অর্থনৈতিক অপকর্ম।

 

উদাহরণ টেনে ইশরাক বলেন, “আজ বনানী থানার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বনানী থানা কমিটি’—এটা আসলে কী ধরনের কমিটি? বনানী থানা কমিটি রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর এবং তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর। প্রশ্ন হলো, যদি হাসিনা সত্যিই ক্ষমতা হারিয়ে থাকে, যদি ‘বিপ্লব’ হয়ে থাকে—তাহলে এখন থানাভিত্তিক কমিটি গঠনের কী প্রয়োজন?

 

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এই ব্যানার ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় মার্কেট দখল, ইজারা নিয়ে লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠীর অর্থনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য সংগঠনটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে বহু উদাহরণ পেয়েছি—যেখানে ‘বৈষম্যবিরোধী’ শব্দটিকে ব্যবহার করে সংগঠনের আদর্শিক ভিত্তিকে কলুষিত করা হয়েছে।

 

ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এই কর্মকাণ্ডকে ‘আদর্শের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা’ উল্লেখ করে বলেন, “এই অপচেষ্টা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে এই সংগঠনটি সাধারণ মানুষের আস্থা হারাবে, এবং আসল আন্দোলন বাধাগ্রস্ত হবে।” তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান, “আসল উদ্দেশ্য যেন হারিয়ে না যায়—তা নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যেন দখলদার, লুটেরা ও সুবিধাবাদীদের প্ল্যাটফর্মে পরিণত না হয়, সেটি দেখতে হবে।”

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ‘নির্বাচনকালীন কিছু সংস্কার প্রয়োজন, এরপর এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে কোনো দ্বিমত থাকবে না’

» সাকিবকে দ্রুত দেশে আসতে দিন, এখন পর্যন্ত দেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার সে: ইলিয়াস

» লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারেক রহমান

» হাসনাতের আতিথিয়েতায় শহীদ পরিবার-আহতদের পাশাপাশি আমরাও সিক্ত

» সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশি মদ, ফেনসিডিল ও টাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার

» শিশুদের ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দু’দলের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত ,অন্তত ৫

» ড. ইউনূস ছাগল দিয়ে হালচাষের চেষ্টা করছেন : কনক সরওয়ার

» এপ্রিলে নির্বাচন মাথায় রেখে সময়মতো রোডম্যাপ দেবে ইসি: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

» বোমা হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতাকে হত্যার ঘটনায় ২জন গ্রেফতার

» বক্স অফিসে অক্ষয় ঝড়, ৩ দিনে ১০০ কোটির পথে ‘হাউসফুল ৫’

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে লুটপাট, চাঁদাবাজি নিয়ে কড়া সমালোচনা ইশরাকের

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী সংগঠিত হচ্ছে চাঁদাবাজি, দখলদারি ও লুটপাটের নানা অভিযোগ—এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, “এই সংগঠনটি গঠিত হয়েছিল খুনি, স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে, তার চূড়ান্ত পতনের প্রেক্ষিতে। কিন্তু আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেই উদ্দেশ্য বিকৃত হয়ে গেছে।

 

তিনি দাবি করেন, প্রায় ২৭টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনটি প্রথম গঠিত হয় জুলাই-আগস্ট মাসে, হাসিনাবিরোধী গণআন্দোলনের জোয়ার সৃষ্টি করতে। কিন্তু বর্তমানে সংগঠনটির ব্যানার ব্যবহার করে বিভিন্ন থানা, মার্কেট এবং টার্মিনালভিত্তিক কমিটি গঠন করে চলছে অর্থনৈতিক অপকর্ম।

 

উদাহরণ টেনে ইশরাক বলেন, “আজ বনানী থানার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বনানী থানা কমিটি’—এটা আসলে কী ধরনের কমিটি? বনানী থানা কমিটি রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর এবং তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর। প্রশ্ন হলো, যদি হাসিনা সত্যিই ক্ষমতা হারিয়ে থাকে, যদি ‘বিপ্লব’ হয়ে থাকে—তাহলে এখন থানাভিত্তিক কমিটি গঠনের কী প্রয়োজন?

 

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এই ব্যানার ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় মার্কেট দখল, ইজারা নিয়ে লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠীর অর্থনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য সংগঠনটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে বহু উদাহরণ পেয়েছি—যেখানে ‘বৈষম্যবিরোধী’ শব্দটিকে ব্যবহার করে সংগঠনের আদর্শিক ভিত্তিকে কলুষিত করা হয়েছে।

 

ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এই কর্মকাণ্ডকে ‘আদর্শের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা’ উল্লেখ করে বলেন, “এই অপচেষ্টা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে এই সংগঠনটি সাধারণ মানুষের আস্থা হারাবে, এবং আসল আন্দোলন বাধাগ্রস্ত হবে।” তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান, “আসল উদ্দেশ্য যেন হারিয়ে না যায়—তা নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যেন দখলদার, লুটেরা ও সুবিধাবাদীদের প্ল্যাটফর্মে পরিণত না হয়, সেটি দেখতে হবে।”

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com