ছবি সংগৃহীত
কানপুর টেস্টের তৃতীয় দিন বৃষ্টি বাগড়া না দিলেও মাঠে নামতে পারছেন না ক্রিকেটাররা। কারণ গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের উইকেট ছাড়া মাঠের বাকি অংশ ভেজা। আপাতত কাভার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মাঠ শুকানোর জন্য কাজ চলছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বিশ্বমানের না হওয়ায় লাগছে লম্বা সময়। পরবর্তী পর্যবেক্ষণ দুপুর সাড়ে ১২টায়।
সাধারণত খেলা নির্ধারিত সময় সকাল ১০টায় শুরু হলে প্রথম সেশন চলতো বেলা ১২টা পর্যন্ত। কিন্তু সাড়ে ১০টায় আম্পায়াররা মাঠ পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। ফলে আবারও পর্যবেক্ষণের সময় নির্ধারণ করেছেন দুপুর সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময়)। অর্থাৎ ওই সময়ে মধ্যবিরতি প্রায় শেষ হওয়ার কথা। নতুন করে বৃষ্টি বাগড়া না দিলে খুব সম্ভবত এর আধাঘণ্টা পরই বল মাঠে গড়াতে পারে!
কানপুরে আজ সকাল থেকে বৃষ্টি না থাকলেও প্রায় দুইদিন কাভারে মাঠ ঢাকা থাকায় খেলার উপযোগী করতে বেশ সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। যদিও মাঠকর্মীরা মাঠ শুকানোর কাজে ব্যস্ত। আম্পায়ার মাঠ পর্যবেক্ষণের কাছাকাছি সময়ে পিচ রিপোর্ট দেন দুই ধারাভাষ্যকার আতহার আলি খান ও মুরালি কার্তিক। সেখানে তারা জানিয়েছেন, বোলারদের রান-আপের জায়গাসহ মিড-অফ ও মিড-অনের কিছু জায়গা এখনও পুরোপুরি শুকায়নি। এ ছাড়া পিচেও আদ্রতা আছে বেশ, যা স্বাভাবিকভাবেই পেস বোলারদের সহায়তা করবে।
এর আগে, বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা। টানা বৃষ্টি এবং বাজে ড্রেনেজ সিস্টেমের কারণে এদিন এক বলও মাঠে গড়ায়নি। চা বিরতির আগেই খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত আম্পায়াররা। পূর্বাভাস অনুযায়ী, গতকাল শনিবার (২৮ সেপটেম্বর) সকাল থেকেই গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগে দুই দলই মাঠে এলেও গা গরমের সুযোগও পায়নি কোনো দল। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ এবং ভারত দলের ক্রিকেটাররা। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন