বেকার ছিলাম, দায়িত্ব শেষে ফের বেকার হয়ে যাবো : আসিফ

ফাইল ছবি

 

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, বেকারত্ব আমাদের অন্যতম একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়।

 

আগামী ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে বুধবার সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া  মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

 

বেকার যুবকদের নিয়ে কোনো চিন্তা-ভাবনা আপনাদের আছে কিনা-জানতে চাইলে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, বেকারত্ব আমাদের অন্যতম একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমি নিজেও বেকার ছিলাম (স্মিথ হেসে), আবার বেকার হয়ে যাবো এ দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর। বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই আমাদের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কাজ করে থাকে। আমরা ট্রেনিং দিয়ে থাকি। ফ্রিল্যান্সার থেকে শুরু করে বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় ট্রেনিং আছে।

 

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা  বলেন, আমরা লক্ষ্যমাত্রা নিচ্ছি-ট্রেনিং হতে হবে কর্মমুখী। যাতে ট্রেনিং দিয়ে আমরা তাকে ছেড়ে না দেই। ট্রেনিং দিয়ে তাকে ফলোআপ রাখা যে কোথায় সে যাচ্ছে। সামনের দিকে আরও কর্মসূচি হাতে নেব যেকোনো কর্মে কী ধরনের স্কিল প্রয়োজন। সে ধরনের ট্রেনিং দিয়ে কর্ম নিশ্চিত করবো।

 

আসিফ মাহমুদ বলেন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে এখনো অনেক পোস্ট খালি আছে। আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কর্মসংস্থানের জন্য আবেদন করি। মালয়েশিয়া এবং ইতালির একটা প্রসেস আছে। সরকারিভাবে আমরা আগামী দুই বছরে অন্তত ৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির একটা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।

 

সেটা (৫ লাখ কর্মসংস্থান) আপনাদের সরকারই করবে- প্রশ্নে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, আমরা ইনিশিয়েট করে যাবো। পরবর্তী সরকার আসলে তারা দায়িত্ব নিয়ে এক্সিকিউট করবে। আমরা ইনিশিয়েট করবো কমপক্ষে ৫ লাখ কর্মসংস্থান। বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এভাবে কাজ করবো। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ৯ লাখ যুবকদের প্রশিক্ষণ দেব। সেখানে ৬০ শতাংশ নারী।

 

দেশে বেকারত্বের সংখ্যা কত-প্রশ্নে তিনি বলেন, গ্রাজুয়েট বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখের বেশি। সব মিলিয়ে বেকারের সংখ্যা এক কোটি ৮০ লাখ।

 

উপদেষ্টা জানান, বেসরকারি খাত আরও বিস্তৃত এবং সেখানে আরও সুযোগ আছে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বেকারত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। আমরা একটা সমন্বিত উদ্যোগ নেব বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য। সুসংবাদ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যারা আমাদের সহযোগিতা করতে চাচ্ছে তাদেরও একটা অগ্রাধিকারের জায়গা বেকারত্ব। সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা অ্যাড্রেস করবো।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের একগুচ্ছ নির্দেশনা তারেক রহমানের

» দুটি ব্যাংকের তিনটি কার্ড ব্যবহার করে ৬ লাখ টাকা প্রতারণার, গ্রেফতার ১

» বাংলাদেশে সবচাইতে আগে জরুরি জাতীয় নির্বাচন : জিল্লুর রহমান

» শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা জুলাই গণহত্যার জন্য দায়ী— সাক্ষ্য নাহিদের

» ‘হাসিনার পতনের আগেই ড. ইউনূসকে সরকার প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়’

» ৭ হাজারের বেশি সদস্যকে পদচ্যুত ও বহিষ্কার করেছে বিএনপি: তারেক রহমান

» চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা

» রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

» স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক

» হাতুড়ির আঘাতে বড় ভাই মৃত্যু এই ঘটনায় ৩ জন আটক

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বেকার ছিলাম, দায়িত্ব শেষে ফের বেকার হয়ে যাবো : আসিফ

ফাইল ছবি

 

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, বেকারত্ব আমাদের অন্যতম একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়।

 

আগামী ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে বুধবার সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া  মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

 

বেকার যুবকদের নিয়ে কোনো চিন্তা-ভাবনা আপনাদের আছে কিনা-জানতে চাইলে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, বেকারত্ব আমাদের অন্যতম একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমি নিজেও বেকার ছিলাম (স্মিথ হেসে), আবার বেকার হয়ে যাবো এ দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর। বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই আমাদের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কাজ করে থাকে। আমরা ট্রেনিং দিয়ে থাকি। ফ্রিল্যান্সার থেকে শুরু করে বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় ট্রেনিং আছে।

 

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা  বলেন, আমরা লক্ষ্যমাত্রা নিচ্ছি-ট্রেনিং হতে হবে কর্মমুখী। যাতে ট্রেনিং দিয়ে আমরা তাকে ছেড়ে না দেই। ট্রেনিং দিয়ে তাকে ফলোআপ রাখা যে কোথায় সে যাচ্ছে। সামনের দিকে আরও কর্মসূচি হাতে নেব যেকোনো কর্মে কী ধরনের স্কিল প্রয়োজন। সে ধরনের ট্রেনিং দিয়ে কর্ম নিশ্চিত করবো।

 

আসিফ মাহমুদ বলেন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে এখনো অনেক পোস্ট খালি আছে। আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কর্মসংস্থানের জন্য আবেদন করি। মালয়েশিয়া এবং ইতালির একটা প্রসেস আছে। সরকারিভাবে আমরা আগামী দুই বছরে অন্তত ৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির একটা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।

 

সেটা (৫ লাখ কর্মসংস্থান) আপনাদের সরকারই করবে- প্রশ্নে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, আমরা ইনিশিয়েট করে যাবো। পরবর্তী সরকার আসলে তারা দায়িত্ব নিয়ে এক্সিকিউট করবে। আমরা ইনিশিয়েট করবো কমপক্ষে ৫ লাখ কর্মসংস্থান। বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এভাবে কাজ করবো। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ৯ লাখ যুবকদের প্রশিক্ষণ দেব। সেখানে ৬০ শতাংশ নারী।

 

দেশে বেকারত্বের সংখ্যা কত-প্রশ্নে তিনি বলেন, গ্রাজুয়েট বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখের বেশি। সব মিলিয়ে বেকারের সংখ্যা এক কোটি ৮০ লাখ।

 

উপদেষ্টা জানান, বেসরকারি খাত আরও বিস্তৃত এবং সেখানে আরও সুযোগ আছে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বেকারত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। আমরা একটা সমন্বিত উদ্যোগ নেব বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য। সুসংবাদ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যারা আমাদের সহযোগিতা করতে চাচ্ছে তাদেরও একটা অগ্রাধিকারের জায়গা বেকারত্ব। সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা অ্যাড্রেস করবো।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com