বুড়িগঙ্গার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে ধারণ করে উদযাপিত হচ্ছে ‘গঙ্গাবুড়ি’

[ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩] সমসাময়িক শিল্প প্রকাশভঙ্গির সাথে বুড়িগঙ্গা নদীর সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের মেলবন্ধনকে সুনিপুণভাবে তুলে ধরতে বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশন ‘গঙ্গাবুড়ি’ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। রাজধানীর হাজারীবাগে আয়োজিত বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশনের এই প্রদশর্নীতে পরম্পরার অভিব্যক্তি এবং নদীকে উপজীব্য করে গড়ে ওঠা আখ্যানকে জীবন্ত ও নিরাপদ রাখার বিষয়টি উঠে আসে। ইতোমধ্যে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীটি আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত চলবে।

 

জীবনধারণকারী সব নদীপথের সাথে মানুষের যোগাযোগের ধারাকে পরিবর্তিত করতে এই আয়োজনের সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইউরোপিয়ান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কালচার (ইইউএনআইসি) বাংলাদেশ। একইসাথে, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ, গ্যেটে-ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, ইইউ ডেলিগেশন ইন বাংলাদেশ, বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ড ও স্পেনের দূতাবাস এই প্রদর্শনীর পাশে একাত্ম হয়েছে।

 

শেহজাদ চৌধুরীর কিউরেট করা এই ‘গঙ্গাবুড়ি’ আয়োজনে ৭জন প্রসিদ্ধ বাংলাদেশি শিল্পীর কাজ প্রদর্শন করা হচ্ছে। শিল্পীরা হলেন: আমিনুল ইসলাম আশিক, অনন্যা মেহপার আজাদ, আহমেদ রাসেল, কাজী সাইদুল করিম টুসু, মো. খায়রুল আলম (সাদা), নুর এ আলা সিদ্দিকী এবং শামীম আহমেদ চৌধুরী। ভাস্কর্য থেকে শুরু করে ইনস্টলেশন ও পেইন্টিং, বিবিধ শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে কালের আবহে ভাসা বুড়িগঙ্গার সমৃদ্ধ অতীত ও বর্তমান, পাশাপাশি পানির সাথে এই শহরের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের বিষয়টি উঠে আসে।

 

নদীকে ঘিরে গড়ে ওঠা গল্প আর কফিল আহমেদের গাওয়া ‘গঙ্গাবুড়ি’ গানে অনুপ্রাণিত এই প্রদর্শনীটি মূলত বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরম্পরা ও শৈল্পিক উদ্ভাবনের সুগভীর বহিঃপ্রকাশ। পানির সাথে প্রাণের গভীর সম্পর্কের বিষয়টি এখানে উঠে আসে। এছাড়া, দেশের সভ্যতা গড়ে ওঠার পেছনে নদীর অবদান এবং পরিবেশগত সচেতনতা তৈরিতে শিল্পের সক্ষমতা এখানে প্রতিধ্বনিত হয়।

 

প্রদর্শনীতে বুড়িগঙ্গার ইতিহাস, সমস্যা ও একটি পুনরুজ্জীবিত আগামীর সম্ভাবনাগুলো খুঁজে দেখার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দূষিত পরিবেশকে কীভাবে শিল্পের মধ্য দিয়ে অনুপ্রেরণা ও পুনর্জীবনের ধারায় রূপান্তরিত করা যায়, তাই এই প্রদর্শনীতে উঠে আসে। এ প্রদর্শনীতে পুরানো আখ্যান সমসাময়িক সৃজনশীলতার সাথে মিশে গেছে এমন একটি শিল্প ও পরম্পরার অনন্য সমন্বয়ের অভিজ্ঞতা পেতে মানুষকে এই প্রদর্শনীতে আসার আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ‘গঙ্গাবুড়ি’ শুধুমাত্র একটি প্রদর্শনী নয়, বরং বুড়িগঙ্গাকে পুনরুজ্জীবিত করতে একটি যূথবদ্ধ প্রয়াস, যা জলচক্রের অংশ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের পরিচয়কেই ধারণ করে।

 

 

রাজধানীর হাজারীবাগে গজমহল স্কুলের বিপরীতে অবস্থিত বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশন, মুক্তি ট্যানারির (ভবন-১) ছাদে বৃহস্পতিবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা এই প্রদর্শনী চলবে। বিস্তারিত জানতে ফোন করুন- ০১৯১০৪০০৪২৫, ০১৬৮৭৬২৮৩৯৮

বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:

জুলিয়েট মন্ডল,

কমিউনিকেশনস ম্যানেজার, সাউথ এশিয়া, ব্রিটিশ কাউন্সিল

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ডিবির মশিউর সাময়িক বরখাস্ত

» মোটরসাইকেলে চালকসহ দুইজনের বেশি বহন না করার নির্দেশ

» ইসলামী শাসনব্যবস্থা ছাড়া বৈষম্য দূর হবে না : মামুনুল হক

» নির্বাচনের দিনক্ষণ জানতে বিদেশি অংশীজনরা অপেক্ষা করছে : খসরু

» বিস্ফোরক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

» তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

» রাশিয়ার নতুন ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চলবে: পুতিন

» গুজব প্রতিরোধে সহায়তা চায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

» পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত

» এআই নিয়ে কাজ করবে গ্রামীণফোন ও এরিকসন

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বুড়িগঙ্গার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে ধারণ করে উদযাপিত হচ্ছে ‘গঙ্গাবুড়ি’

[ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩] সমসাময়িক শিল্প প্রকাশভঙ্গির সাথে বুড়িগঙ্গা নদীর সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের মেলবন্ধনকে সুনিপুণভাবে তুলে ধরতে বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশন ‘গঙ্গাবুড়ি’ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। রাজধানীর হাজারীবাগে আয়োজিত বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশনের এই প্রদশর্নীতে পরম্পরার অভিব্যক্তি এবং নদীকে উপজীব্য করে গড়ে ওঠা আখ্যানকে জীবন্ত ও নিরাপদ রাখার বিষয়টি উঠে আসে। ইতোমধ্যে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীটি আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত চলবে।

 

জীবনধারণকারী সব নদীপথের সাথে মানুষের যোগাযোগের ধারাকে পরিবর্তিত করতে এই আয়োজনের সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইউরোপিয়ান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কালচার (ইইউএনআইসি) বাংলাদেশ। একইসাথে, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ, গ্যেটে-ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, ইইউ ডেলিগেশন ইন বাংলাদেশ, বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ড ও স্পেনের দূতাবাস এই প্রদর্শনীর পাশে একাত্ম হয়েছে।

 

শেহজাদ চৌধুরীর কিউরেট করা এই ‘গঙ্গাবুড়ি’ আয়োজনে ৭জন প্রসিদ্ধ বাংলাদেশি শিল্পীর কাজ প্রদর্শন করা হচ্ছে। শিল্পীরা হলেন: আমিনুল ইসলাম আশিক, অনন্যা মেহপার আজাদ, আহমেদ রাসেল, কাজী সাইদুল করিম টুসু, মো. খায়রুল আলম (সাদা), নুর এ আলা সিদ্দিকী এবং শামীম আহমেদ চৌধুরী। ভাস্কর্য থেকে শুরু করে ইনস্টলেশন ও পেইন্টিং, বিবিধ শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে কালের আবহে ভাসা বুড়িগঙ্গার সমৃদ্ধ অতীত ও বর্তমান, পাশাপাশি পানির সাথে এই শহরের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের বিষয়টি উঠে আসে।

 

নদীকে ঘিরে গড়ে ওঠা গল্প আর কফিল আহমেদের গাওয়া ‘গঙ্গাবুড়ি’ গানে অনুপ্রাণিত এই প্রদর্শনীটি মূলত বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরম্পরা ও শৈল্পিক উদ্ভাবনের সুগভীর বহিঃপ্রকাশ। পানির সাথে প্রাণের গভীর সম্পর্কের বিষয়টি এখানে উঠে আসে। এছাড়া, দেশের সভ্যতা গড়ে ওঠার পেছনে নদীর অবদান এবং পরিবেশগত সচেতনতা তৈরিতে শিল্পের সক্ষমতা এখানে প্রতিধ্বনিত হয়।

 

প্রদর্শনীতে বুড়িগঙ্গার ইতিহাস, সমস্যা ও একটি পুনরুজ্জীবিত আগামীর সম্ভাবনাগুলো খুঁজে দেখার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দূষিত পরিবেশকে কীভাবে শিল্পের মধ্য দিয়ে অনুপ্রেরণা ও পুনর্জীবনের ধারায় রূপান্তরিত করা যায়, তাই এই প্রদর্শনীতে উঠে আসে। এ প্রদর্শনীতে পুরানো আখ্যান সমসাময়িক সৃজনশীলতার সাথে মিশে গেছে এমন একটি শিল্প ও পরম্পরার অনন্য সমন্বয়ের অভিজ্ঞতা পেতে মানুষকে এই প্রদর্শনীতে আসার আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ‘গঙ্গাবুড়ি’ শুধুমাত্র একটি প্রদর্শনী নয়, বরং বুড়িগঙ্গাকে পুনরুজ্জীবিত করতে একটি যূথবদ্ধ প্রয়াস, যা জলচক্রের অংশ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের পরিচয়কেই ধারণ করে।

 

 

রাজধানীর হাজারীবাগে গজমহল স্কুলের বিপরীতে অবস্থিত বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশন, মুক্তি ট্যানারির (ভবন-১) ছাদে বৃহস্পতিবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা এই প্রদর্শনী চলবে। বিস্তারিত জানতে ফোন করুন- ০১৯১০৪০০৪২৫, ০১৬৮৭৬২৮৩৯৮

বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:

জুলিয়েট মন্ডল,

কমিউনিকেশনস ম্যানেজার, সাউথ এশিয়া, ব্রিটিশ কাউন্সিল

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com