বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ির মধ্যেই সুইমিং পুল, হেলিপ্যাড

শুধু যাতায়াতের জন্যই নয় গাড়ি অনেকের কাছে বিলাসিতার উপকরণ। কখনোবা খেলনা। বিশ্বে অনেক ধরনের গাড়ি রয়েছে। কোনোটি বুলেট প্রুফ। আবার কোনো কোনো গাড়ির ভেতরটা দেখলে বোঝাই যাবে না এটি ঘর না গাড়ি।

 

তবে এবার গিনেস বুকে সবচেয়ে লম্বা যে গাড়ির নাম উঠেছে। সেটির ভেতরে রয়েছে সুইমিং পুল, ছাদে হেলিপ্যাড। নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন, হবেন বৈকি! সম্প্রতি আমেরিকান ড্রিম নামের গাড়িটি বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়ির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

১০০ ফিট লম্বা গাড়িটিতে এতটাই পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে যে একটি সুইমিং পুল ছাড়াও এটিতে একটি হেলিপ্যাড রয়েছে। এই ২৬-হুইল ড্রাইভ গাড়িটির নিজস্ব একটি হেলিপ্যাডও রয়েছে।

 

এরই মধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত দ্য আমেরিকান ড্রিম। নিজেরই পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছে এই গাড়িটি। ২০২২ সালের ১ মার্চ নতুন রেকর্ডটি করে আমেরিকান ড্রিম। এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ির রেকর্ডটি আমেরিকান ড্রিম করেছিল ১৯৮৬ সালে।

 

আমেরিকান ড্রিম ১৯৮৬ সালে গাড়ি কাস্টমাইজার জে ওহেরবার্গ দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী জে যখন এটি তৈরি করেছিলেন তখন এর দৈর্ঘ্য ছিল ৬০ ফিট। এখন গাড়িটির দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয়েছে ১০০ ফুট ১.৫০ ইঞ্চি। গাড়িতে চাকা রয়েছে মোট ২৬টি। একসঙ্গে মোট ৭৫ জন বসতে পারবেন গাড়িটিতে।

dsd

হলিউডের অনেক মুভিতে আপনি নিশ্চয়ই এই গাড়ি দেখেছেন। এখন এই গাড়িটি নিউ জার্সির একটি গুদামে রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

 

নিউইয়র্কের একটি জাদুঘরের মালিক মাইকেল ম্যানিং এটি পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নেন। গাড়িটি সম্পর্কে মাইকেল বলেছিলেন, তিনি যখন এটি নিউ জার্সিতে দেখেছিলেন তখন এটি ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। এটির জানালা ভাঙা ছিল, টায়ারে হাওয়া ছিল না। তবুও তিনি এই গাড়ির প্রেমে পড়ে যান। তিনি গাড়িটি পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নেন।

 

মাইকেলের মতে, এই গাড়িটি পুনরুদ্ধার করার পর অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তার যাদুঘরের লিজ শেষ হয়ে যাওয়ায় টাকার প্রয়োজনে ইবেতে গাড়িটি বিক্রি করেছিলেন তিনি। এর পর পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মাইকেল ডেজার কিনেছিলেন গাড়িটি। তিনি গাড়িতে অনেক নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেন।

 

গাড়ির টায়ার পরিবর্তন করা হয়েছিল। হেলিপ্যাড পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল ও পুল মেরামত করা হয়েছিল। এখন এই গাড়িটি দেখতে হয়েছে আরও আকর্ষণীয়।   সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিলো হংকং

» ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

» জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু

» গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে : ডা. জাহিদ

» ডাকসু নির্বাচন সফল করায় সবাইকে ধন্যবাদ দিলেন উপাচার্য

» স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে বনজ সম্পদের চাপ কমানো সম্ভব: পরিবেশ উপদেষ্টা

» জাকসুর ফলাফল পেতে আগামীকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে: অধ্যাপক রশিদুল আলম

» জাকসু নির্বাচন বর্জনের পর রাতে বিক্ষোভ মিছিল ছাত্রদলের

» পরাজয় নিশ্চিত জেনে ছাত্রদলের ভোট বর্জন: শিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী

» ‘জামায়াত নয়, বিএনপির প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয়েছে ব্যালট পেপার’

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ির মধ্যেই সুইমিং পুল, হেলিপ্যাড

শুধু যাতায়াতের জন্যই নয় গাড়ি অনেকের কাছে বিলাসিতার উপকরণ। কখনোবা খেলনা। বিশ্বে অনেক ধরনের গাড়ি রয়েছে। কোনোটি বুলেট প্রুফ। আবার কোনো কোনো গাড়ির ভেতরটা দেখলে বোঝাই যাবে না এটি ঘর না গাড়ি।

 

তবে এবার গিনেস বুকে সবচেয়ে লম্বা যে গাড়ির নাম উঠেছে। সেটির ভেতরে রয়েছে সুইমিং পুল, ছাদে হেলিপ্যাড। নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন, হবেন বৈকি! সম্প্রতি আমেরিকান ড্রিম নামের গাড়িটি বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়ির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

১০০ ফিট লম্বা গাড়িটিতে এতটাই পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে যে একটি সুইমিং পুল ছাড়াও এটিতে একটি হেলিপ্যাড রয়েছে। এই ২৬-হুইল ড্রাইভ গাড়িটির নিজস্ব একটি হেলিপ্যাডও রয়েছে।

 

এরই মধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত দ্য আমেরিকান ড্রিম। নিজেরই পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছে এই গাড়িটি। ২০২২ সালের ১ মার্চ নতুন রেকর্ডটি করে আমেরিকান ড্রিম। এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ির রেকর্ডটি আমেরিকান ড্রিম করেছিল ১৯৮৬ সালে।

 

আমেরিকান ড্রিম ১৯৮৬ সালে গাড়ি কাস্টমাইজার জে ওহেরবার্গ দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী জে যখন এটি তৈরি করেছিলেন তখন এর দৈর্ঘ্য ছিল ৬০ ফিট। এখন গাড়িটির দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয়েছে ১০০ ফুট ১.৫০ ইঞ্চি। গাড়িতে চাকা রয়েছে মোট ২৬টি। একসঙ্গে মোট ৭৫ জন বসতে পারবেন গাড়িটিতে।

dsd

হলিউডের অনেক মুভিতে আপনি নিশ্চয়ই এই গাড়ি দেখেছেন। এখন এই গাড়িটি নিউ জার্সির একটি গুদামে রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

 

নিউইয়র্কের একটি জাদুঘরের মালিক মাইকেল ম্যানিং এটি পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নেন। গাড়িটি সম্পর্কে মাইকেল বলেছিলেন, তিনি যখন এটি নিউ জার্সিতে দেখেছিলেন তখন এটি ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। এটির জানালা ভাঙা ছিল, টায়ারে হাওয়া ছিল না। তবুও তিনি এই গাড়ির প্রেমে পড়ে যান। তিনি গাড়িটি পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নেন।

 

মাইকেলের মতে, এই গাড়িটি পুনরুদ্ধার করার পর অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তার যাদুঘরের লিজ শেষ হয়ে যাওয়ায় টাকার প্রয়োজনে ইবেতে গাড়িটি বিক্রি করেছিলেন তিনি। এর পর পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মাইকেল ডেজার কিনেছিলেন গাড়িটি। তিনি গাড়িতে অনেক নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেন।

 

গাড়ির টায়ার পরিবর্তন করা হয়েছিল। হেলিপ্যাড পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল ও পুল মেরামত করা হয়েছিল। এখন এই গাড়িটি দেখতে হয়েছে আরও আকর্ষণীয়।   সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com