ফাইল ছবি
আজ ২৫ বৈশাখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী। এই দিনে (বাংলা ২৫ বৈশাখ ১২৬৮) কলকাতার জোড়াসাঁকোয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে আজ থেকে ৩ দিনব্যাপি অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এবছর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ’। সকলের জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠান ২৫, ২৬, ২৭ বৈশাখ (০৮, ০৯, ১০ মে) কুষ্টিয়ার শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে আয়োজন করা হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এবং কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আজ সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এতে সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি সচিব মো. মফিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি থাকবেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কুষ্টিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর ড. নকীব মোহাম্মাদ নসরুল্লাহ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমবেত নৃত্য ‘আকাশ ভরা সূর্যতারা’ পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ।
আগামী ৯ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ‘আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করবেন। এছাড়াও একাডেমির আয়োজনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৯ মে ৭টি বিভাগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-কে নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া দিবসটি উদযাপনে ঢাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে আজ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সংগীতজ্ঞ, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, ভাষাবিদ, চিত্রশিল্পী ও গল্পকার। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। বাঙালি সমাজে তার রচিত সংগীতের জনপ্রিয়তা এত বছর পরেও অতুলনীয়। তিনি ২ হাজার গান রচনা করেন। অধিকাংশ গানে সুরারোপ করেন। কবির লেখা ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। ভারতের জাতীয় সংগীতটিও কবির লেখা। কবির মৃত্যুর পর বিশ্বভারতী থেকে ৩৬ খÐে ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ প্রকাশ পেয়েছে। ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।