ফাইল ছবি
ডেস্ক রিপোর্ট : বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় গলা টিপে হত্যা করা হয় পোশাক শ্রমিক জোসনা বেগমকে। হত্যার পর লাশ কম্বল পেচিয়ে বস্তায় ভরে ফেলে দেয়া হয় নগরীর লালখানবাজার এক্সপ্রেসওয়ের নিচে। অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধারের পর ঘটনা তদন্ত শুরু করে পিবিআই। ঘটনার দুই দিনের মাথায় চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রেমিররূপী ঘাতক নয়ন বড়ুয়াকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ক্লু-লেস মামলা হিসেবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শুরু করা হয়। নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামী নয়ন বড়ুয়াকে চিহ্নিত করা হয়। পরে মোহরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিয়ের জন্য ক্রমাগত চাপ দেয়ায় জোসনাকে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছেন নয়ন।’
জানা যায়, নিহত জোসনা বেগম এবং আসামী নয়ন বড়ুয়া দুজনই পোশাক শ্রমিক হিসেবে নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করতে। কর্মস্থলে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত ফেব্রুয়ারী মাস থেকে নগরীর ইপিজেড থানা এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে লিভ টুগেদার শুরু করেন তারা। কিছু দিন আগে থেকে নয়নকে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন জোসনা। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় ঝাগড়া হত। গত শনিবার সকালে ফের তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে জোসনা গলা টিপে হত্যা করে। পরে লাশ কল্বল পেচিয়ে একটি বস্তারয় ভরে লালখানবাজার এনে এক্সপ্রেসওয়ের নিচে ফেলে পালিয়ে যায়।