সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ছোট ছোট শিশুদের এমন মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না স্বজনেরা। কেউ হাসপাতালের দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে কাঁদছেন, কেউবা সন্তানের পোড়া স্কুলড্রেস জড়িয়ে ধরে আহাজারি করছেন।
বার্ন ইনস্টিটিউট ঘুরে এমনই হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা গেছে। হাসপাতালের চারতলায় গিয়ে দেখা যায়, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) এর বাইরে অপেক্ষা করছেন অন্তত ১০-১২ জন স্বজন। কেউ মেঝেতে বসে কাঁদছেন, কেউ হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। বিমর্ষ মুখগুলো যেন ব্যথা আর অসহায়তার প্রতিচ্ছবি।
বিমান বিধ্বস্তে দগ্ধ শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাসপাতালটির পাঁচতলায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাগনি মেহরিনের পোড়া স্কুলড্রেস হাতে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ফাহাদ নিয়ন। তাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে পাশে থাকা এক নারী নিজেও কাঁদছিলেন। আহাজারি করে নিয়ন বলছিলেন, ‘ও (মেহরিন) খুব নিষ্পাপ। ও সারা দিন পড়াশোনা করে। ওর দুই হাত ও মুখ পুড়ে গেছে।’
পাশেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া নুরে জান্নাতের মা ইয়াসমিন আক্তার। কপাল, মুখ, পিঠ ও মাথায় দগ্ধ শিশুটির অবস্থা নিয়ে ভেঙে পড়া ইয়াসমিন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার মেয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেছে। মেয়ে বলে যে মা- আমার শরীর জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে।’
পাশেই নাসিমা বেগম নামের আরেক নারী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘এমন দশা কেমনে হইছেরে। কত মায়ের বুক খালি হইছেরে। আমার রোহান যন্ত্রণায় কাতরাইতাছে।’ জানা যায়, নাসিমা বেগমের সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে রবিউল হাসান রোহানের শরীরও পুড়ে গেছে।