ঈদ উপলক্ষে কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীর ভিড় দেখা গেছে। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে কুমিল্লার অর্ধ ডজন বিনোদন কেন্দ্রে এই ভিড় দেখা গেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর, নব শালবন বিহার, ম্যাজিক প্যারাডাইস, ব্লু ওয়াটার পার্ক, ডাইনো পার্ক। এগুলো কোটবাড়ি লালমাই পাহাড় সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত। লালমাই বাজার সংলগ্ন স্থানে রয়েছে লালমাই লেকল্যান্ড। নগরীর ডুলিপাড়ায় রয়েছে ফান ডাউন। নগরীর প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে কুমিল্লা নগর উদ্যান ও ধর্মসাগর। বিনোদন কেন্দ্রের কর্তব্যরতরা জানান, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এই ভিড় থাকবে।
সূত্রমতে, নগরী থেকে ৮কিলোমিটার দূরে শালবন বৌদ্ধ বিহার। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে দুই কিলোটার দূরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এখানে বিভিন্ন উৎসব ও শীতে দর্শনার্থীর ভিড় থাকে। নিকটবর্তী স্থানে কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। তবে আবাসিক ব্যবস্থা গড়ে উঠলে আরও দর্শনার্থী বাড়বে। শালবন বিহারের পরে রয়েছে কোটিলা মুড়া, রুপবান মুড়া। বেসরকারি পার্কগুলোর মধ্যে বেশি রাইড রয়েছে ম্যাজিক প্যারাডাইসে।
মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী সংসদের সভাপতি ডা. গোলাম শাহজাহান বলেন, বিনোদনের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কুমিল্লায় বেশ কিছু বেসরকারি পার্ক গড়ে উঠেছে। একদিনের জন্য এখানে ঘুরতে বিভিন্ন জেলা থেকে ঘুরতে আসছেন। নগরীতে সম্প্রতি থাকার ভালো কিছু আবাসিক হোটেলও গড়ে উঠেছে।
ম্যাজিক প্যারাডাইসের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম বলেন, করোনার সময় কিছু রাইডস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন ১৮টি রাইড রয়েছে সবার জন্য। কিডস জোনে রয়েছে ৩২টি রাইডস। এছাড়া ওয়াটার ওয়ার্ল্ড। ডাইনোসর জোনসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় আয়োজন রয়েছে। ঈদে উপলক্ষে ফ্লাশ মুভ ডান্সসহ বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সিলেট ও কুমিল্লা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম সাইফুর রহমান বলেন, শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর ঈদের দিন বন্ধ ছিলো। পরের দিন থেকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। প্রথম দিন লাখ টাকার মতো টিকেট বিক্রি হয়েছে। অন্য ঈদের মতো এবারও ভালো দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে।