সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক:: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা যখন ক্ষমতায় আসব, আমাদের কূটনীতি হবে বাণিজ্যকেন্দ্রিক। প্রতিটি মিশনকে বাণিজ্য প্রসার এবং প্রবাসীদের সঙ্গে সঠিক সম্পৃক্ততা নিয়ে তাদের অগ্রগতির প্রতিবেদন দিতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে আমীর খসরু বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে অর্থনীতিতে অলিগার্কদের উত্থানে পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আওয়ামী লীগ শুরুতে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করেছে। এরপর দলটি একে একে সব জায়গা দখল করেছে। পুরো অর্থনীতি তাদের পছন্দের লোকের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়। এতে কমরে সবার সমান সুযোগ না থাকায় দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি হবে গণতান্ত্রিক। গণতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা গেলে দেশ উপকৃত হবে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য উদার রাজনীতি এবং মুক্ত বাণিজ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফ্লিড তৈরি করতে হবে। আমাদের যারা ডায়াসপোরা আছে, তারা যেন সমান সুযোগ পান সেদিকে নজর দিতে হবে। বিগত সময়ের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এখন খুব ভালো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সামনে দিনে এটি আরও ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতির পুরোনো ইস্যুতে পড়ে থাকলে চলবে না। আমাদের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের যেন কখনো বৈষম্যের মুখে পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
অর্থনীতির গণতন্ত্রায়ণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এই বিএনপি নেতা বলেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের আরও উদার হতে হবে। সমস্ত বড় সুযোগ-সুবিধা কেন শুধু পোশাক খাত পেল, আর অন্য ২০টি সম্ভাবনাময় খাত তা পেল না, সেটি গভীরভাবে বিবেচনা করতে হবে। সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসার খরচও স্বাভাবিক নিয়মেই কমে আসবে।
আমীর খসরু বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু এত বড় তরুণ কর্মী বাহিনী যদি দক্ষ না হয়, তাহলে এ জনসংখ্যার সুবিধা কোনো কাজে আসবে না।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ ক্যাটালিস্টস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইউকেবিসিসিআই) প্রতিনিধি দলের সদস্য রূপা হক, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ও প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন।