বাড়তে শুরু করেছে কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যস্ততা

ঈদের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কমলাপুর রেলস্টেশনে। ৮ রোজা শেষ হতে না হতেই ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে রেলপথের ব্যস্ততা।

 

রোববার সরেজমিনে কমলাপুরে গিয়ে দেখা যায়, মানুষ টিকেট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অনেকে আবার অনলাইনে টিকেট কেটে সেগুলো প্রিন্ট করানোর জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ এসে অগ্রিম খোঁজখবর নিয়ে যাচ্ছে।

 

ঈদে বাড়ি ফেরার সময় হয়তো এখনো আসেনি। তবে, এক একটি দিন পার হচ্ছে আর ব্যস্ততা বাড়ছে। ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য অনেকেই ট্রেনকে বেছে নেয়। কারণ ট্রেনের যাত্রা সবচেয়ে নিরাপদ যাত্রা। কিন্তু প্রতিবছরই টিকেটের ঝামেলায় অনেককেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

 

তবে, টিকেট বিক্রির স্বত্বাধীকার পরিবর্তন হওয়ায় এবার টিকেট পেতে বেগ পেতে হবে না বলে আশাবাদী অনেকেই। আগে সিএনএসের পরিবর্তে এখন টিকেট বিক্রি করবে সহজ। দীর্ঘ দিনের বাস ও লঞ্চ টিকেট বিক্রির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ট্রেনের টিকিট বিক্রির বিষয়ে বেশ ভালোভাবেই মাঠে নেমেছে সহজ। জনগণকে ট্রেনের স্বস্তিদায়ক যাত্রার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তারা। তবে, সময় হলেই বোঝা যাবে কত ধানে কত চাল!

 

জানা গেছে, ঈদের এখনো অনেক দিন বাকি থাকার পরেও সিডিউল বিপর্যয়ে পড়ছে কিছু কিছু ট্রেন। দেশের অন্যান্য প্রান্তের ট্রেনে সিডিউল বিপর্যয় তেমন একটা না থাকলেও উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলোতে দেখা দিচ্ছে সিডিউল বিপর্যয়। ঢাকা-পঞ্চগড় চলাচলাকারী ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ইতোমধ্যেই দেড় ঘন্টা সিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। ঢাকা থেকে রাত পৌনে ১১টায় পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনেই পৌঁছায় ১১টা ৩৫ মিনিটে। এরপর রাত ১২টা ৫ মিনিটে কমলাপুর স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।

 

সিডিউল বিপর্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে টিসি আনিসুর রহমান জানায়, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি সময়মতো চলাচল করতে পারে না। প্রতিদিন ১ থেকে ২ ঘণ্টা সিডিউল বিপর্যয় ঘটে।

 

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই ট্রেনটি কমলাপুর থেকে সবার শেষে ছেড়ে যায়। তাই আগের ট্রেনগুলোর ক্রসিংয়ে পড়ার কারণে এই ট্রেনটির দেরি হয়। তবে, খুব দ্রুত এর সমাধান করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সবজির দামে আগুন

» চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেন করার দাবিতে অবরোধ

» পিআর পদ্ধতি নয়, আগের নিয়মেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: ইলিয়াস হোসাইন

» সাংগঠনিকভাবে যতটা শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিল, তা অর্জন করতে পারিনি: নাহিদ ইসলাম

» ১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা

» নির্বাচনে এরা লীগ-জাপার দোসরদের ফেভার করবে না তার কি গ্যারান্টি আছে

» হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ

» ভারতে জীবিত কবর দেওয়া সেই নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক

» বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুরু সুপার ফোর, দেখে নিন পূর্ণাঙ্গ সূচি

» ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বাড়তে শুরু করেছে কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যস্ততা

ঈদের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কমলাপুর রেলস্টেশনে। ৮ রোজা শেষ হতে না হতেই ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে রেলপথের ব্যস্ততা।

 

রোববার সরেজমিনে কমলাপুরে গিয়ে দেখা যায়, মানুষ টিকেট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অনেকে আবার অনলাইনে টিকেট কেটে সেগুলো প্রিন্ট করানোর জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ এসে অগ্রিম খোঁজখবর নিয়ে যাচ্ছে।

 

ঈদে বাড়ি ফেরার সময় হয়তো এখনো আসেনি। তবে, এক একটি দিন পার হচ্ছে আর ব্যস্ততা বাড়ছে। ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য অনেকেই ট্রেনকে বেছে নেয়। কারণ ট্রেনের যাত্রা সবচেয়ে নিরাপদ যাত্রা। কিন্তু প্রতিবছরই টিকেটের ঝামেলায় অনেককেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

 

তবে, টিকেট বিক্রির স্বত্বাধীকার পরিবর্তন হওয়ায় এবার টিকেট পেতে বেগ পেতে হবে না বলে আশাবাদী অনেকেই। আগে সিএনএসের পরিবর্তে এখন টিকেট বিক্রি করবে সহজ। দীর্ঘ দিনের বাস ও লঞ্চ টিকেট বিক্রির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ট্রেনের টিকিট বিক্রির বিষয়ে বেশ ভালোভাবেই মাঠে নেমেছে সহজ। জনগণকে ট্রেনের স্বস্তিদায়ক যাত্রার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তারা। তবে, সময় হলেই বোঝা যাবে কত ধানে কত চাল!

 

জানা গেছে, ঈদের এখনো অনেক দিন বাকি থাকার পরেও সিডিউল বিপর্যয়ে পড়ছে কিছু কিছু ট্রেন। দেশের অন্যান্য প্রান্তের ট্রেনে সিডিউল বিপর্যয় তেমন একটা না থাকলেও উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলোতে দেখা দিচ্ছে সিডিউল বিপর্যয়। ঢাকা-পঞ্চগড় চলাচলাকারী ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ইতোমধ্যেই দেড় ঘন্টা সিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। ঢাকা থেকে রাত পৌনে ১১টায় পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনেই পৌঁছায় ১১টা ৩৫ মিনিটে। এরপর রাত ১২টা ৫ মিনিটে কমলাপুর স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।

 

সিডিউল বিপর্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে টিসি আনিসুর রহমান জানায়, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি সময়মতো চলাচল করতে পারে না। প্রতিদিন ১ থেকে ২ ঘণ্টা সিডিউল বিপর্যয় ঘটে।

 

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই ট্রেনটি কমলাপুর থেকে সবার শেষে ছেড়ে যায়। তাই আগের ট্রেনগুলোর ক্রসিংয়ে পড়ার কারণে এই ট্রেনটির দেরি হয়। তবে, খুব দ্রুত এর সমাধান করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com