বাবুল-ইলিয়াসের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ ১১ মে

ছবি সংগৃহীত

 

পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার চার্জশিট গ্রহণের জন্য ১১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

 

আজ মামলাটি চার্জশিট গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। ধানমন্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহফুজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম সম্প্রতি আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত অপর দুই আসামি হলেন-বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া। এদের মধ্যে ইলিয়াস হোসেন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

 

মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদার পক্ষে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

বনজ কুমার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআই দেশের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলায় তদন্তে থাকাকালে প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের নাম বেরিয়ে এলে তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে নিতে ও পুলিশ-পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে জেলে থাকা বাবুল আক্তার এবং অন্য আসামিরা দেশ-বিদেশে অবস্থান করে অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তার ও অন্য আসামিদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্ররোচণায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ইউটিউবে ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করে।

 

এজাহারে আরো বলা হয়, বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে ইলিয়াস হোসাইন ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উসকানি, বাংলাদেশ পুলিশ এবং পিবিআই ও বিশেষ করে বাদীর (বনজ কুমার মজুমদার) মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছেন। যা দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করেছে।

 

এজাহারে ঐ ভিডিওর বিভিন্ন অভিযোগ খণ্ডন করে বলা হয়, ইলিয়াস তার বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করা, রাষ্ট্রের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা-বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস করেছেন।

 

এজাহারে আরো বলা হয়, শুধু মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ প্রশ্নবিদ্ধ করতে দুই নম্বর আসামি মো. হাবিবুর রহমান লাবু, তিন নম্বর আসামি আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও চার নম্বর আসামি বাবুল আক্তারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় এক নম্বর আসামি ইলিয়াস হোসাইন মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুক- ইউটিউবে দেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» অ্যাডভোকেট সাইফুলের জানাজায় হাসনাত-সারজিস

» বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক হারুন-উর-রশিদ আর নেই

» চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা : যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২০

» তরুণদের ভবিষ্যৎ কোথায়

» ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার

» ফরেন অফিস কনসালটেশন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী

» আইনজীবী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা ও বিচার দাবি

» আগামীকাল ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

» দুইটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার

» কলকাতার নতুন অধিনায়ক কে?

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বাবুল-ইলিয়াসের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ ১১ মে

ছবি সংগৃহীত

 

পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার চার্জশিট গ্রহণের জন্য ১১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

 

আজ মামলাটি চার্জশিট গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। ধানমন্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহফুজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম সম্প্রতি আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত অপর দুই আসামি হলেন-বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া। এদের মধ্যে ইলিয়াস হোসেন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

 

মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদার পক্ষে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

বনজ কুমার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআই দেশের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলায় তদন্তে থাকাকালে প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের নাম বেরিয়ে এলে তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে নিতে ও পুলিশ-পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে জেলে থাকা বাবুল আক্তার এবং অন্য আসামিরা দেশ-বিদেশে অবস্থান করে অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তার ও অন্য আসামিদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্ররোচণায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ইউটিউবে ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করে।

 

এজাহারে আরো বলা হয়, বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে ইলিয়াস হোসাইন ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উসকানি, বাংলাদেশ পুলিশ এবং পিবিআই ও বিশেষ করে বাদীর (বনজ কুমার মজুমদার) মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছেন। যা দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করেছে।

 

এজাহারে ঐ ভিডিওর বিভিন্ন অভিযোগ খণ্ডন করে বলা হয়, ইলিয়াস তার বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করা, রাষ্ট্রের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা-বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস করেছেন।

 

এজাহারে আরো বলা হয়, শুধু মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ প্রশ্নবিদ্ধ করতে দুই নম্বর আসামি মো. হাবিবুর রহমান লাবু, তিন নম্বর আসামি আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও চার নম্বর আসামি বাবুল আক্তারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় এক নম্বর আসামি ইলিয়াস হোসাইন মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুক- ইউটিউবে দেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com