‘বাটারফ্লাই স্কিন’ রোগে আক্রান্ত শিশুরা, লক্ষণগুলো কী কী?

সংগৃহীত ছবি
লাইফস্টাইল ডেস্ক  :এপিডার্মোলাইসিস বুলোসার (ইবি) হলো বিরল এবং অবিশ্বাস্যভাবে বেদনাদায়ক জেনেটিক ত্বকের অবস্থার একটি গ্রুপ যা সামান্য স্পর্শে ত্বকে ফোস্কা এবং ছিঁড়ে যায়। এটি প্রজাপতির ডানার মতো ভঙ্গুর ত্বক। তাই একে ‘প্রজাপতির চামড়া’ বা ‘বাটারফ্লাই স্কিন’ রোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

ত্বক এতটাই খসখসে হয়ে যায়, হাত দিলেই চামড়া উঠতে শুরু করে। বড় বড় ফোস্কা পড়ে ত্বকে। স্পর্শ করলেই ঝরে পড়ে ত্বকের নানা অংশ। প্রায় দুরারোগ্য এ রোগ দেখা দিতে পারে নবজাতকেরও। এটি বিরল চর্মরোগ।

 

জিনগত কারণে এ রোগ হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, ‘এপিডার্মোলিসিস বুলোসা’ (ইবি) রোগে শিশুদের হাতে, পায়ে, ত্বকের নানা জায়গায় ফোস্কা পড়ে। ত্বকে মারাত্মক প্রদাহ হয়, খুব জ্বালা করে। ত্বক এতটাই শুকিয়ে যায় যে, স্পর্শ করলেই চামড়া উঠতে শুরু করে। এ রোগকে ‘বাটারফ্লাই চিলড্রেন ডিজিজ’ বলা হয়। তবে শুধু শিশুদের নয়, অনেক সময়ে বড়দেরও এ রোগ হতে দেখা যায়।

এ রোগের লক্ষণগুলো হলো-

 

১. ত্বকে বড় বড় ফোস্কা পড়বে, লালচে র‌্যাশ দেখা যাবে।

২. চামড়া ছিঁড়ে যাবে, রক্তপাত হবে।

 

৩. হাত ও পায়ের নখ উঠে যাবে অথবা ভেঙে যাবে।

 

৪. সারা শরীরে র‌্যাশ ও আঁশের মতো চামড়া উঠতে শুরু করবে।

 

৫. দাঁতের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

 

৬. খাবার গিলতে সমস্যা হবে, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কমে যেতে পারে।

 

‘বাটারফ্লাই স্কিন’ বা এ চর্মরোগ সহজে সেরে ওঠে না। এ রোগের কোনো ওষুধ বা চিকিৎসাপদ্ধতি এখনও তেমনভাবে নেই।

 

পাবমেড থেকে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ত্বকের গ্র্যাফটিং করে অনেক সময়েই এই চর্মরোগ সারানোর চেষ্টা করা হয়। অথবা স্টেম সেল থেরাপি করেন চিকিৎসকেরা। তবে এ সব চিকিৎসাপদ্ধতিই খুব ব্যয়সাপেক্ষ। বাটারফ্লাই স্কিন মৃদু পর্যায়ের হলে অনেক সময় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে সেরে যায়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা সারানো যায় না। ধীরে ধীরে তা মৃত্যুর কারণও হয়ে উঠতে পারে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালালেও ভারতে গিয়ে শয়তানি করছেন: মির্জা ফখরুল

» খালের মধ্যে কুমিরটা ১৭ বছর যন্ত্রণা দিয়ে দিল্লিতে পালিয়ে আছে: গয়েশ্বর

» ‘দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দিয়েছে, তারেক রহমানকেও দিতে পারবে’: হান্নান মাসউদ

» বিএনপি জাতীয় পার্টির দায়িত্ব নেবে কেন, আপনারা কারা?: জাপা মহাসচিবকে রিজভী

» নুরের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

» প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাত রাজনৈতিক দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত

» ভবিষ্যতে সরকারপ্রধানের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত : ফারুকী

» ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেন তারেক রেফাত উল্লাহ খান

» ইউসিবিডিতে মোনাশ ফাউন্ডেশন ২০২৫ প্রোগ্রামের তৃতীয় ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

» পুলিশ বাহিনীতে গড়ে উঠেছিল ২ গ্রুপ, নেতৃত্বে ছিলেন হাবিব-মনির

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

‘বাটারফ্লাই স্কিন’ রোগে আক্রান্ত শিশুরা, লক্ষণগুলো কী কী?

সংগৃহীত ছবি
লাইফস্টাইল ডেস্ক  :এপিডার্মোলাইসিস বুলোসার (ইবি) হলো বিরল এবং অবিশ্বাস্যভাবে বেদনাদায়ক জেনেটিক ত্বকের অবস্থার একটি গ্রুপ যা সামান্য স্পর্শে ত্বকে ফোস্কা এবং ছিঁড়ে যায়। এটি প্রজাপতির ডানার মতো ভঙ্গুর ত্বক। তাই একে ‘প্রজাপতির চামড়া’ বা ‘বাটারফ্লাই স্কিন’ রোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

ত্বক এতটাই খসখসে হয়ে যায়, হাত দিলেই চামড়া উঠতে শুরু করে। বড় বড় ফোস্কা পড়ে ত্বকে। স্পর্শ করলেই ঝরে পড়ে ত্বকের নানা অংশ। প্রায় দুরারোগ্য এ রোগ দেখা দিতে পারে নবজাতকেরও। এটি বিরল চর্মরোগ।

 

জিনগত কারণে এ রোগ হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, ‘এপিডার্মোলিসিস বুলোসা’ (ইবি) রোগে শিশুদের হাতে, পায়ে, ত্বকের নানা জায়গায় ফোস্কা পড়ে। ত্বকে মারাত্মক প্রদাহ হয়, খুব জ্বালা করে। ত্বক এতটাই শুকিয়ে যায় যে, স্পর্শ করলেই চামড়া উঠতে শুরু করে। এ রোগকে ‘বাটারফ্লাই চিলড্রেন ডিজিজ’ বলা হয়। তবে শুধু শিশুদের নয়, অনেক সময়ে বড়দেরও এ রোগ হতে দেখা যায়।

এ রোগের লক্ষণগুলো হলো-

 

১. ত্বকে বড় বড় ফোস্কা পড়বে, লালচে র‌্যাশ দেখা যাবে।

২. চামড়া ছিঁড়ে যাবে, রক্তপাত হবে।

 

৩. হাত ও পায়ের নখ উঠে যাবে অথবা ভেঙে যাবে।

 

৪. সারা শরীরে র‌্যাশ ও আঁশের মতো চামড়া উঠতে শুরু করবে।

 

৫. দাঁতের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

 

৬. খাবার গিলতে সমস্যা হবে, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কমে যেতে পারে।

 

‘বাটারফ্লাই স্কিন’ বা এ চর্মরোগ সহজে সেরে ওঠে না। এ রোগের কোনো ওষুধ বা চিকিৎসাপদ্ধতি এখনও তেমনভাবে নেই।

 

পাবমেড থেকে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ত্বকের গ্র্যাফটিং করে অনেক সময়েই এই চর্মরোগ সারানোর চেষ্টা করা হয়। অথবা স্টেম সেল থেরাপি করেন চিকিৎসকেরা। তবে এ সব চিকিৎসাপদ্ধতিই খুব ব্যয়সাপেক্ষ। বাটারফ্লাই স্কিন মৃদু পর্যায়ের হলে অনেক সময় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে সেরে যায়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা সারানো যায় না। ধীরে ধীরে তা মৃত্যুর কারণও হয়ে উঠতে পারে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com