বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে ড্রাগ আবিষ্কার এবং ওষুধের পুন:র্নির্মাণ নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

সোহেল আহসান নিপু : নতুন যুগে পা রাখছে ওষুধ আবিষ্কার: রাসায়নিক, জৈবিক ও ক্লিনিক্যাল গবেষণায় উন্মোচিত হয়েছে নতুন দিগন্ত।

 

দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ফার্মেসি বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত রাসায়নিক, জৈবিক এবং ক্লিনিক্যাল গবেষণার উপর ভিত্তি করে ড্রাগ আবিষ্কার এবং ওষুধের পুনর্র্নিমাণ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এবং ফার্মাকোলজি ও বায়োমেডিকেল রিসার্চ এর পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. আব্দুর রহমান।

 

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রæয়ারি ২০২৫) ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি রেজিস্ট্রার ব্রি. জে. মো: মাহবুবুল হক (অব.)। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিইউ’র ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ।

 

মূল প্রবন্ধে প্রফেসর আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে ওষুধ গবেষণায় এক নতুন যুগের সূচনা হলো। সাম্প্রতিক গবেষণায় রাসায়নিক, জৈবিক এবং ক্লিনিক্যাল গবেষণার সমন্বয়ে ড্রাগ আবিষ্কার ও পুনর্র্নিমাণের প্রক্রিয়ায় বিপ্লব ঘটেছে। বিজ্ঞানীদের এই উদ্যোগ রোগ নিরাময়ের নতুন পথ উন্মুক্ত করার পাশাপাশি চিকিৎসা খাতে নতুন দিগন্ত তৈরি করবে।

 

তিনি বলেন, এই গবেষণার মূল লক্ষ্য হলো রোগ প্রতিরোধে আরও কার্যকর এবং নিরাপদ ওষুধ উদ্ভাবন করা। উন্নত রাসায়নিক বিশ্লেষণ, জৈবিক প্রযুক্তি এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সমন্বয়ে নতুন ওষুধ তৈরি প্রক্রিয়াকে আরও দ্রæত ও নির্ভুল করে তুলেছে। তাঁর মতে এই উদ্ভাবনগুলো জেনেটিক, ভাইরাল এবং সংক্রামক রোগগুলোর চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।

 

তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য এমন ওষুধ তৈরি করা, যা রোগ নিরাময়ে আরও কার্যকর হবে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম হবে। ওষুধ পুনর্র্নিমাণের মাধ্যমে পুরনো ওষুধগুলোকেও নতুনভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।”

 

এই উদ্যোগ দেশের স্বাস্থ্য খাতে বৈজ্ঞানিক গবেষণার অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

অনুষ্ঠানে ফার্মেসি বিভাগের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক- কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে : মান্না

» শিক্ষার্থীদের সততার চর্চা করতে হবে : অর্থ উপদেষ্টা

» বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়নি আরব আমিরাত : রাষ্ট্রদূত

» সেনাবাহিনীর সাথে ইউপিডিএফের গোলাগুলি, অস্ত্র উদ্ধার

» ১ বছর আগে বলেছিলাম, অদৃশ্য শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে, আজ দৃশ্যমান হচ্ছে: তারেক রহমান

» ছাত্রসংসদ নির্বাচনের প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে: জামায়াত আমির

» রাতের অন্ধকারে ‘জিনের আসর’ বসিয়ে নেতা নির্বাচন করে জামায়াত: আজিজুল বারী হেলাল

» ক্ষমতায় গেলে নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ ঋণ দিয়ে স্বাবলম্বী করবে জামায়াত

» কেউ যেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে: তারেক রহমান

» বুক ফুলিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন করুন: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপদেষ্টা

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে ড্রাগ আবিষ্কার এবং ওষুধের পুন:র্নির্মাণ নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

সোহেল আহসান নিপু : নতুন যুগে পা রাখছে ওষুধ আবিষ্কার: রাসায়নিক, জৈবিক ও ক্লিনিক্যাল গবেষণায় উন্মোচিত হয়েছে নতুন দিগন্ত।

 

দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ফার্মেসি বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত রাসায়নিক, জৈবিক এবং ক্লিনিক্যাল গবেষণার উপর ভিত্তি করে ড্রাগ আবিষ্কার এবং ওষুধের পুনর্র্নিমাণ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এবং ফার্মাকোলজি ও বায়োমেডিকেল রিসার্চ এর পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. আব্দুর রহমান।

 

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রæয়ারি ২০২৫) ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি রেজিস্ট্রার ব্রি. জে. মো: মাহবুবুল হক (অব.)। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিইউ’র ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ।

 

মূল প্রবন্ধে প্রফেসর আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে ওষুধ গবেষণায় এক নতুন যুগের সূচনা হলো। সাম্প্রতিক গবেষণায় রাসায়নিক, জৈবিক এবং ক্লিনিক্যাল গবেষণার সমন্বয়ে ড্রাগ আবিষ্কার ও পুনর্র্নিমাণের প্রক্রিয়ায় বিপ্লব ঘটেছে। বিজ্ঞানীদের এই উদ্যোগ রোগ নিরাময়ের নতুন পথ উন্মুক্ত করার পাশাপাশি চিকিৎসা খাতে নতুন দিগন্ত তৈরি করবে।

 

তিনি বলেন, এই গবেষণার মূল লক্ষ্য হলো রোগ প্রতিরোধে আরও কার্যকর এবং নিরাপদ ওষুধ উদ্ভাবন করা। উন্নত রাসায়নিক বিশ্লেষণ, জৈবিক প্রযুক্তি এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সমন্বয়ে নতুন ওষুধ তৈরি প্রক্রিয়াকে আরও দ্রæত ও নির্ভুল করে তুলেছে। তাঁর মতে এই উদ্ভাবনগুলো জেনেটিক, ভাইরাল এবং সংক্রামক রোগগুলোর চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।

 

তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য এমন ওষুধ তৈরি করা, যা রোগ নিরাময়ে আরও কার্যকর হবে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম হবে। ওষুধ পুনর্র্নিমাণের মাধ্যমে পুরনো ওষুধগুলোকেও নতুনভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।”

 

এই উদ্যোগ দেশের স্বাস্থ্য খাতে বৈজ্ঞানিক গবেষণার অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

অনুষ্ঠানে ফার্মেসি বিভাগের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক- কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com