ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশের অস্তিত্ব এখন বিপন্ন হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি আবার আমাদের ছবক দেন যে, আমরা নাকি চুক্তি আর সমঝোতার মাঝে পার্থক্য বুঝি না। আমাদের তিনি পড়াশোনা করার জন্য পরামর্শ দেন। আমি উনার কথার উত্তর দিতে চাই না। আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই, দেশের সঙ্গে বেঈমানি করবেন না। মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদের ভুল বুঝিয়ে এমন চুক্তি ও সমঝোতা সই করবেন না, যেগুলো আমার জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে।
বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে কেন বন্দি করে রেখেছেন? কোনো সমস্যা যদি না থাকে তাহলে মুক্তি দিন। সেদিকে তো আপনারা যাচ্ছেন না। আমরা এ-ও বলেছি, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমরা শুধু চাই, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। সেই নির্বাচনে যারা আসবে তাদের আমরা ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেবো। আপনারা শুধু আপনাদের রাখার জন্য সমস্ত নির্বাচন ব্যবস্থা দখল করে নেবেন, সাধারণ মানুষের কথা একবারও চিন্তা করবেন না, সেটা আমরা হতে দেবো না।
ফখরুল আরও বলেন, আমাকে অনেকে বলেন- আপনারা শুধু খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্যই আন্দোলন করেন? আমি বলি না। আমরা গত দুই বছর আন্দোলন করছি নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে, মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যার প্রতিবাদে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ব্যাংক লুটের বিরুদ্ধে ও টাকা পাচারের বিরুদ্ধে। আমরা এখন খালেদা জিয়ার মুুক্তির জন্য যে আন্দোলন করছি এটা সামগ্রিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে আলাদা করে দেখা যাবে না। এই আন্দোলন শুধু বিএনপির আন্দোলন হওয়া উচিত নয়। এই আন্দোলন সমগ্র দেশের মানুষের।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় মানববন্ধন আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।