বাংলাদেশি নিখোঁজের ঘটনায় ৬০ দিনের রিমান্ডে মালদ্বীপের নাগরিক

এশিয়ার সবচেয়ে ছোট দেশ মালদ্বীপ। দেশটিতে পর্যটকদের আনাগোনাই বেশি। সেখানে থাকেন বাংলাদেশের এক রেমিট্যান্স যোদ্ধা মো. মোহাম্মদ লিটন (৩৫)। কিন্তু গত ১২ দিন ধরে নিখোঁজ তিনি। এদিকে নিখোঁজের ঘটনায় মালদ্বীপের এক নাগরিককে ৬০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

নিখোঁজ লিটন জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার আমানপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে।

তার পরিবার ও মালদ্বীপে থাকা খালাতো ভাই জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে যানা যায়, লিটন গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ। তিনি জ্বালানি তেল সরবরাহ করা বোটে (নৌকা) কাজ করতেন। সমুদ্র পথে এক দ্বীপ থেকে অন্য অন্য দ্বীপে তেল সরবরাহ করতেন তিনি।

 

এ বিষয়ে আরও খোঁজ নিতে গিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে যানা যায়, মালদ্বীপের নাগরিক মোহাম্মদ নিজাম (৪৫) ও নিখোঁজ লিটন এক সঙ্গে ওই জ্বালানি তেলের বোটে কাজ করতেন। এই দুজন নিখোঁজ হলে ৩১ ডিসেম্বর স্থানীয় পুলিশ তাদের সন্ধানে একটি টুইট করে।

সবশেষ ৫ জানুয়ারি মালদ্বীপের রাজধানীর একটি গেস্ট হাউজে নিজামকে পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিক লিটনের খোঁজ মেলেনি।

 

মালদ্বীপের পুলিশ বলছে, নিজামকে যেদিন পাওয়া যায় সেদিনই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এখন লিটনের নিখোঁজ মামলাটি হত্যার তদন্তে পরিণত হয়েছে। এ মামলার প্রধান সন্দেহভাজন মালদ্বীপের নাগরিক নিজাম।

 

পুলিশ বলছে, এর আগে ২০০৮ সালে থিনাধু থেকে মাদক ও চুরির জন্য নিজামকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই বছর তাকে মাদক সংক্রান্ত মামলায় তিনবার গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২০১৪ সালে চুরি এবং মাদকের জন্য দুবার গ্রেফতার হয়েছিলেন নিজাম। ২০১৫ সালে মাদক সেবনের জন্য এবং ২০২০, ২১ ও ২২ সালে চুরির জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

পুলিশ জানিয়েছে, নিজাম এখন টাকা চুরির জন্য লিটনকে হত্যা করতে পারেন। তাই রহস্য উদঘাটনে তাকে ৬০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার অফিসে যোগাযোগ করা হলে মিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সোহেল পারভেজ বলেন, আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করি তদন্তে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আজ সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ থাকবে

» সংস্কারবিহীন তড়িঘড়ি নির্বাচনে গেলে আবারও গণঅভ্যুত্থান ঘটতে পারে : নুর

» আগামীকাল গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

» করাচিতে ভবন ধসে নিহত ২৭, শেষ হয়েছে উদ্ধার অভিযান

» তরুণ সমাজ আর স্বৈরাচার হতে চায় না: হাসনাত

» ইসলাম প্রচারে কেউ বাধা দিলে প্রতিরোধ করা হবে : মাসুদ সাঈদী

» সীমান্তে আগ্রাসন চালানো হলে আমরা সীমান্তে লং মার্চ ঘোষণা করব: নাহিদ ইসলাম

» ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

» উপাচার্যদের হাতে-পায়ে ধরে দায়িত্ব দিয়েছি, কেউ স্বেচ্ছায় নেননি : শিক্ষা উপদেষ্টা

» এই বিপ্লব সফল হয়েছে মানুষের রক্ত-ঘামের বিনিময়ে : আসিফ মাহমুদ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বাংলাদেশি নিখোঁজের ঘটনায় ৬০ দিনের রিমান্ডে মালদ্বীপের নাগরিক

এশিয়ার সবচেয়ে ছোট দেশ মালদ্বীপ। দেশটিতে পর্যটকদের আনাগোনাই বেশি। সেখানে থাকেন বাংলাদেশের এক রেমিট্যান্স যোদ্ধা মো. মোহাম্মদ লিটন (৩৫)। কিন্তু গত ১২ দিন ধরে নিখোঁজ তিনি। এদিকে নিখোঁজের ঘটনায় মালদ্বীপের এক নাগরিককে ৬০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

নিখোঁজ লিটন জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার আমানপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে।

তার পরিবার ও মালদ্বীপে থাকা খালাতো ভাই জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে যানা যায়, লিটন গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ। তিনি জ্বালানি তেল সরবরাহ করা বোটে (নৌকা) কাজ করতেন। সমুদ্র পথে এক দ্বীপ থেকে অন্য অন্য দ্বীপে তেল সরবরাহ করতেন তিনি।

 

এ বিষয়ে আরও খোঁজ নিতে গিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে যানা যায়, মালদ্বীপের নাগরিক মোহাম্মদ নিজাম (৪৫) ও নিখোঁজ লিটন এক সঙ্গে ওই জ্বালানি তেলের বোটে কাজ করতেন। এই দুজন নিখোঁজ হলে ৩১ ডিসেম্বর স্থানীয় পুলিশ তাদের সন্ধানে একটি টুইট করে।

সবশেষ ৫ জানুয়ারি মালদ্বীপের রাজধানীর একটি গেস্ট হাউজে নিজামকে পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিক লিটনের খোঁজ মেলেনি।

 

মালদ্বীপের পুলিশ বলছে, নিজামকে যেদিন পাওয়া যায় সেদিনই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এখন লিটনের নিখোঁজ মামলাটি হত্যার তদন্তে পরিণত হয়েছে। এ মামলার প্রধান সন্দেহভাজন মালদ্বীপের নাগরিক নিজাম।

 

পুলিশ বলছে, এর আগে ২০০৮ সালে থিনাধু থেকে মাদক ও চুরির জন্য নিজামকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই বছর তাকে মাদক সংক্রান্ত মামলায় তিনবার গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২০১৪ সালে চুরি এবং মাদকের জন্য দুবার গ্রেফতার হয়েছিলেন নিজাম। ২০১৫ সালে মাদক সেবনের জন্য এবং ২০২০, ২১ ও ২২ সালে চুরির জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

পুলিশ জানিয়েছে, নিজাম এখন টাকা চুরির জন্য লিটনকে হত্যা করতে পারেন। তাই রহস্য উদঘাটনে তাকে ৬০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার অফিসে যোগাযোগ করা হলে মিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সোহেল পারভেজ বলেন, আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করি তদন্তে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com