বহরে যুক্ত হয়েই ফেরি নষ্ট, ভোগান্তি চরমে

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌ-পথে ফেরি সঙ্কট দেখা দেয়ায় ঈদে চাপ আরও বেড়ে গেছে। এদিকে, এ দুই নৌ-পথে ফেরি সঙ্কট কাটাতে মঙ্গলবার ‘বেগম রোকেয়া’কে বহরে যুক্ত করা হয়। কিন্তু বুধবার ফের ফেরিটি নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ঘরমুখো মানুষ ঘাটে এসে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন।

 

জানা গেছে, এই দুই নৌ-পথে যেখানে কমবেশি ২০টি ফেরিতে পরাপার হতো, এখন সেখানে সাতটি ফেরিতে কাজ চালানো হচ্ছে। তাই অনেকেই বিড়ম্বনা কাটাতে পদ্মা পারি দিচ্ছেন লঞ্চ ও স্পিডবোটে করে।

 

সকালে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, গত দুদিনের তুলনায় অনেক বেশি মানুষ বাড়িমুখো। অধিকাংশ মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে সকাল সকাল ঘাটে এসেছেন। কিন্তু ফেরির স্বল্পতায় তাদেরকে রোদ আর গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। উপায় না দেখে, বেশি ভাড়া দিয়ে অনেকে লঞ্চ বা স্পিডবোটে করে পদ্মা পারি দিচ্ছেন।

 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের পরিদর্শক মো. সোলেমান বলেন, ফেরির সংখ্যা কম থাকায় লঞ্চেই বেশি সংখ্যক যাত্রী পার হচ্ছেন। এই নৌ-পথে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে।

 

স্পিডবোট চলাচল করছে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত। আর বুধবার থেকে লঞ্চ চলাচল করবে রাত ১০টা পর্যন্ত। আগে রাত ৮টা পর্যন্ত চললেও ঈদের কারণে দুই ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে।

 

ঘাটে অপেক্ষারত এক যাত্রী বলেন, সকাল ৬টায় ঘাটে এসেছি। প্রচণ্ড গরমে এখনও বসে আছি। ফেরির সংখ্যা বেশি থাকলে এভাবে গরমে বসে থাকতে হতো না।

 

সুলতানা এক নারী জানান, সাভার থেকে ভোর ৫টায় রওনা হয়েছেন তিনি। ঘাটে এসে এখনও ফেরির সিরিয়াল পাননি।

 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের টার্মিনাল সুপার এইচ এম ইয়াদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু সবাই ঈদে বাড়ি যাবে, তাই চাপ একটু বেশি। আমাদের পক্ষ থেকে চাপ কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।

সূএ: বাংলাদেশ জার্নাল  ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের

» ৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই

» বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ৮১১ জন আসামি গ্রেফতার

» নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

» ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি’ চালু করল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

» জুলাই শহীদদের স্মরণে গণসংহতির শ্রদ্ধা, সরকারকে সতর্ক করলেন সাকি

» ইউপিডিএফ সদস্য গ্রেপ্তার

» ১৬ বছর অপেক্ষা নয়, প্রতিবছর অভ্যুত্থান স্মরণের অঙ্গীকার

» জুলাই গণহত্যা : শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির পক্ষে শুনানি সোমবার

» ‘জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বহরে যুক্ত হয়েই ফেরি নষ্ট, ভোগান্তি চরমে

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌ-পথে ফেরি সঙ্কট দেখা দেয়ায় ঈদে চাপ আরও বেড়ে গেছে। এদিকে, এ দুই নৌ-পথে ফেরি সঙ্কট কাটাতে মঙ্গলবার ‘বেগম রোকেয়া’কে বহরে যুক্ত করা হয়। কিন্তু বুধবার ফের ফেরিটি নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ঘরমুখো মানুষ ঘাটে এসে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন।

 

জানা গেছে, এই দুই নৌ-পথে যেখানে কমবেশি ২০টি ফেরিতে পরাপার হতো, এখন সেখানে সাতটি ফেরিতে কাজ চালানো হচ্ছে। তাই অনেকেই বিড়ম্বনা কাটাতে পদ্মা পারি দিচ্ছেন লঞ্চ ও স্পিডবোটে করে।

 

সকালে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, গত দুদিনের তুলনায় অনেক বেশি মানুষ বাড়িমুখো। অধিকাংশ মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে সকাল সকাল ঘাটে এসেছেন। কিন্তু ফেরির স্বল্পতায় তাদেরকে রোদ আর গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। উপায় না দেখে, বেশি ভাড়া দিয়ে অনেকে লঞ্চ বা স্পিডবোটে করে পদ্মা পারি দিচ্ছেন।

 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের পরিদর্শক মো. সোলেমান বলেন, ফেরির সংখ্যা কম থাকায় লঞ্চেই বেশি সংখ্যক যাত্রী পার হচ্ছেন। এই নৌ-পথে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে।

 

স্পিডবোট চলাচল করছে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত। আর বুধবার থেকে লঞ্চ চলাচল করবে রাত ১০টা পর্যন্ত। আগে রাত ৮টা পর্যন্ত চললেও ঈদের কারণে দুই ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে।

 

ঘাটে অপেক্ষারত এক যাত্রী বলেন, সকাল ৬টায় ঘাটে এসেছি। প্রচণ্ড গরমে এখনও বসে আছি। ফেরির সংখ্যা বেশি থাকলে এভাবে গরমে বসে থাকতে হতো না।

 

সুলতানা এক নারী জানান, সাভার থেকে ভোর ৫টায় রওনা হয়েছেন তিনি। ঘাটে এসে এখনও ফেরির সিরিয়াল পাননি।

 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের টার্মিনাল সুপার এইচ এম ইয়াদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু সবাই ঈদে বাড়ি যাবে, তাই চাপ একটু বেশি। আমাদের পক্ষ থেকে চাপ কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।

সূএ: বাংলাদেশ জার্নাল  ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com