সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক :কক্সবাজারের টেকনাফে বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এর সদস্যরা।
সোমবার সন্ধ্যায় টেকনাফ পৌরসভার কুলাল পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ওই ইয়াবাগুলো একটি বসত বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদক কারবারিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)র টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিম।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসির) বিশেষ জোনের একটি দল সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিমের নেতৃত্বে টেকনাফ পৌরসভার কুলালপাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কুলাল পাড়ার বাসিন্দা মোঃ আলমগীরের ৫ কক্ষ বিশিষ্ট বসতঘরের শয়নকক্ষে তল্লাশি চালিয়ে একটি ট্রাভেল ব্যাগের ভিতর স্কচটেপ ও টিস্যু পেপার দ্বারা মোড়ানো পলিথিনের প্যাকেটে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে ডিএনসি টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে মোঃ আলমগীর (৩৯) পালিয়ে যায়। সে কুলাল পাড়ার মুজাফ্ফর আহমদের ছেলে । ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় তাকে পলাতক আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, যে বাড়ি থেকে ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে ওই বাড়ির মালিকের নাম মোস্তাক আহমদ। তিনি টেকনাফ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কুলালপাড়ার বাসিন্দা মৃত আবুল খায়ের ছেলে এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের টেকনাফ পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক। তবে ওই মামলায় যাকে পলাতক আসামী দেখানো হয়েছে তিনি মোস্তাক আহমদের ছোট ভাই। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পলাতক আসামির বাবার নাম ও বাড়ির ঠিকানা ভুল দেখানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিমের মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠানোর পাশাপাশি একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।