এ যেন ২০১৮ সালের ঘটনারই পুনরাবৃত্তি। ফের একবার হাইকোর্টে আপিল করে নির্বাচনে লড়ার প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ফেসবুক ও ইউটিউবের ভাইরাল তারকা আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। ইসি থেকে তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট আবেদন করে বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে লড়ার জন্য তার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন স্বঘোষিত এই হিরো।
আজ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের দ্বৈত বেঞ্চে হিরো আলমের রিটের শুনানি শেষে তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ এবং ১ ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন অন্যায়ভাবে দুই আসনেই আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল। আজ (মঙ্গলবার) রিট শুনানি শেষে হাইকোর্ট দুই আসনেই আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন। আমি দুই আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। প্রতীক পাওয়ার পর বুধবার থেকেই প্রচারণা শুরু করবো।
দলীয় সিদ্ধান্তে দুটি আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। এই দুই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন হিরো আলম। দুটি আসনেই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন।
সেই মতো বগুড়ার দুটি আসন থেকে মনোনয়নপত্র কেনে হিরো আলম। কিন্তু দুটি আসনেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে ইসি। কারণ হিসেবে বলা হয়, ‘হিরো আলমের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েকজন ভোটারের সমর্থন না পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অবশেষে আইনি লড়াই তা ফিরে পেলেন হিরো আলম।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সে বারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৪ আসন থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন হিরো আলম। যাচাই-বাছাইয়ের পর সে সময়ও দুই দফায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছিলেন হিরো আলম।
এরপর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন স্বঘোষিত এই হিরো। কিন্তু সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্ন তার পূরণ হয়নি। নির্বাচনের দিন কারচুপি ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। হয়েছিলেন শারীরিক নির্যাতনের শিকারও। এবার কী হয় সেটাই দেখার।